গুলিস্তান পার্কে বিকেলের কিছুটা সময়

in hive-129948 •  2 years ago 

গুলিস্তান পার্কে বিকেলের কিছুটা সময়

1.jpg

ঢাকায় আসার পর একদিনও বাসা থেকে বের হওয়া হয়নি। যদিও বাইরে যাওয়ার আমার নিজেও কোনো ইচ্ছা নেই। তবে আসে পাশে কোনো জায়গায় কিছুটা সময়ের জন্য বের হতেই পারি। তাই পড়ন্ত বিকেলে কিছুটা সময় কাটাতে আমরা তিন জন মিলে চলে গেলাম গুলিস্থান পার্কে। আমার বাসা থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই গুলিস্থান পার্ক। এই গুলস্থান পার্কটি নতুন হয়েছে, কিছুদিন আগেও এই জায়গাটি ছিল উম্মুক্ত। সেই সাথে ছিল নোংরা পরিবেশ। এখন এই পার্কের চারদিকে দেয়াল দিয়ে পরিষ্কার পরিছন্ন করে শিশুদের বেশ কয়েক রকমের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে সুন্দর একটি পার্ক তৈরি করে। এই পার্কের প্রবেশ মূল্য দশ টাকা।

পার্কের ভিতর প্রবেশ করে দশ টাকার বাদাম আর দশ টাকা দামের একটা পটেটো চিপ্চ কিনে খেতে খেতে পার্কের ভিতর হাটতে থাকি আর বাচ্চাদের খেলা গুলো দেখতে থাকি। কেউ কেউ পার্কের আনাচে কানাচে বসে প্রেম করছে আবার কেউ নৌকা নিয়ে পুকুরে ভাসছে। বাচ্চাদের আনন্দ গুলোই দেখতে বেশ ভালো লাগে। কেউ বাবার সাথে আমার কেউ মায়ের সাথে পার্কে এসে এটাতে ওটাতে উঠছে। একটায় উঠার পর আবার আরেকটায় উঠার বায়না করছে। আর আমরা এদিকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি ও পুরোটা পার্ক ঘুরে দেখি। পার্কটি বেশি বড় না। মানুষের ভিড়ও মোটামোটি কমেই ছিল।

চিপস আর বাদাম খাওয়া শেষ করতে করতেই আমাদের পুরো পার্কটি ঘুরে দেখা শেষ এবার আমাদের যাওয়ার পালা। আজকে আমি গুলিস্থান পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে।

2.jpg

3.jpg

4.jpg

5.jpg

6.jpg

7.jpg

8.jpg

9.jpg

10.jpg

11.jpg

12.jpg

w3w.com লোকেশন

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

ক্যামেরাOPPO F17
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনগুলিস্থান পার্ক, ঢাকা
তারিখ11.03.2023
250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গুলিস্থান পার্ক,ভারী সুন্দর নাম।আপনার ফটোগ্রাফিগুলি খুব সুন্দর হয়েছে আপু।তাছাড়া বিকাল বেলায় এইরকম স্থানে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে, বিশেষ করে বাচ্চারা বেশি আনন্দ পায়।আপনারাও নিশ্চিত দারুণ সময় পার করছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি শুনে অবাক আমি ঢাকাতে বড় হয়েছি অথচ এই পার্কের নাম শুনিনি।যাই হোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম এটা নতুন হয়েছে।তাই হয়ত শুনিনি।তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর। দেখি একদিন যাব আম্মুর বাসায় গেলে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনি খুব ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন এই পার্কে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। বিকেলবেলা এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। আর তার থেকে বড় কথা বাচ্চারাও একটু বিনোদন করতে পারে। আপনার সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাসে জানালার পাশে দিয়ে গুলিস্তান পার্কটি দেখেছিলাম। এরিয়াটা ভালোই বড়! শিশুদের বিনোদনের যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে বেশি ভীড় হয়। মাঝে মাঝে বাহিরে ঘুরাঘুরি করলে ভালোই লাগে।

গুলিস্তান পার্কে দারুন সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। আমি গুলিস্তান পার্কের নাম শুনেছি কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি এখনও। ভেতরের পরিবেশ এবং বাচ্চাদের আনন্দ দেখে সত্যিই ভালো লাগছিলো। চিপস আর বাদাম খেতে খেতে দারুন উপভোগ করলেন পুরো পার্কটি। দেখি আমি যদি ওদিকে যদি যাই তাহলে একবার ঘুরে দেখবো পার্কটা।

গুলিস্তান পার্কে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন যা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যায় ৷ মাঝে মধ্যে পার্কে গেলে সেই শৈশবের মূহুর্ত গুলো মনে পড়ে ৷আর কিছু চোখে পড়ে কিছু যুবক যুবতী প্রেমের রসায়ন করছে৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপু

  ·  2 years ago (edited)

আপু, বাসায় সব সময় না থেকে আশেপাশের জায়গাগুলোতে একটু বেড়ানোই উত্তম। গুলিস্তান পার্কটি দেখতে ভীষণ সাজানো এবং পরিপাটি মনে হচ্ছে। পার্কের ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। তবে আমি অবাক হয়ে গেলাম এটা জানতে পেরে যে, ১০ টাকার বাদাম এবং ১০ টাকার চিপস খেতে খেতে আপনারা পার্কটি পুরো ঘুরে দেখে ফেলেছেন। তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে পার্কটি সুন্দর তবে ছোট।