কান্না

in hive-129948 •  last year 

কান্না

image.png

image source

আজকে আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছি যেটি সবার চোখ দিয়ে অতিবাহিত হয় আর সেটির নাম কান্না। কান্নার মধ্যেও বেশ কিছু ধাপ আছে, যেমন অভিনয়ের কান্না, যা আমরা চোখ দিয়ে পানি বের হতে না চাইলেও এক রকম জোর করে বের করি ও বুঝানর চেষ্টা করি যে আমি অনেক কষ্টে আছি। আবার অনেকেই অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে কাঁদে যে কান্নায় থাকে মায়া আর ভালোবাসা যা সহজে মুছে ফেলা যায় না। তবে সব কান্নার থেকেও বেশি কষ্ট দায়ক কান্না কোনটা জানেন? যেটা বুকের গভীর থেকে বুক ফেটে কান্না আসে। তখন হয়তো একটা মানুষ তার মুখের আচরণে কান্নাটা ফুটে উঠে না, তবে চোখ দিয়ে অনগরত পানি পড়তে থাকে। ঠোঁট গুলো বাঁকা হয়ে আসে আর বুকের ভিতরটা যেন ফেটে চুরমার হয়ে যায়। সেই হুমুর্তে যেন মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হতে চাই না। মনের অজান্তেই তখন খুব ইচ্ছা করে একটি নির্জন জায়গায় গিয়ে জোরে চিৎকার করে কিছুক্ষন কেঁদে আসতে কিন্তু পরিস্থিতির কারণে হয়তো তেমনটাও করা যায় না।

আপনি কি কখনো খুশির কান্না করেছেন। এটাও এক ধরণের কান্না যা মানুষ অনেক বেশি খুশি হলে করে থাকে। তবে মানুষের জীবনে খুশির কান্না সংখ্যা দুঃখের কান্নার থেকেও অনেক কম। চোখ দিয়ে পানি পড়লেই সেটাকে কান্না করা বলে না কারণ চোখে পানি চোখের সমস্যা কিংবা অন্য কারণেও আসতে পারে। পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ কান্নার সাথে পরিচিত। তবে সব কান্না এক রকম নই। আজকে আমি আমার এই লেখার মধ্যে এই বিষয়টায় বুঝাতে চেয়েছি যে আমরা সবাই কান্না করলেও সব কান্না এক রকম নয়। কিছু কান্না অভিনয়ের , কিছু কান্না দুঃখের, কিছু কান্না আনন্দের , আবার কিছু কান্না বুকের ভিতরে এক রকম যন্ত্রনা দায়ক।

সব রকম খারাপ পরিস্থিতেই আমাদের কান্না চলে আসে নিজের অজান্তেই। তবে যে কোনো অবস্থাতে, যে কোনো পরিস্থিতে আমাদের ধর্য্য ধারণ করাটা খুব বেশি জরুরি ও নিজেকে নিজেই কিছু একটা বলে হলেও শান্ত করা উচিৎ। কারণ কান্না করাটাই সব কিছুর সমাধান না। তবে আমরা মানব জাতিরা কান্না বিষয়টিকে অনেক বেশি কষ্ট দায়ক মনে করি আর খুব তারাতারি কান্না দেখে ইমোশনাল হয়ে যায়। এটা সত্যি একজনের প্রতি আরেকজনের ভালোবাসা, মায়া কিংবা মহব্বত থেকে এই ইমোশনালটা কাজ করে। আর যদি সেই মানুষটির প্রতি আপনার কোনো অনুভূতি, মায়া, মহব্বত কিংবা ভালোবাসা কাজ না করে তাহলে সে হাজার কান্না করলেও আপনার কিংবা আমার মনে কোনো রকম ইমোশন কাজ করবে না। উদাহরণ স্বরূপ - একজন চোর। যাকে আপনি অনেক মেরেছেন, সে অনেক কেঁদেছে তবুও তাকে মেরেই যাচ্ছে। তার প্রতি কারো কোনো ইমোশন কাজ করে না।

শুনেছি অনেক বেশি কষ্টে যখন কান্না চলে আসে তখন ঘরের দরজা বন্ধ করে কান্না করলে নাকি মনের কষ্টটা অনেক হালকা হয়। এটা শুধুই শুনা কথা না এটা আসলেই সত্যি। কখনো কখনো কান্না আসলেও মানুষের সামনে সেটি প্রকাশ করা যায়না আর ঠিক তখনি বুকের ভিতরটা চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষন যদি নির্জনে বসে কান্না করা যায় তাহলে সত্যি অনেক বেশি হালকা মনে হয় নিজেকে। তবে শেষ মুহূর্তে একটা চিরোতর সত্য কি জানেন? আপনি আপনার সারাজীবনের কান্না একসাথে করলেও কোনো লাভ নেই, যদি না আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্যে করে না কাঁদেন। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন তুমি আমাকে উদ্দেশ্যে করে কাঁদো তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিবো। তাই আমি মনে করে চোখের পানি ছাড়লে শুধু একজনকেই উদ্দেশ্য করে ছাড়েন এতে করে দুনিয়াতেও আপনার শান্তি পরকালেও আপনার শান্তি আসবে। ইনশাআল্লাহ।

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই আপু পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের কান্না রয়েছে। তবে যখন বুক ফেটে কান্না আসে, তখন আশেপাশে থাকা মানুষজনের সামনে কখনোই চিৎকার করে কান্না করা যায় না। তাইতো নাটক সিনেমাতে দেখি ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে চিৎকার করে কান্না করে, তখন মনে হয় তাদের মন অনেকটা হালকা হয়। যাইহোক এমন অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই আমার। তাছাড়া অনেকে খুশির কান্না করে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সুন্দর পোস্ট করেছে আপনি সত্যি কান্না অনেক প্রকার।সব মানুষেই কান্নার সাথে পরিচিত কোন না কোন কারনে।কান্নার মাধ্যমে সত্যি মনের লুকানো চাপা পাথরের ন্যায় কষ্ট গুলো হালকা হয়ে যায়।মানুষের কষ্ট গুলো কান্না হয়ে ঝড়ে পড়ে জন্য মানুষ কান্না করলে কিছুটা হলেও হালকা অনুভব করেন কষ্ট গুলোকে।অসাধারণ সুন্দর পোস্ট করছেন আপনি। ধন্যবাদ

নানা রকমের কান্না নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন আপু।সত্যিই আপু শুধু কষ্টের কান্নাই নয় হাসির কান্নাও আছে।আর মানুষ যখন অনেক কষ্ট পায় তখন তার বুক ফেটে কান্না আসে।তখন কারো সামনে আসলে কান্না করা যায় না।তখন মনে হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে কিংবা খোলা কোথাও গিয়ে শব্দ করে কাঁদতে।নানা রকমের কান্না বিষয়ে জেনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুনেছি অনেক বেশি কষ্টে যখন কান্না চলে আসে তখন ঘরের দরজা বন্ধ করে কান্না করলে নাকি মনের কষ্টটা অনেক হালকা হয়।

হ্যাঁ আপু এই কথাটা আমিও বিশ্বাস করি।

Posted using SteemPro Mobile