লালন মেলা-২

in hive-129948 •  4 months ago 

হেলো বন্ধুরা


1000053321.jpg

সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে আমার আজকের ব্লগে থাকছে একটি ঘুরাঘুরি মূলক পোস্ট আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তাহলে চলুন শুরু করি।


1000053313.jpg

1000053316.jpg

বন্ধুরা গত পর্বে আমি দেখিয়েছিলাম যে লালন মেলায় কিভাবে যাচ্ছিলাম পথে জ্যাম দেখে আমি গাড়ি থেকে নেমে হেটেই রওনা দি।শেষ অবদি লালন মেলার গেটের মধ্যে ঢুকতে পারি।গেইট থেকেও লালন মেলা কিছুটা দূরে সেখানে হেটেই যেতে হবে কারণ এতো ভিড়ের মধ্যে কোনো রিশকা বা অটো চলবে না।তো আমি আর আমার ফুফাতো ভাই হাটা শুরু করলাম।


1000053317.jpg

1000053318.jpg

বৃষ্টির পানিতে পথে কাদা হয়ে গেছে জুতাই অনেক ময়লা হয়ে যায়।আর প্যান্টেও কাদা লেগে যায় কি আর করবো ওভাবেই ভিরের মধ্যে যেতে থাকলাম।শেষ মেশ পেয়ে গেলাম লালন মেলা আমরা প্রথমে মেলার মাঠে গেলাম পরে আখরা বাড়িতে যাব।মেলার গেইটে ঢুকতেই দেখতে পেলাম পুলিশ চেকপোস্ট এটা প্রতি বছর ই থাকে।এখানে কড়াকরি ভাবে পাহারা দেওয়া হয়।

1000053320.jpg

1000053323.jpg


ভেতরে প্রবেশ এর পরে তেমন একটা ঘুরতে পারিনি কারণ সব গায়গা পানি জুমে ছিল আর কাদা।এর মধ্যে অনেক লোক গেদা গেদা হয়ে ঘুরছিলো ফলে পরিবেশ টা আরো নষ্ট হয়ে যায়।আর লালন মেলাতে এটাই আমার শুরু এটাই শেষ আর কখনো আসবো না এখানে।বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখেও খেতে পারিনি একটা বাজে গন্ধের জন্য। তবুই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।পরবর্তী পোস্ট এ আপনাদের কে লালন জাদুঘর সম্পর্কে আলোচনা করবো।



আমার পরিচয়

1000043956.jpg

আমি রাসেল আহমেদ, পেশায় একজন ছাত্র।পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং কে নিজের শখ এবং পেশা দুটই করে নিয়েছি।২০২০ সালের ডিসেম্বর এ আমি স্টিমিটে প্রবেশ করি এবং আমার বাংলা ব্লগের সূচনা লগ্ন থেকেই এখানে কাজ করছি।তাই বলা যায় আমি শুরু থেকেই এখানে আছি।আমি এডভেঞ্চার করতে বেশি ভালোবাসি।বিভিন্ন জায়গায় এডভেঞ্চার আমাকে নতুন ভাবে অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।আমার শখ ওয়াইল্ড এবং ন্যাচার ফটোগ্রাফি করা।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমরা অনেক দূর থেকে লালন মেলার গল্প শুনি। কিন্তু আপনি যা শেয়ার করলেন তা তো রীতিমতো ভয়ের। এটা পড়ে মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে চলে গেল তো। এবার গেলে মাজার দর্শন করে চলে আসব। মেলার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করব না। তবে আপনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো।

জী ভাই অন্য টাইমে আসলে মাজার দেখে যেতে পারবেন এবং লালন জাদুঘর দেখতে পারবেন।

জল জমেছিল বৃষ্টির কারণে কি? মেলায় জল জমে থাকলে খুবই কষ্ট লাগে ঘোরাঘুরি করতে। এমন অবস্থা হলে আর কোনদিন সত্যিই যেতে ইচ্ছে করবে না৷ আচ্ছা খাবার গুলো তো বেশ দেখতে কিন্তু বললেন যে বাজে গন্ধের জন্য খেতে পারেননি সেটাই বা কেন?

আনন্দের সাথে গিয়ে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়া বেশ আশাহত করে তোলে। আপনারও তাই হয়েছে৷

আপু এখান গাঞ্জার গন্ধ পাওয়া যায় খুব।আর এটা ওপেনলি খাওয়া হয় এখানে কেউ কিছু বলে না বরং পুলিশ পাহারা দেয় এটাই হয়তো বিশ্বে একমাত্র জায়গা।

আমি যখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন লালনের এই আখড়াতে বেশ ঘোরাঘুরি করেছি। লালনের বাজারের পশ্চিম পাশে অনেক কিছু বেচাকেনা হয়। এছাড়াও ফাঁকা পেট পার হয়ে ঘাটের পাশে বসে অনেকটা সময় পার করেছি। অনেকদিন হয়ে গেল দেখতে যাওয়া হয়না আবার সেই সুযোগ পায় না। অনেক খুশি হলাম লালনের মাজারের পাশের এই মেলা সম্পর্কে জানতে পেরে।

লালন মেলার প্রথম পর্ব টা দেখা হয়নি। দ্বিতীয় পর্ব টা দেখে ভালো লাগলো। বৃষ্টির পর পরিবেশটা একটু ভেজা থাকে। আর ওই টাইমে কোথাও ঘুরতে যেতে একদমই ভালো লাগেনা। মেলায় তো দেখছি অনেক ভিড় হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

রাস্তায় জ্যাম থাকলে অপেক্ষা করতে একদম ভালো লাগে না। হেঁটে হেঁটে মেলায় গিয়ে ভালোই করেছেন ভাইয়া। যেকোনো মেলায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ছবি তুলতে। দারুন সব মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।