রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - নির্জন সেই গ্রামীণ রাস্তা (প্রথম পর্ব )

in hive-129948 •  7 months ago 

নির্জন সেই গ্রামীণ রাস্তা (প্রথম পর্ব )

pexels-skitterphoto-534590.jpg

image source

নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু অদ্ভুত ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে সেটিকে ভৌতিক কোনো ঘটনাতে পরিণত করতে আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও মূল যে সত্যিকারের ঘটনাটি সরাসরি আমার সাথে হয়নি তবে যার সাথে হয়েছে সে আমার খুব কাছের একজন। যাই হোক ,এখন শুরু করা যাক।

দিনটা ছিল পহেলা বৈশাখের দিন। স্বভাবতই সেদিন আমরা বাঙালিরা অনেকেই অনেক জায়গায় ঘুরা ফেরা করি। তো সেই ভাবেই তারাও বের হয়েছিল বিকেলের দিকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। যদিও তারা ২ জন একা বের হওনি , তাদের সাথে ছিল তাদের পরিবারেরই সদস্যরা। বাকিরা অটো করে গেলেও তারা ২ জন গিয়েছিলো বাইকে করে। তারপর ঠিক স্বাভাবিক ভাবেই তারা ঘুরা ফিরা করে সন্ধ্যার দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। মূল ঘটনা যেহেতু এখন থেকে শুরু তাই আর ঘুরা ফিরার ঘটনাটাকে তেমন বড় করলাম না।

গ্রামে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে রাস্তা ঘাট অনেক নীরব ও নিস্তব্দ হয়ে যায়। রীতিমতো অনেক শহুরে বাসীরা ভয় পেয়ে যায় গ্রামীণ পরিবেশে রাতের বেলা চলা ফেরা করতে। যাই হোক , রাস্তা দিয়ে ফিরার সময় সে বাইকে করে যারা এসেছিলো তারা প্ল্যান করে যে তারা অন্য একটি রাস্তা দিয়ে বাসায় যাবে। যদিও সেই রাস্তাটা দিয়ে গেলে অনেক দূর হতো তবে সেখানে ছিল সেই গ্রামের সব থেকে ভালো মানের দই। মূলত সেই দই খাবার উদেশ্য নিয়েই তারা সেই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যেটা কিনা সব থেকে বড় ভুল ছিল তাদের জীবনের ।

প্রথম প্রথম সব কিছুই ঠিক ঠাক ছিল তবে কিছু সময় যেতেই তাদের সাথে অদ্ভুত অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে। প্রথমত সেই রাস্তাটা ছিল অনেক ভাঙা , বাইকে করে যাওয়াটা রীতিমতো রিস্ক ছিল। যেকোনো মুহূর্তে বাইক খাদে পরে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে , তারা রাস্তার এই অবস্থা নিয়ে রীতিমতো ভয়ই পাচ্ছিলো। তখনি হটাৎ একদম নির্জন একটা রাস্তার পাশে দেখতে পেলো যে একটা খালি মাঠে অনেক গুলো মানুষ একত্রিত হয়ে মাঝে একটা টেবিল এর মাঝে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে কি জানি করছিলো।জায়গাটা ছিল একদম নির্জন আসে পাশে তেমন বাড়ি ঘর নেই বললেই চলে।

যেহেতু তারা বাইকে এর মধ্যে ছিল , তাই সেটা খতিয়ে দেখার কোনো সুজুগ নেই। এছাড়া এমনিতেই তারা ভয়ে ছিল রাস্তার এই খারাপ অবস্থা দেখে , খুবই সাবধারণা অবলম্বন করে বাইকে চালাতে হচ্ছিল তাকে। তবে সেই বেপারটা তাদেরকে খুবই অবাক করেছিল কেননা এমনটা হওয়ার কোনো কোনো মানেই ছিল না। আসে পাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই তাহলে একটা মাঠে এতো গুলো মানুষ কেন একটা টেবিল এর মাঝে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখবে ? এই সব প্রশ্ন তাদের মনে বার বার করা নাড়ছিলো। আর রাস্তা গুলো ছিল ভয়ংকর সুন্দর, ২ পাশের ২ ধারে ছিল ধান ক্ষেত্রে আর তার মাঝ দিয়ে একটা সরু রাস্তা। আসে পাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই , সব গুলি অনেক দূরে দূরে দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো।

এইসব করতে করতে তারা যেন তেন করে পৌঁছে গেলো সেই বিখ্যাত দই এর দোকানে। সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর , তারা রওয়ানা হল বাড়ির উদ্দেশ। এবং এইবার তারা ঠিক যে পথে এইখানে এসেছিলো সেখান দিয়ে ব্যাক না করে অন্য একটা পথ বেছে নেয়। তবে ঠিক অন্য পথের মোড় নেয়ার আগ মুহূর্তেই ছিল সেই মানুষে ঘেরা মাঠটি যেখানে কিনা বহুত মানুষ মাঝে একটি টেবিল দাড়া করিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছে।

তবে সব থেকে অবাক করা বেপার ছিল ঠিক সেই মাঠটায় আসার সময় একটা মানুষও ছিল না। যেটা লক্ষ্য করে তারা রীতিমতো ভয়ই পেয়ে যায়। কেননা , তারা প্রায় ৩০ মিনিট আগেই দেখে গিয়েছিলো এই মাঠটায় এতো এতো মানুষের সমাবেশ , সেটা কিভাবে ৩০ মিনিট এর মধ্যে জনশূন্য হয়ে উঠতে পারে।

তারপর কি হতে পারে সেটা ? কেনই বা এতো নির্জন একটি জায়গায় এতো এতো মানুষের সমাবেশ হয়েছিল আর সেটা এতো তাড়াতাড়ি কিভাবেই বা উধাও হয়ে গেলো ? জানতে হলে পড়তে হবে পরবর্তী পর্ব।

চলবে.......

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত সমস্যার মধ্যে পড়ে যাই। তাদের সাথেও মনে হচ্ছে তেমনটা হয়েছিল। যাইহোক ভৌতিক গল্প পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার মনে হয় কয়েকটি জ্বীন মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আশা করি পরবর্তী পর্বে সেটা জানতে পারবো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আমি তো আপনার লেখা গল্পটা পড়ার সময় অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার তো মনে হচ্ছে ওই বাইকের মধ্যে আমি ছিলাম। আর এরকম অদ্ভুত দৃশ্য যেন আমি নিজের চোখেই দেখেছি। গল্পটা পড়ার সময় একেবারে গল্পের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছিলাম, নিজেকেই বসিয়ে দিয়েছি তাদের জায়গায়। বিষয়টা কিন্তু আসলেই অবাক করার মত ছিল। কিছুক্ষণ আগে এতো মানুষ ছিল যেখানে, সেখানে কিছুক্ষণ পর আবার শুন্য হয়ে গেলো কিভাবে? আর ওই লোকগুলো মোমবাতি জ্বালিয়ে বা কি করছিল ওখানে। আমার তো মনে হচ্ছে ওদের জায়গায় ভূত ছিল। এটা ভাবতেই তো ভয় লাগতেছে। তাদের দুজনের সাথে শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

ভয়ংকর ভুতের গল্প গুলো পড়লেই গাঁ শিউরে উঠে। তবে এখনো পর্যন্ত কিন্তু এই গল্পের মধ্যে একেবারে ভয়ংকর কিছু ঘটেনি, শুধুমাত্র ওই লোকগুলোকে দেখা ছাড়া। কিন্তু লোকগুলোর কথা আপনি এমন ভাবে বলেছেন, লোকগুলোর বিষয়ে ভাবতেই আমার ভয় লাগতেছে। সেই লোকগুলো কি সত্যি মানুষ, নাকি জ্বীন ভূত এটাই তো বুঝতে পারছি না। গ্রামে এরকম ভয়ানক ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটে। কিন্তু আমি তো এটা ভাবতেছি যাদের সাথে ঘটনাটা ঘটেছে তখন তাদের অবস্থা কি রকম ছিল। আর পরবর্তীতেই বা কি ঘটেছে। অনেক প্রশ্ন মাথায় আসছে। আশা করছি সব প্রশ্নের উত্তর পরবর্তী পর্বে পাবো।

আমার মনে হচ্ছে গল্পটা বেশ ভয়ঙ্কর হতে চলেছে আপু। আমার প্রথম সন্দেহটা হয়েছে যে, এতগুলো মানুষ একটা ফাঁকা মাঠের ভিতর টেবিলের উপর মোমবাতি কেন জ্বালিয়ে রাখবে! তারপর আবার নাকি তাদের আসার সময় দেখতে পাওয়া যায়নি। সুতরাং কিছু একটা ভয়ংকর তো ঘটবে। যদিও এই পর্বে ভূতের কোন অস্তিত্ব পাওয়া গেল না, আশা করি পরবর্তী পর্বে সেটা পাব।