আসসালামু আলাইকুম |
---|
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
যা-ই হোক আজকে আমি আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আমার আজকের পোস্ট টা হচ্ছে ম্যাসিং পোশাক নিয়ে। ছোট বেলা থেকেই দেখতাম অনেক কাপল, কয়েক বন্ধু-বান্ধবী, বা বাবা সন্তান অথবা মা ছেলে মেয়েরা একই কালারের পোষাক পরিধান করে, কিন্তু আমার তার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ ই ছিলো না। তবে বিয়ের পরে স্ত্রী ও অনেকবার বলেছে যে আমরা একই কালার বা ম্যাসিং পোশাক বানাবো, তারপর ও আমি তেমন আগ্রহ দেখাই নি, কারণ আমার কেমন যেন লজ্জা লাগতো, গ্রামে বাস করি, গ্রামের মানুষ কি বলে না বলে ইত্যাদি।
ইমেজ নম্বর-এক
এখন যে খুব বেশি ইচ্ছে করে ম্য্যসিং পোশাক বানিয়েছি সেটা কিন্তু নয়। হঠাৎ করেই হয়ে গেছে ব্যাপারটা। তাহলে বিষয়টা আপনাদেরকে খুলে ই বলি রোজার ঈদের সময় আমি আছরের নামায পড়ার জন্য মসজিদে যাই, নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি মসজিদের সামনে পিচ হিসেবে পাঞ্জাবীর কাপড় বিক্রি করছে। কাপড়ের কালাটা দেখে আমার পছন্দ হয় তারপর ও নেওয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো না, তবে যখন দোকানদার বললো যে এখানে ৬ গজ কাপড় আছে তখন আমার মাথায় আসলো যে যেহেতু ৬ গজ কাপড় আছে তাহলে আমি এবং আমার দুই ছেলের জন্য একটা করে পাঞ্জাবী ভালো ভাবেই হয়ে যাবে এরপর আমি দাম জিজ্ঞেস করলাম, দোকানদার আমাকে পুরো কাপড়ের দাম বললো ৫০০ টাকা, দামটা ও আমার কাছে সস্তাই মনে হলো তাই আর দেরি না করে সাথে সাথে ই কিনে ফেললাম।
এভাবেই আমরা ঈদে ম্যাসিং পোশাক এর মালিকানা লাভ করি।৷ কাপড়টা যখন বাড়িতে আনলাম তখন আমার স্ত্রী বললো যে আমার জামা আর ওদের পাঞ্জাবী হবে না, আমি বললাম হবে তো তাহলে তুমিই বানাও ওদের সাথে। কিন্তু সে বানায় নি। কারণ সে ও হয়তো বাবা-ছেলের কালার ম্যাসিংটাই দেখতে চেয়েছে।
ইমেজ নম্বর-দুই
এরপর যথারীতি টেইলার এর কাছ নিয়ে গেলাম টেইলার কাপড় মেপে দেখে বললো যে আমার নিজের পাঞ্জাবী, বড় ছেলে নিহানের পাঞ্জাবী এবং ছোট ছেলে আয়ানের পাঞ্জাবী এবং পাজামা দুটোই হবে। আমি বললাম যেভাবে ভালো হয় সেটাই করেন। এরপর প্রায় ১৫ দিন পরে রোজার ঈদের তিনদিন আগে আমরা আমাদের পাঞ্জাবী ডেলিভারি পাই। এবং ঈদের দিনে পরিধান করে আমরা কিছু ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। অবশ্য কাপড় সময় যদি আমি আমার বাংলা ব্লগে এক্টিভ থাকতাম তাহলে হয়তো আরও বিস্তারিত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতাম।
ইমেজ নম্বর-তিন
বন্ধুরা, আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন হলো তা আপনারা অবশ্য ই সুন্দর কিছু মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন এবং ভুল হলেও ধরিয়ে দিবেন তাহলে অবশ্যই সংশোধন করে নিবো। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর |
ক্যামেরায় | নিপা আক্তার |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXKPyydoaz3nwFV899PaLrnBMD2QgvjXn4gRzXZ5f4LH3/222.jpg)
ঈদের জন্য আপনাদের মেশিন করা পাঞ্জাবি বেশ মানিয়েছে। বাবা ছেলে একসাথে মেসেঞ্জারে পোশাক পড়েছেন তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বেশি। অবশ্যই এই সৌন্দর্য দীর্ঘদিন টিকে থাকবে এই প্লাটফর্মে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের বাবা ছেলের ম্যাচিং ম্যাচিং পাঞ্জাবি সত্যি ভীষণ চমৎকার লাগছে ভাইয়া। হঠাৎ করেই আপনার ম্যাচিং হয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। ভাবিরও নিতে পারতেন কিন্তু সাথেই কাপড় তাহলে ভাবি জামা বানাতে পারতেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। রাসেলের ম্যাচিং ড্রেসের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে ধন্যবাদ পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনেক বানান ভুল করছেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওকে ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit