আসসালামু আলাইকুম। বিসমিল্লাহীর রাহমানির রহীম। |
---|
চিত্রঃ স্কুলের প্রবেশ গেট |
---|
তারিখঃ
ইংরেজিঃ-০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।
আরবিঃ-১২ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি।
বাংলাঃ-২১ শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
হ্যালো বন্ধুরা-
চিত্রঃ আমার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা |
---|
হ্যা বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার স্কুল জীবনের দ্বিতীয় ধাপ আমার প্রানের হাইস্কুলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি। বন্ধুরা একজন মানুষ এর স্কুল জীবনের ইতিহাস মোটামুটি ভালোই বড় হয় তাই আমি কয়েকটি খন্ডে আমার স্কুলের ইতিহাস বা কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি সাথেই থাকবেন।
বেশ কয়েক বছর হয় আমার হাইস্কুলে যাওয়া হয় না। আমি ২০০০ সালে এস এস সি পাশ করেছি। এরপর আমার শহর মাদারীপুরের গভ. নাজিমউদ্দীন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়েছি। শহরের কলেজে পড়েছি বটে কিন্তু আমার স্কুলে খুব একটা প্রবেশ করা হয় নি।
চিত্রঃ স্কুলের সামনে আমি |
---|
এরপর ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরে এডমিশন নিয়েছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটিতে। জগন্নাথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুবাদে সব সময় ঢাকাতেই থাকা হতো। যার ফলে দেশে খুব একটা আসা হতো না, আর আসলে ও স্কুলে যাওয়ার সময় হতো না।
এবার ছোট আপুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমি আমার হাইস্কুলে প্রবেশ করি। আমি স্কুলে ঢুকে তো অবাক! আমি যখন স্কুলে পড়েছি তখন মাত্র একটা বড় বিল্ডিং এবং একটা ছোট বিল্ডিং ছিলো। এখন বেশ কয়েকটি বড় বিল্ডিং উঠেছে আর আগের বিল্ডিং তো আছেই।
চিত্রঃ স্কুলের সামনের শহীদ মিনার |
---|
এবার আসা যাক আমার স্কুলের পরিচিতিতে। আমার স্কুলের নাম হচ্ছে মিঠাপুর এল.এন হাইস্কুল ফুল মিনিং হচ্ছে মিঠাপুর লক্ষী নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলটি ১৯১৫ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিত্যগোপাল স্যার এবং এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এই স্যার। বলা চলে মাদারীপুর জেলার সবচেয়ে পুরনো স্কুল এটি। এবং সে সময় আমাদের মাদারীপুর জেলার সব স্কুল থেকে এই স্কুলে স্টুডেন্ট বেশি ছিলো। ছেলে মেয়ে একসাথে এই স্কুলে পড়তো এবং এখনো পড়ে। পড়ালেখার মান ও ছিলো খুব ভালো।
চিত্রঃ স্কুলের পুরনো ভবন |
---|
অনেক ভালো ভালো স্টুডেন্ট এই স্কুল থেকে বেড়িয়েছে। যারা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বড় বড় সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। আমি ১৯৯৬ সালে আমার প্রানের হাইস্কুলে ভর্তি হই। আমার স্পষ্ট মনে আছে ১৯৯৪ সালে আমার মেঝ ভাই তার এই স্কুল থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা দেয় এবং সেই সময় ৮টি বিষয় স্টার মার্ক নিয়ে এস.এস সি পাশ করে এবং আমাদের এক বাংলা শিক্ষক নাম রাধিকা স্যার তার ছেলে নামটি আমার মনে নেই সেই একই বছর এস.এস. সি পরীক্ষায় স্টার্ন করেন।
আমার বাংলা ব্লগের এখানে যদি কেউ সেই সময় এস.এস.সি পাশ করে থাকেন তাহলে তারা হয়তো জানতে পারবেন যে সে সময় লেখা পড়া কতটা কঠিন ছিল এবং স্টার্ন বা স্টার করে পাশ করলে তার কেমন দাম ছিলো।
বন্ধুরা, এই ছিলো আমার হাইস্কুল এর নিয়ে লেখা পোস্ট এর প্রথম পর্ব। পর্বটি একেবারে লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই কয়েকটি পর্বে স্কুলের পুরো ইতিহাসটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবাই আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে পোস্টটি ভিজিট করবেন।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর |
স্কুলের স্মৃতিচারণ আর সেখানে যাওয়ার মুহূর্তটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে যেখানে আমাদের পড়ালেখার শুরু হয় এবং যেখান থেকেই আমরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করি সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইচ্ছে হলেও যাওয়া হয়না বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে। যাই হোক আপনার সেই প্রিয় স্কুল টা আমাদের মাঝে প্রদর্শন করেছেন এবং স্মৃতি তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার স্কুলের সম্পূর্ণ জায়গার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। আপনি অনেক আগে পড়ালেখা সম্পূর্ণ করেছেন। আর আমি বলব আগের পড়ালেখার মান অনেক ভালো ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার স্কুলের সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগল। খুব সুন্দর আপনার স্কুল প্রাঙ্গণ। আমিও স্কুল জীবন গ্রামে কাটিয়েছি এবং স্কুলের সেই স্মৃতিগুলো প্রতি মুহূর্তে মনে নাড়া দেয়। আপনার মেঝ ভাইয়ের রেজাল্ট শুনে আনন্দিত হলাম। আমার নিজের স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit