রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - জানালার ওপাশে (তৃতীয় ও শেষ পর্ব )

in hive-129948 •  8 months ago 

জানালার ওপাশে (তৃতীয় ও শেষ পর্ব )

window-1533513_1280.jpg

image source

দ্বিতীয় পর্বের পর

সে এমন একটি জায়গায় টার্গেটকে খুঁজতো যেখানে থাকতোনা কোনো সি সি ক্যামেরা , কখনো তার ফোন থেকে টার্গেটেকে ফোন করা হতোনা কিংবা টার্গেটের ফোন থেকেও তার ফোনে কখনো ফোন আসতোনা। আর তাই সে কখনো ধরা খাইনি। আর কেউ কোনো ভাবে তাকে সন্দেহও করেনি। আর এভাবেই সে প্রতিনিয়ত তাজা রক্ত দিয়ে গোসল করতো। এটা যেন ছিল তার নেশা। যদি কোনো দিন তার টার্গেট মিস হয়ে যেত সেদিন সে সারারাত ঘরের বাইরে কাটাতো। ঘরের ভিতর প্রবেশ করতোনা।

একটা সময় ওই ব্যাক্তিটিকে অন্য কোনো জায়গায় ট্রান্সফার করা হয় আর তার এই জায়গায় আমার বাবাকে দেয়া হয়। সেই সুবাধে আমাদের এই বাসায় আসা হয়। আর সে এই বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার আগেই জানালাটিকে এমন ভাবে আটকে গিয়েছে যেন কেউ এই জানালাটি খুলতে না পারে, আর কেউ তা বুঝতেও না পারে। এরপর পুলিশ এই মানুষ নামের পশুটিকে ধরতে সক্ষম হয় ও সকল তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে ফাঁসির কার্যকর করে। আর সরকারি ভাবে এই বাড়িটাকে নিষিদ্ধ বাংলো কিংবা নিষিদ্ধ এলাকা একটি সাইবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়, যাতে করে কেউ এই বাড়িটিতে আসতে না পারে ও এমন খারাপ কাজ কেউ করতে না পারে।

আর তদন্ত করে জানা যায় রাত হলে জানালার ওপাশ থেকে যে শব্দটি হতো সেটি করতো শেয়ালের দল। কারণ তারা প্রতি রাতে একটি তাজা দেহ পেতো এই জানালা দিয়ে, যেটাকে তারা সবগুলো মিলে ছিড়ে ছিড়ে খেত। বেশ কয়েকদিন ধরে এই তাজা দেহ না পাওয়াতে শেয়ালগুলো অনেক বেশি ক্ষুদার্ত হয়ে যায় আর এই জানালার কাছে এসে তাজা দেহের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ও জানালায় লেজ দ্বারা বাড়ি দিতে থাকে।

আমার লেখা জানালার ওপাশে গল্পটি হয়তো আমি নিজে থেকে সাজিয়ে নিজের মতো করে লিখেছে তবে এমন ঘটনা যে পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি কিংবা ঘটতে পারে না তা কিন্তু নই। আমরা সবাই বাবার বয়সী লোকদের সম্মান করি ও তারা কোনো সমস্যায় পড়লে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে এই সাহায্য কিংবা এগিয়ে যাওয়া যদি হয় আমার জীবনের শেষ যাওয়া তাহলে বিষয়টি কতটা খারাপ হতে পারে।

আমরা জীবনে এমন অনেক কিছুই ভুল করি যা আমাদের ধারণা কিংবা কল্পনারও বাহিরে। আজকের গল্পের এই বাবার বয়সী লোকটিকে সাহায্য করতে গিয়ে কত গুলো তাজা প্রাণ হারিয়েছে সে বিষয়টাও ধারণা কিংবা কল্পনার বাইরে। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ নামের হিংস্র প্রাণী ফাঁদ ফেতে বসতে পারে যে কোনো জায়গায়। তাই আমরা যায় করিনা কেন, কখনো কোনো অপরিচিত লোকের বাসায় যাওয়া থেকে বিরত থাকবো ও অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কোনো ধরণের খাবার কিংবা পানি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবো।

সমাপ্ত.......

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু এই ধরনের ঘটনা বাস্তবেও ঘটে। কারণ যারা চরিত্রহীন, তারা বাবার বয়সী কেনো,দাদার বয়সী হলেও স্বভাব ভালো হয় না। তাই সবার উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। বিপদগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করা উচিত আমাদের, তবে বুঝে শুনে করতে হবে। আসলে এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলোর জন্যই, দিন দিন মানুষ উপকার করা কমিয়ে দিচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে মানুষজন এখন নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছে। তবে এই পিশাচ টাইপের লোকটা ধরা পরেছে এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথমত আপু আমি তো গল্পটিকে সত্যি বলেই ভেবে নিয়েছিলাম। আমি এই গল্পটির প্রথম দ্বিতীয় এবং এই তৃতীয় নং তথা শেষ পর্বটি পড়লাম তাতে মনে হয়েছিল যে ঘটনাটি হয়তো আপনার নিজের সাথেই ঘটেছিল। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা না করুক এরকম ঘটনা যেন বাস্তবিক রূপ না নেই। আসলেই আমাদের উচিত হচ্ছে কারো থেকে বা কোন অপরিচিত লোকদেরকে শুধু সাময়িক সময়ের জন্য সাহায্য করা গভীর সাহায্য বা তাদের সাথে বাসায় যাওয়া মোটেও উচিত নয়। অবশেষে আপনার এই গল্পটি থেকে আমরা শিক্ষণীয় কিছু বিষয় শিখতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ আপু গল্পের মাধ্যমে আমাদের মাঝে সতর্কতা মূলক শিক্ষনীয় বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ।