হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।বেশ অনেকদিন ধরেই নিয়মিত পোস্ট করতে পারতেছিনা। যাই হোক ঝামেলা শেষ হয়েছে কিছুটা তাই অবশেষে আবার আগের মত নিয়মিত পোস্ট করতে পারব আশা করি। আজ আপনাদের সাথে মেট্রোতে ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশে আন্দোলন থাকার পর দেশ যখন আগের অবস্থায় ফিরে আসে তখন সব যান চলাচল শুরু হলেও মেট্রোরেল চালু হয়নি। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে কয়েকটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় মেট্রো রেল চালু করতে সময় বেশি লাগে।তবে দুইটি স্টেশন খুববেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঐ দুইটি স্টেশনের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।এই দুইটি স্টেশন চালু করতে বেশ অনেক সময় প্রয়োজন , যেহেতু পুরো প্রকল্পটি জাপানীজ কোম্পানী করছে তাই মেশিন গুলো নুতুন করে বানিয়ে আবার বসাতে হবে।যেটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
যাই হোক অবশেষে দীর্ঘ ৩৭ দিন পর মেট্রো রেল চালু হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুইটি এখনো চালু করা হয়নি। মেট্রোরেল যেইদিন চালু হয়েছিল আমি সেইদিনই মেট্রোতে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলাম। ট্রেনের ভিতরে ছিল উপচে পড়া ভিড়।আমি বিকেল দিকে গিয়েছিলাম, তাই হয়ত মানুষের পরিমাণ বেশিই ছিল।মনে হচ্ছিল যেন লোকাল বাসে উঠে পড়েছি। কিন্তু এত ভিড় থাকার পরও খুবই দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছে যাই।যদি বাসে যেতাম হয়ত আরো আধঘন্টা সময় বেশি লাগতো, সাথে জ্যাম এবং গরম তো আছেই। মেট্রোতে পুরো সেন্ট্রাল এসি থাকায় মানুষ বেশি থাকলেও গরম লাগে না।মাঝে মাঝে তো লোকজন কম থাকলে শরীল এসির বাতাসে পুরো বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়।


যেকোনো দেশের জন্য মেট্রোরেল বেশ অনেক প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত এত জ্যাম, যানজটের দেশে তো খুবই দরকার। রাস্তায় যে পরিমাণ জ্যাম পরে , যে পরিমাণ সময় বাসের মাঝে বসে থেকে আমাদের নষ্ট হয়, যদি দেশে আরো বেশি জায়গায় মেট্রোরেল ছড়িয়ে দেয়া যেতো তবে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো আরও দরকারি কাজে ব্যবহার করা যেত।তবে আস্তে আস্তে আসার করি পুরো ঢাকা শহরে একদিন মেট্রোরেল চলবে। ঢাকার এক কোনা থেকে একবারে তার শেষ মাথায় খুব কম সময়ে যেতে পারবো। মেট্রো যত দিন বন্ধ ছিল , সেই সময়টুকু উত্তরা এবং মিরপুরের বাসিন্দারা খুব কষ্টে ছিল।তারা বুজতে পেরেছে যে মেট্রো কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।আমি নিজেই খুব মিস করেছে সেই সময় । কারণ আমি শেওড়াপাড়া থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , ফ্রামগেট খুব অল্প সময়ে চলে যেতাম, কিন্তু মেট্রো বন্ধ থাকায় বাসে করে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। আমরা বন্ধুরা মিলে মাঝে কিছুসময় নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আড্ডা দিয়েছি। তাই নিয়মিত আমাকে মেট্রো ব্যবহার করতে হয়েছে।যদি মেট্রো বন্ধ থাকতো আমি হয়ত নিয়মিত সেখানে যেতামই না , কারণ বাসে করে প্রতিদিন এত সময় পার করে টিএসসি গিয়ে আড্ডা দেয়ার মনোভাব হয়ত আমার থাকতো না। মেট্রো দিয়ে দ্রুত সময়ে চলে যেতে পারি বিধায় সবাই মিলে আড্ডা দেয়া যায়। যেহেতু ঢাকায় ফ্রামগেটের আশপাশে ভালো বসে আড্ডা দেয়ার মত জায়গা সংসদ ভবন ছাড়া আর নেই বলেই আমরা সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুতিযুদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভের ঐ ছোট লেকের পাড়ে বসে আড্ডা দেই।
সবাই ভালো থাকবেন। সকলে নিরাপদে নিরাপদে এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে এবং খেলাধুলা করতে খুব ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমার নতুন নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করতে খুব ভালো লাগে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit