🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়ে হাজির হলাম। প্রতিনিয়তানের নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগে আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি সাধারণ বিষয় নয়ে কথা বলবো। যে বিষয়টা আমাদের সমাজে আরো দেখা যাচ্ছে এমন কি প্রতিটা মানুষের ভিতরে এই গুণটি বিদ্যমান।
মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই কোনো না কোনো ভুল ঘটে। কখনো সেটা ইচ্ছাকৃত আবার কখনো ভুল সম্পূর্ণ অজান্তে। তবুও আশ্চর্যের বিষয় হলো অধিকাংশ মানুষ নিজেদের ভুল স্বীকার করতে নারাজ। কেন? এর পিছনে কাজ করে মানুষের অভিমান, ভয়, এবং সামাজিক অবস্থান নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ।
প্রথমত নিজের ভুল স্বীকার করা মানে হলো নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা। আর মানুষ স্বভাবতই নিজের দোষ ঢাকতে ভালোবাসে। আমাদের সমাজ ভুল করলে সেটা শুধরানোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় দোষের কারনে দোষী সাব্যস্ত করার । ফলে অনেকেই ভয়ে বা লজ্জায় নিজের ভুল স্বীকার করেন না। তারা মনে করেন এতে তারা ছোট হয়ে যাবেন বা নিজের সম্মান হারাবেন।
দ্বিতীয়ত অহংকার আর অভিমান ভুল স্বীকারের পথে বড় বাধা। বিশেষত যদি সেই ভুল কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে মানুষ নিজের আত্মসম্মান বাঁচাতে সেটাকে অস্বীকার করতে চান। নিজেদের মনে হয়, ভুল স্বীকার করলে তাদের ব্যক্তিত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে।
তৃতীয়ত, ভুল স্বীকার করলে সামনে আসতে পারে নানা রকম প্রশ্ন। অনেকেই ভাবেন, একবার ভুল স্বীকার করলে অন্যরা সেই বিষয় নিয়ে বারবার কথা তুলবে। এই মানসিক চাপের ভয়ে মানুষ নিজেদের ভুল আড়াল করতে চায়।
তবে ভুল স্বীকার না করার প্রবণতা আমাদের ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনে অনেক সমস্যা তৈরি করে। ভুল স্বীকার করা মানে কোনো অযোগ্যতা প্রকাশ নয়, বরং তা সাহসিকতার পরিচায়ক। নিজের দোষ মেনে নিয়ে শুধরে নেওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা। ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কিন্তু সেই ভুল স্বীকার করে শিক্ষা গ্রহণ করাই প্রকৃত মানবিক গুণ।
আমরা যদি নিজেদের ভুল স্বীকারের মানসিকতা তৈরি করি, তাহলে শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কেই নয়, পেশাগত এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। ভুল স্বীকার করার মাধ্যমেই শুরু হয় সঠিক পথে চলার যাত্রা।
নিজের ভুল স্বীকার না করার প্রবণতা অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে বড় ফাটল তৈরি করে। একজন ভুল করলে এবং সেটা না মানলে, বিপরীতে অন্য পক্ষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। ছোট ভুল থেকে এইভাবে বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান কমে যেতে থাকে।
শুধু তাই নয়, নিজের ভুল না মানার প্রবণতা আমাদের ব্যক্তিত্বেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের মধ্যে এক ধরনের আত্মসন্তুষ্টি বা "আমি সবসময় ঠিক" এমন মনোভাব তৈরি করে। এই মানসিকতা মানুষকে আত্মউন্নতির পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। নিজের ভুলগুলো স্বীকার করার অভ্যাস আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার সুযোগ দেয়, যা জীবনে সাফল্য ও পরিপক্বতা অর্জনে সহায়ক।
বিখ্যাত মনীষী কনফুসিয়াস একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি নিজের ভুল দেখে এবং তা ঠিক করে না, সে আরেকটি ভুল করতে প্রস্তুত।"
নিজের ভুল স্বীকার করার সাহস থাকা মানে নিজেকে আরও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এটি শুধু আমাদের আত্মসম্মানই বাড়ায় না, বরং অন্যদের কাছেও আমাদের প্রতি আস্থা তৈরি করে। ভুল স্বীকার করা একদিকে যেমন দায়িত্বশীলতার পরিচয়, অন্যদিকে তা সম্পর্ক ও সামাজিক স্থিতি বজায় রাখার প্রধান উপায়।
"মানুষ ভুল করে, কিন্তু সে ভুল শুধরাতে পারে বলেই সে মানুষ।"
সমাপ্ত
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | মোঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Done..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit