ঈদের জন্য বাবা ছেলের ম্যাসিং পোশাকঃ

in hive-129948 •  7 months ago 
আসসালামু আলাইকুম

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা অনেক দিন আমার বাংলা ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম, কিন্তু মনটা কেমন যেন অস্থির অস্থির ছিলো, কারণ আমার মনে হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ থেকে দূরে থেকে অনেক কিছু থেকেই দূরে ছিলাম, তাই আবার বাংলা ব্লগে ফিরে আসলাম।

যা-ই হোক আজকে আমি আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আমার আজকের পোস্ট টা হচ্ছে ম্যাসিং পোশাক নিয়ে। ছোট বেলা থেকেই দেখতাম অনেক কাপল, কয়েক বন্ধু-বান্ধবী, বা বাবা সন্তান অথবা মা ছেলে মেয়েরা একই কালারের পোষাক পরিধান করে, কিন্তু আমার তার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ ই ছিলো না। তবে বিয়ের পরে স্ত্রী ও অনেকবার বলেছে যে আমরা একই কালার বা ম্যাসিং পোশাক বানাবো, তারপর ও আমি তেমন আগ্রহ দেখাই নি, কারণ আমার কেমন যেন লজ্জা লাগতো, গ্রামে বাস করি, গ্রামের মানুষ কি বলে না বলে ইত্যাদি।

IMG_20240411_101957_328.jpg

ইমেজ নম্বর-এক

এখন যে খুব বেশি ইচ্ছে করে ম্য্যসিং পোশাক বানিয়েছি সেটা কিন্তু নয়। হঠাৎ করেই হয়ে গেছে ব্যাপারটা। তাহলে বিষয়টা আপনাদেরকে খুলে ই বলি রোজার ঈদের সময় আমি আছরের নামায পড়ার জন্য মসজিদে যাই, নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি মসজিদের সামনে পিচ হিসেবে পাঞ্জাবীর কাপড় বিক্রি করছে। কাপড়ের কালাটা দেখে আমার পছন্দ হয় তারপর ও নেওয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো না, তবে যখন দোকানদার বললো যে এখানে ৬ গজ কাপড় আছে তখন আমার মাথায় আসলো যে যেহেতু ৬ গজ কাপড় আছে তাহলে আমি এবং আমার দুই ছেলের জন্য একটা করে পাঞ্জাবী ভালো ভাবেই হয়ে যাবে এরপর আমি দাম জিজ্ঞেস করলাম, দোকানদার আমাকে পুরো কাপড়ের দাম বললো ৫০০ টাকা, দামটা ও আমার কাছে সস্তাই মনে হলো তাই আর দেরি না করে সাথে সাথে ই কিনে ফেললাম।

এভাবেই আমরা ঈদে ম্যাসিং পোশাক এর মালিকানা লাভ করি।৷ কাপড়টা যখন বাড়িতে আনলাম তখন আমার স্ত্রী বললো যে আমার জামা আর ওদের পাঞ্জাবী হবে না, আমি বললাম হবে তো তাহলে তুমিই বানাও ওদের সাথে। কিন্তু সে বানায় নি। কারণ সে ও হয়তো বাবা-ছেলের কালার ম্যাসিংটাই দেখতে চেয়েছে।

IMG_20240411_102228_444.jpg

ইমেজ নম্বর-দুই

এরপর যথারীতি টেইলার এর কাছ নিয়ে গেলাম টেইলার কাপড় মেপে দেখে বললো যে আমার নিজের পাঞ্জাবী, বড় ছেলে নিহানের পাঞ্জাবী এবং ছোট ছেলে আয়ানের পাঞ্জাবী এবং পাজামা দুটোই হবে। আমি বললাম যেভাবে ভালো হয় সেটাই করেন। এরপর প্রায় ১৫ দিন পরে রোজার ঈদের তিনদিন আগে আমরা আমাদের পাঞ্জাবী ডেলিভারি পাই। এবং ঈদের দিনে পরিধান করে আমরা কিছু ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। অবশ্য কাপড় সময় যদি আমি আমার বাংলা ব্লগে এক্টিভ থাকতাম তাহলে হয়তো আরও বিস্তারিত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতাম।

IMG_20240411_102216_650.jpg

ইমেজ নম্বর-তিন
বন্ধুরা, আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন হলো তা আপনারা অবশ্য ই সুন্দর কিছু মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন এবং ভুল হলেও ধরিয়ে দিবেন তাহলে অবশ্যই সংশোধন করে নিবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkCyUAiXP2m1nJD351cseM5n4M89xXhNLcb3dfeBgH335jTD3fckm2SGxKbkuyaYT9Rbj1HAaZjPRVYnDLZispU1b7cSCEpskiFW34Y9LgmdWwdW6MPBDx.png

পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ
ডিভাইসTecho provoir 4
ক্যামেরা13MQUAD
ক্যামেরায়@azizulmiah
লোকেশনমাদারীপুর
ক্যামেরায়নিপা আক্তার

HFcFmHBiAeR2oP8xXotf9GhVZ2UVLfizAkm26SLD9Ksq63dTYvrrycGbUPAEdikxGD2cqVMH8heE8DJW36AaZjZ4fD6Yt6w5ks6jyrVJqR...SPKhpaGF3R77N6UCcw6tHuYvyw7YjLACEvtraNkFm1AbXaoof2ZWppk6CphcwuiCL9iHDNMmYZX8Bq4y4gXniUDWXhBKVWevHte3V4qsJQhXhen8d6ttKVvadL.png

আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RhGizFPt7pq1NV5TbDgTBNyUZkBMxfCc9BTZegJAQT3VLo2Z3uHWoz1P3mPNn6jveQHokmzzbEpbEBt5Z5t4w8.png

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAM3QQ7FR6kib75sNWjeyY2KuEUDi8sz6bqHr6btS4ZpMjd6ZzLZfSH89YMHKJv...3fzs3sFLFAqLELDokXmVgfJ6YVr36Qp4638DGsHpuyWTc5MpwFu6c7wPYBdkH2rWxh2Ga7BCLPL77Z7xxfhZoshrNvtpGsWzLs2U3qCa94pcxDkP5iJQ32gXxJ.png

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaE82pVbSeSRDwGwmwS6ZeUQP9pFNrFLbT4VzSCda2gnv1GJ9WwWns32xTfSaY...BpX9Edn8Wydi9cHhsMusgC8fAWDsSPmRZSTNKodnki6hi9yMKwtdjNwgrTWtL371U7U4FvMXuaDxGP5inAsXCk7QrSn6tpBhdCUivAPXTHx53b6Ln3LSyqimA6.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxLUy5tRWHZwoPkvkw4cLv9wovLuMmF7ZGAf4DAwsJfZ4uGNX7qG1KHTDN8Q1...bfFoudbaKZ5Vzsde5eATfH2qnmXwui7kQzogqp1a2ZKtDZmWpxMNYWMHX3NCBZ9mC9NHDzBd7K4gJTgV42NDT6Wu5KwX8mB5gYrCgUbVjh2urpH5Xg7YyNLnza.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঈদের জন্য আপনাদের মেশিন করা পাঞ্জাবি বেশ মানিয়েছে। বাবা ছেলে একসাথে মেসেঞ্জারে পোশাক পড়েছেন তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বেশি। অবশ্যই এই সৌন্দর্য দীর্ঘদিন টিকে থাকবে এই প্লাটফর্মে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে।

ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনাদের বাবা ছেলের ম্যাচিং ম্যাচিং পাঞ্জাবি সত্যি ভীষণ চমৎকার লাগছে ভাইয়া। হঠাৎ করেই আপনার ম্যাচিং হয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। ভাবিরও নিতে পারতেন কিন্তু সাথেই কাপড় তাহলে ভাবি জামা বানাতে পারতেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। রাসেলের ম্যাচিং ড্রেসের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে ধন্যবাদ পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনেক বানান ভুল করছেন

ওকে ভাইয়া