একটি ভৌতিক ও ভয়ংকর ঘটনা
আমি বেশ কিছু দিন যাবৎ অসুস্থতা অনুভব করছি। তাই ভাবলাম শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আসি। আমার গ্রাম থেকে শহরের রাস্তা প্রায় একশো দশ কিলোমিটার। তিন থেকে চার ঘন্টাও লেগে যায়। যাইহোক সেখানে আমার কোনো এক আত্মীয়ের বাসায় উঠি ও সেখান থেকে আমি আমার চিকিৎসা করতে থাকি। এভাবেই কেটে গেলো বেশ কয়েক দিন। একদিন রাত প্রায় গভীর। আমি জানিনা সেদিন আমার কি হয়েছিল। আমি হুট করেই আমার জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছি বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তখন বাজে প্রায় রাত তিনটা। সত্যি আমি আমার সকল কিছু নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে সোজা বাস স্টেশন চলে আসি। আমরা হয়তো এটা সকলেই জানি রাত তিনটায় বাংলাদেশের কোনো জায়গা থেকেই কোনো ধরণের গাড়ি ছাড়া হয়না প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া। কিন্তু আমি একটা গাড়ি পেয়েছি আর সেটা ছিল গ্রামের পথে চলার মতো একটা লোকাল বাস।
একটা বিষয় বলে রাখি আমি যে বাস স্টেশনে ছিলাম সেখানে আরো বেশ কিছু মানুষ ছিল যারা আমার মতো কোথাও যাবে আর তারাও বাসের জন্য অপেক্ষা করছে অনেক সময় ধরে। তবে আমি যে বাসটিতে উঠলাম সেই বাসে আমি ছাড়া আর কোনো যাত্রী উঠলোনা। আমি একটু অবাক হলাম যে তারা কেন উঠলোনা এই বাসটিতে। যায়হোক আমি বাসটিতে উঠার পর যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। বাহির থেকে এটি একটি লোকাল বাসের মতো দেখা গেলেও ভিতরের দৃশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই বাসের মধ্যে কোনো সিট ছিল না, ছিল হসপিটালে থাকা বিছানা গুলো আর সেই বিছানায় শুয়ে আছে সারাশরীর ব্যান্ডেজ করা কিছু মানুষ। দেখে যেন মনে হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই কোনো রোড এক্সিডেন্টে এমন ভাবে আহত হয়েছে যে তারা বেঁচে থাকার আকুল আবেদন করছে ও যন্ত্রনায় ছটপট করছে। এমনকি যে মানুষটি গাড়ি চালাচ্ছিল তারও সমস্ত শরীলে সাদা ব্যান্ডেজ করা। একটা হাত ব্যান্ডেজ দিয়ে গলায় ঝুলানো ও একটা পা সামনের দিকে সোজা করে রেখেছে আর বাকি একটা পা ও একটা হাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। আমি বাসে উঠার সাথে সাথে বাসটি এত দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করলো যে আমি চাইলেও বাস থেকে নামতে পারছি না।
ভয়ে আমার সারাশরীর কাঁপছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আমি এখন কি করবো। বিছানায় শুয়ে থাকা প্রতিটি অসুস্থ মানুষ এক ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম গাড়িটি কোনো রাস্তা দিয়ে চলছে না গাড়িটি সম্পূর্ণ এক ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর এত কিছু দেখার পরেও আমি কি ভাবে সবকিছু অনুভব করতে পারছি ও আমি সব কিছু দেখতে পারছি তা আমি জানি না। আমি এখনো জানিনা আমি কোথায় যাচ্ছি ও আমার কি করা উচিৎ। আর ঠিক তখন আমি একটা চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠি। তারমানে এগুলো আমার একটা ভয়ংকর খারাপ স্বপ্ন ছিল। উফফ কি বাঁচা বেঁচে গেলাম যদি এমন কিছু বাস্তবে ঘটতো তাহলে হয়তো আমি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতাম।
বালিশের পাশে থাকা ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি সকাল সাতটা বাজে। এমন বাজে একটা স্বপ্ন দেখার মতোই এই টাইমটা। আমরা সকলেই কিছুনা কিছু স্বপ্নে দেখি কিছু স্বপ্ন মনে থাকে আবার কিছু স্বপ্ন ঘুম ভাঙার সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে যায়। আজকে আমি আমার দেখা একটা খারাপ ও ভয়ংকর স্বপ্ন শেয়ার করলাম আর এই স্বপ্নের ব্যাখ্যাটা সকলেই ভালো কিছু বলবেন খারাপ কিছু না বলাটাই ভালো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
বাপরে। সত্যি ঘটনা পড়ে আমারই হার্ট এটাক হয়ে যাচ্ছিলো। আর আপনি তো স্বপ্নে দেখেছেন। যাক তাও ভালো এটা স্বপ্ন ছিলো। যদি বাস্তব হইতো। তাহলে আমাদের আইরিন আপুর কি হতো। কই পেতাম আমরা তাকে। হেহে। ভৌতিক অনেক বাস্তব ঘটনা আছে আমার জীবনে। শেয়ার করবো নে একদিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা আইরিন আপুকে আর পেতেন না, যাক দেখা শেষ করে ঘুম ভাংতেই আমি ও বলে ফেললাম বড় বাচা বেচে গেছি।এমন সপ্ন কেউ দেখে, হাহাহা, দারুন মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিদেশী হরর গল্পের মত মনে হচ্ছিল। আমার মনে হয় এসব স্বপ্নের কোন ব্যাখ্যা নেই।উত্তপ্ত মস্তিস্কের কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। ভাগ্যিস স্বপ্নই দেখছিলেন। বাস্তব হলে কি হত একবার ভাবুন তো। ভালোই তো গল্প লিখতে পারেন আপু। চালিয়ে যান।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা আমার ও তাই মনে হয়, আন্তাজি কি সপ্ন দেখলাম নিজেও বুঝি না, তবে সত্যি সপ্নটা খুব ভয়ানক ছিল, এতো প্রশংসা করলে আবার কিন্তু সপ্ন বানায় লেখা শুরু করবো হিহিহি, , যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া,
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit