নির্জন সেই গ্রামীণ রাস্তা (দ্বিতীয় পর্ব )
এই গল্পের প্রথম পর্বে বলেছিলাম গ্রামের সেই রাস্তার পাশে ঘটে যাওয়া কিছু অদ্ভুত ঘটনা গুলো। আজকে ঠিক তার পর থেকে শুরু করবো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে সেটি।
রাস্তার পাশে সেই বিশাল বড় লোকসমাগমের কথা ভাবতে ভাবতে তারা পৌঁছে গেলো অন্য একটা রাস্তায়। জায়গাটা আসলেই ভয়ংকর। এছাড়াও এই জায়গার বেশ কিছু পুরোনো গল্পকথা রয়েছে। অনেকেই এই জায়গা নিয়ে অনেক কথা বলে , তবে আসল বিষয় হচ্ছে ওরা ২ জন জানতই না এইসব বেপারে। যদিও ঐসব গল্পকথার অনেক আগের। তবে এখনো তেমন একটা বসতি দেখা যায়না এই জায়গাটাতে। সেটা কি আসলেই এমন অলৌকিক কোনো শক্তির কারণে নাকি অন্য কোনো কারণ সেটা আমারও ঠিক জানা নেই।
সেই নিস্তব্দ ভয়ংকর রাস্তা দিয়ে তারা তারা পার হচ্ছিলো আর ভাবছিলো সেই নির্জন এলাকায় কিভাবে এতো মানুষের সমাগম হয়েছিল। আর হটাৎ কিভাবেই বা উধাও হলো। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে তারা এমন একটা জায়গায় পৌছালো যেখানে কিনা একটা বিশাল বড় বাড়ি ছিল। আর এই বাড়িটা ছিল পূর্ণ আমলের সব থেকে প্রথম বিল্ডিং বাড়ি। বড় বলতে আমি বিল্ডিং এর উচ্চতা বুঝাইনি , আমি বলতে চেয়েছি এর প্রশস্থ নিয়ে। অনেক বিশাল বড় বাড়ি , চারি দিক থেকে ঘেরাও দেয়া ইট এর দেয়াল দিয়ে। আর ঠিক এইখানেই ঘটেছিলো প্রায় ২-৩ বছর আগে এক খুন। রাতের আঁধারে নির্জন পরিবেশে এক লোক তার স্ত্রীকে খুন করেছিল এই বাড়ির পাশে। কেননা আগেই বলেছিলো আসে পাশে তেমন কোনো বসতবাড়ি নেই তার উপর এতো বড় বাড়ি পুরোটাই ছিল ফাঁকা। কাউকে খুন করলে কেউ টেরও পাবে না।
ঠিক যখনি তারা সেই বাড়িটি অতিক্রম করে সামনে যাবে হটাৎ চমক একটা চিৎকার এর শব্দ শুনতে পেলো। প্রথমে শুনাতেই বুঝে গেলো এটা কোনো মেয়ের কণ্ঠ। চিৎকারটা ছিল বেশ জোরে শোরে। চিৎকারটা শুনার পর হটাৎ করেই তারা থেমে গেলো। প্রায় ১ -২ মিনিট অপেক্ষা করার পর আর কোনো শব্দই শুনতে পাচ্ছিলো না। তারা ভাবলো হয়তো কোনো একটা মহিলা বা মেয়ের বিপদ হয়েছে , তাছাড়া এতো জোরে কারোর চিৎকার করার মানেই হয়না।
তারপর তারা সিদ্ধান্ত করলো বাইক থেকে নেমে দেখবে এই বাড়িতে কেউ কি কোনো বিপদে আছে কিনা। তবে সব থেকে অবাক করা বেপার হলো এই বাড়িটা প্রায় ৯ বছর ধরে খালি পরে আছে। আগেকার দিনের বৃত্তবানদের বাড়ি , বর্তমানে সবাই দেশের বাইরেই থাকে। প্রায় ৪-৫ বছর পর পর দেশে আসে , তাও কিনা শহরেই হোটেলই থেকে যান কয়েকটা দিন। যদিও এই বাড়ির দেখা শুনা করার জন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলো তো সে কিনা সপ্তাহেও একবার এসে দেখা যায়না।
যাই হোক , এইসব কথা তারা ২ জন কিছুই জানতো না। তাই তারা চিন্তা করলো সেই বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখবে কারোর কি আদেও কোনো হেল্প লাগবে কি না।
চলবে.......
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
তারা ২ জন এই বাড়িতে হেল্প করার উদ্দেশ্যে ঢুকে তো নিজেরাই বিপদে পড়ে যাবে। যে মহিলাকে এই বাড়িতে খুন করেছিল,সেই মহিলার আত্মা মনে হয় এই বাড়িতে ঘুরাঘুরি করে এবং মাঝেমধ্যে এমন চিৎকার দিয়ে থাকে। এই পর্বটি পড়ে বেশ উত্তেজনা কাজ করছে নিজের মধ্যে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নয় বছর ধরে খালি পড়ে থাকা বাড়িতে হঠাৎ করেই মহিলার চিৎকার, এটা তো অবশ্যই ভয়ঙ্কর একটা বিষয়। তবে যে কেউ এই ধরনের চিৎকার শুনলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতই। এক্ষেত্রে তারা যে বাইক থেকে নেমে দেখতে গেছে, এটা একদমই নরমাল। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে তারা বাড়ির ভিতর গিয়ে ভয়ঙ্কর কিছু দেখতে পায় কিনা। আজকের পর্বটাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit