আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে আমি সবার চেয়ে ছোট। পরিবারের ছোট সদস্য হয় আমার প্রতি সবার ভালবাসা একটু বেশিই। বিশেষ করে আমার মা, যার কথা না বললেই নয়। আমার প্রতি মায়ের ভালোবাসাটা একটু বেশিই। আমি কোথাও গেলে মা আমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
পড়াশোনার জন্য বাবা-মার কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। আমার কলেজ বগুড়া শহরে হওয়ায় ওখানে আমি একটি মেসে থাকি। মেসে থাকাকালীন সময়ে প্রায় প্রতিদিন পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য ফোন দিয়ে আমার খোঁজখবর নেন। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলায় তাদের প্রতি সব সময় মায়া-মমতা কাজ করে। এজন্য বগুড়ায় ম্যাচে থাকলেও সময় পেলে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসার টানে বাড়ি ফিরা হয়। বাড়িতে আসলে তাদের কত রকমের আপ্পায়ন তার ইয়ত্তা নেই। বিশেষ করে আমার মা। বাসে ওঠার পর থেকে সব সময় তিনি ফোন দিবেন কই আছি, কতক্ষন লাগবে-আরো কত রকমের প্রশ্ন। বাস থেকে রাস্তায় নামার পর দেখি আমার মা রাস্তায় এসে হাজির আমাকে নেওয়ার জন্য।রাস্তা থেকে বাড়ি আসার সময় বাজে গেছি নাকি মোটা হয়েছি তা নিয়ে এক প্রকার গবেষণা শুরু করে দেন।বাসায় আসার পর হরেক রকমের খাবারের আয়োজন তো থাকেই। খাওয়া-দাওয়া আপ্যায়ন থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কিছু মিলিয়ে যেন সোনার সোহাগা।
পরিবারের সকল সদস্য আমাকে যেরকম ভালোবাসেন, জানিনা আমি তাদের জন্য কি করতে পারব। তবে আমি তাদের জন্য ভালো কিছু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ভালো থাকুক আমার পরিবারের সকল সদস্যরা এবং ভালো থাকুক আমার মা। সবার আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য আশীর্বাদ করবেন।