আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি কবিতা শেয়ার করবো। কবিতাটির নাম দিয়েছি ঘরণী। ঘরণী হচ্ছেন আমার প্রিয় মানুষ, আমার জীবন সঙ্গী, আমার সুখ দুঃখের সাথী, আমার সহধর্মিণী। আমরা কি কখনো চিন্তা করি যে একটা মেয়ের ঘরণী হওয়ার পিছনের গল্পটা কতটা লম্বা বা কতটা জটিল। কোন পরিস্থিতিতে একটা অচেনা মানুষ আর একটা অচেনা মানুষের কাছে এসে নিজেদের মধ্যে একটা নতুন বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আমরা হয়তো অনেকই জানি না।একটা মেয়ের ঘরণী হওয়ার পিছনের কাহিনীটাই আমি আমার এই ঘরণী কবিতায় তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
তারিখঃ ১৫ ই আশ্বিন ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দ(বাংলা)। |
Copyright free image source:pixabay
তুমিই আমার ঘরের লক্ষ্মী
আমার ঘরনী,
আমার ঘরের সুখে দুঃখে
জড়িয়ে আছো তুমি।।
ঘরটিকে তুমি আপন মনে
আগলে রাখো সারাক্ষণ,
হোক না সেটা নিজের কিংবা
অন্যের গড়া ভবন।।
অজানা আর অচেনা আমাকে
করেছ তুমি আপন,
ক্ষনিকের একটু বোঝা পড়ায়
দিয়ে দাও তোমার মন।।
দেখনি তুমি আমার বাড়ি
দালান-কোটা না ছাউনি,
বাবা-মাকে বিশ্বাস করেই
পড়েছ বিয়ের শাড়ি।।
এসে দেখলে ঘরটি আমার
ভেন্না পাতার ছাউনি,
একটু খানি বৃষ্টি হলেই
গড়িয়ে পড়ছে পানি।।
তারপর ও তুমি যাওনি ছেড়ে
আমার মায়ায় পড়ে,
জীবন গড়ার স্বপ্ন বুনেছ
আমার ভাঙ্গা ঘরে।।
ভালবাসায় আপন করে তুমি
অচেনাকে করেছ আপন,
সুখ-দুঃখকে মেনে নিয়ে তুমি
গড়েছ সুখের ভূবন।।
ভাঙ্গা ঘরকে গড়তেই তুমি
ছেড়েছ রক্তের বন্ধন,
স্বর্গের ছোঁয়ায় ভরিয়ে তুলেছ
অচেনা দুটি জীবন।।
আজ ঘরের প্রতিটি কোণে
তোমার সৃষ্টির ছোঁয়া,
গর্বে আমার বুক ভরে যায়
এ যেন স্বর্গ পাওয়া।।
থাকলে পাশে তুমি আমার
চাইনা এই ধরণী,
তুমি আমার এই জীবনের
দুঃখ সুখের ঘরণী।
কবিতাটি সম্পুর্ণ আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিমত বা ধারণা থেকে লেখা হয়েছে এবং আমার জীবনের বাস্তবতার আঙ্গিকে লেখা। জানি না কবিতাটি কারো ভালো লাগবে কিনা। তবে আমার মনে হয় সবার জীবনের বাস্তবতাই এমন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
আপনি ঠিকই বলেছেন ঘরণী হচ্ছেন আমার প্রিয় মানুষ, আমার জীবন সঙ্গী, আমার সুখ দুঃখের সাথী, আমার সহধর্মিণী। আমরা কি কখনো চিন্তা করি যে একটা মেয়ের ঘরণী হওয়ার পিছনের গল্পটা কতটা লম্বা বা কতটা জটিল। সত্যি বলতে আপনার কবিতা ওরে আমার কাছে অন্যরকম একটা লাগলো। আপনি খুবই দক্ষতা সহকারে এই কবিতাটি লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারণ লিখেছেন ভাই।একদম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।একটি মেয়ে শুধু বাবা মায়ের কথায় চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে,আপন সবাইকে ত্যাগ করে চলে আসে।এসে আমাদের ছন্নছাড়া সংসার কে গুছিয়ে তোলে,সুখ দুঃখের সাথি হয়ে সবসময় পাশে থাকে।অনেক ভাল লাগল ভাই কবিতা টি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলেছেন ভাই আমাদের বাড়ির গৃহিনী রা সবসময় একটু আড়ালে থেকে যায়। তাদের নিয়ে কেউ সেরকম কিছু বলে না। অথচ তার তাদের অবদান যে অনেক। আপনার কবিতা টা দারুণ ছিল ভাই। ভালোবাসা দায়িত্ব বিশ্বাস সবকিছুই ছিলো আপনার কবিতায়। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার ঘরণী কবিতা টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। একটা মেয়ে নিজের মা বাবা ছেড়ে । একদম নতুন এক পরিবেশ গিয়ে নতুন সংসার বাধা, আর হউক সেই টা ভাঙা চড়া ঘর তা আগলে রেখে সুখ দুঃখ জীবন সাথী সাথে থাকা এই হল নারী। আপনার কবিতায় সুন্দর করে সেটি উপস্থাপন করছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit