মাস্টার্স পরীক্ষার শেষ দিন

in hive-129948 •  2 years ago 

বরাবরের মতোই আমি সেদিন পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম । এই মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়ার আগে আমার কোন প্রিপারেশনই ছিল না । পরীক্ষার আগে টুকটাক করে একটু প্রিপারেশন নিলাম ।আর এই প্রিপারেশন ওপরে ভিত্তি করেই মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলাম ।

কিন্তু পরীক্ষার হলে ফোন নেওয়ার এলাউ ছিল না এ কারণে কোনদিন ফোন নিয়ে যেতে পারি নি। কিন্তু মনে মনে প্রথম দিন পরীক্ষা দিতে যে ভেবেছিলাম যে মাস্টার্সারে বাস্তব অভিজ্ঞতার ছবি থাকা উচিত । তাই প্রতিদিন পরীক্ষা দিতে যেতাম আর দিন গুণতাম যে কবে ফোনটা নিয়ে এসে আমাদের স্মৃতিগুলো ক্যাপচার করে রাখবো ।

একদিন দুইদিন করে ছয়টা পরীক্ষা কমপ্লিট করলাম বন্ধুদের সাথে । আর পরীক্ষার হলে বেশ মজাই হতো রেগুলার
কারণ পরীক্ষা দেওয়া তো ঐই তার থেকে বেশি নকল করার চিন্তা ভাবনা । আসলে মাস্টার্স এসেছে নকল করার চিন্তাভাবনা বিষয়টা একটু ডিফারেন্ট । কারণ এই বয়সে এসে নকল করাটা কেমন মানায় না ।

তাই নকল করা বিষয়টা একটু লজ্জায় লাগতো । কিন্তু কি করার পরীক্ষায় পাশ করতে হলে তো টুকটাক নকল করতেই হবে ।
আরে ফাস্ট টাইম আমি মনে হয় মাস্টার্সে নকল করলাম । কারণ পড়াশোনায় একটুও মন বসত না ।

কারন আমরা উপলক্ষ মাত্র পরীক্ষা দিয়েছি । আসলে পড়ে শুনে কেউ মনে হয় পরীক্ষা দেয়নি।কারন এই বয়সে এসে আর পড়তে কি ইচ্ছা করে । কারণ এখানে এসে আমাদের অনেক ধরনের দায়িত্ব চলে আসে।

নিজের দায়িত্ব পরিবারের দায়িত্ব,যদি কোন গার্লফ্রেন্ড থাকে তার দায়িত্ব,যদি একটা থাকে সেটার দায়িত্ব । দুইটা থাকে তার দায়িত্ব তার ফ্যামিলির দায়িত্ব তার ভাইয়ের দায়িত্বএসব দায়িত্ব এর ভেতর চাকরি পাওয়ার দায়িত্ব ।

এসব বিষয়ে মাথায় রেখে অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়া । কিন্তু পরীক্ষার হলে গেলে সব থেকে মজার বিষয়টা যে সবাই পরীক্ষার হলে আগে যায় যেয়ে শিরিশ কাগজ নিয়ে যায় ।

প্রত্যেকদিন সবাইকে দেখি । কিন্তু আমি ভাবছিলাম আজকে আমি একটু নকল করব । শুরু করলাম নকলের পালা
কিন্তু আমি কোনদিনই কখনো ঠিক ভাবে নকল করতে পারি না ।

কারণে নকল বিষয়টা আমার সাথে যায় না ।স্টুডেন্ট খারাপ হতে পারি কিন্তু নকল করাটা কখনো শেখেনি ।ফাস্ট টাইম মাস্টার নকল করলাম । এত কিছু বলতেছে যখন তখন নকলের কিছু ছবি দেখে নি ।

আসলে নকল করার অভিজ্ঞতা এত দারুণ ছিল যে আমি কখনোই ভুলবো না ।
দেখুন সবাই কি সুন্দর মনোযোগ দিয়ে নকল করছে ।
মানে যেখানে কেবিল একটু ফোঁটা জায়গা নেই সেখানে শিরিষ কাগজ নিয়ে টেবিলটাকে ঘষে মাঝে তারপরে ওর উপর আবার নতুন করে লেখা হচ্ছে ।

বিষয়টা অবাক করা হলেও আসলে ইন্টারেস্টিং।
খুব মজা পেয়েছি খুব ইনজয় করেছি আর সবাই দেখুন কি মনোযোগ দিয়ে লেখালেখি করছে ।
বাবারা তোরা যেখানে থাকিস এভাবে যেন নকল করতে থাকিস আর জীবনে ভালো কিছু করতে
করতে থাকিস ।

20230313_115817.jpg

20230313_115824.jpg

দেখুন মাস্টার্সের ছেলে মেয়েরা কিভাবে নকল করে ।এটাই হলো আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা মাস্টার্স এর শিক্ষার্থীদের ।
কারণ এই বয়সে অনেক চাপ থাকে পড়াশোনাটা ঠিকমতো হয় না এজন্য জবের পেছনে সবাইছোট এবং এটা নিজেকে স্টাবলিশ করার চেষ্টা করে ।

তাই সব মিলিয়ে একটা খারাপ পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যায় । কিন্তু এসব পরিস্থিতিকে সামাল দিয়েই তারা মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ।

আসলে আমারে অভিজ্ঞতাটা আসলেই দারুন ছিল খুব ইনজয় করেছি মাস্টার্স পরীক্ষা
তারপরে পরীক্ষা শেষে অবশেষে ভাবলাম একটু সেলফি তুলে যাই আর আসবো কিনা এখানে
তাই বন্ধুদের সাথে দু একটা ছবি তুললাম ।

20230313_163818.jpg

20230313_163825.jpg

20230313_163954.jpg

20230313_164231.jpg

অবশেষে মাস্টার্সারে সুন্দর পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ।
আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত বিদায় ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কিন্তু কি করার পরীক্ষায় পাশ করতে হলে তো টুকটাক নকল করতেই হবে ।

ঠিক ভাই পাশ করতে হলে হয় লেখাপড়া করতে হবে না হলে নকল করতে হবে। কিছু তো একটা করতেই হবে। আমিও খারাপ ছাএ তবে পরীক্ষা হলে নকল কখনো করি নাই এতোটা সাহস আমার কখনো হয়নি হা হা। আপনার পোস্ট টা পড়ে বেশ মজা পেলাম। সত্যি এই বয়সে গিয়ে লেখাপড়া খুব একটা হয় না তাই বলে বই দেখে নকল করা এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না হা হা।।

হুম ভাই আসলে বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কথাগুলি বলা ভাই।
ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।