অনুতপ্ততা

জীবনে এমন কিছু সময় চলে আসে যেটা অকল্পনীয়। যা কখনো আশা করিনি কিংবা চিন্তাও করিনি। জীবন নিয়ে আমি অনেক ভাবে জীবনের বাস্তবতা,জীবনের অনুভূতি, জীবনের গল্প শেয়ার করেছি, আর প্রতিটা গল্প কিংবা লেখাতেই ছিল জীবন সবসময় একরকম থাকেনা। সময় যেভাবে পরিবর্তন হয় ঠিক তেমনি জীবনের ধারাবাহিকতাও পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সেটা হয়তো কারো জীবনে উন্নতি ঘটাই আবার কারো জীবনে অবনতি। আজ ধনী তো কাল গরিব আবার আজ গরিব তো কাল ধনী। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

মানুষের জীবনে কিছু প্রশ্নের কোনো উত্তর হয়না কিংবা সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর জানা থাকেনা। জীবনের হিসাব মিলানো যেমন কঠিন একটি কাজ ঠিক তেমনি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়াটাও খুব কঠিন হয়ে পরে। সত্যি এমন কিছু ভুল আমি করেছি যেগুলোর হয়তো কোনো উত্তর আমার কাছে নেই আর কখনো দিতে পারবো বলেও মনে হয়না। তবুও কারো উপর আমার কোনো ধরণের রাগ কিংবা খোপ নেই, কারণ যা হয়েছে সঠিক ও ন্যয় বিচার হয়েছে।

জীবনটা অনেক ছোট, আর এই ছোট জীবনে যা পেয়েছি তা হয়তো আমার মতো এমন অনেকেই পাইনি তাই বলে কি কারো জীবন থেমে গিয়েছে!! না। স্রোত ও সময় যেমন গতিশীল ঠিক তেমনি জীবনের সময়টাও গতিশীল। তবে সেই গতিশীল সময়টা হয়তো কখনো খারাপ আবার কখনো ভালো। সময় কখনোই সবসময় একই রকম যায়না। ভালোর পরে খারাপ আর খারাপের পর ভালো কিছু আসবে এটাই নিশ্চিত।

তবে মূল বিষয় হচ্ছে খারাপ সময় থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা আর সেই শিক্ষা আশেপাশের সকলের সাথে শেয়ার করা। যাতে করে কেউ কখনো এমন ভুল কিছু না করতে পারে। জীবনে কেউ কখনো কোনো ধরণের ভুল না করে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। আর সেই ভুল থেকে একটা মানুষ এমন ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে যেন সে একটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে ও নতুন করে সঠিক ভাবে সবকিছু শুরু করেছে। আর এই ভুল থেকেই হতে পারে একটা মানুষের উন্নতির আরেকটা ধাপ।

ভুল কিংবা অপরাধ করা এমন একটা কাজ যার কারনে কখনো মাথা উঁচু করা যায় না। যার কারণে কখনো নিজেকে সবার সাথে মিলানো যায়না। শুধু অনুতপ্ত হয়ে ও ছোট হয়ে থাকতে হয় সকলের কাছে। নিজের ভিতরে থাকা কষ্টটা শেয়ার করা যায়না, অনুভূতি গুলো কারো সাথে প্রকাশ করা যায় না। আর কেউ সেটা কখনো বুঝতেও চায়না আর এটাই স্বাভাবিক আর এটাই বাস্তবতা। তবে কখনোই ভুলের উপর আবার ভুল করা যাবেনা। সারাজীবন সেই ভুল কে মনে নিয়ে ও সেই ভুল থেকে পাওয়া শিক্ষাকে মনে নিয়ে সামনে আগাতে হবে তাহলেই জীবনে আবারও ভালো কিছু হবে বলে আশা করা যায়। তবে সেটা কখনোই ভুলের উপর আবার ভুল করে না।

শিক্ষার কোনো বয়স হয়না আবার ভুল করারও কোনো বয়স হয়না। যেকোনো বয়সের মানুষ যেভাবে ভুল কিংবা অপরাধ করতে পারে ঠিক তেমনি সেখান থেকে শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারে আর এটা কোনো লজ্জার কাজ না কিংবা ছোট হয়ে যাওয়া না। তবে সবসময় নিজেকে শান্ত রেখে ভালো ভাবে ভালো কিছু করতে পারাটাই হচ্ছে এখন জীবনের মূল উদ্দেশ্য।