ভুনা খিচুড়ির রেসিপিঃ

in hive-129948 •  3 years ago 
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন, আমিও ভাল আছি, আজ আমি আপনাদের সামনে ভুনা খিচুড়ির রেসিপি কিভাবে করতে হয়, তার একটি প্রাক্টিক্যাল নমুনা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন, কেননা যে কোন সময়ে আপনাদের এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে সুতরাং শিখে রাখা ভালো।

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি। বৃষ্টি হলে সাধারণত আমার খাবারের মেনুটা একটু পরিবর্তন হয়। এটা আমার ক্ষেত্রে বলছি কিন্তু অন্য মানুষের ক্ষেত্রে কি হয় সেটা আমি বলতে পারি না। বৃষ্টির দিনে আমার প্রিয় খাবার হচ্ছে ভুনা খিচুড়ি, সাথে ডিম ভাজা। বাসায় আমি একা ভুনা খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে, কি আর করার নিজেকেই সবকিছু করতে হবে। আমি ভুনা খিচুড়ি রান্নার প্রস্তুতি শুরু করলাম। প্রথমে দেখে নিলাম রান্নার উপকরণ আছে কিনা। দেখি সব উপকরণই ঠিকঠাক আছে। এবার সব উপকরণ নিয়ে আমি রান্না ঘরে চলে গেলাম। রান্না করার আগে জেনে নেয়া যাক কি কি উপকরণ লাগে ভুনা খিচুড়ি রান্না করার জন্য।

IMG_20220726_001151_213.jpg
ছবিঃ রান্নার উপকরণসমূহ।
ভুনা খিচুড়ি রান্না করার উপকরণ সমূহঃ
১. চাল
২. ডাল
৩. তেল
৪. পেঁয়াজ কুচি
৫. আঁদা বাটা
৬. রসুন বাটা,
৭. জিরা গুড়ো
৮. ধনিয়া গুড়ো
৯. হলুদের গুড়ো
১০. কাচা মরিচ,এক টুকরো দারচিনি ও দুটো এলাচ এবং লবন।

IMG_20220726_001110_614.jpg
ছবিঃ রান্নার উপকরণসমূহ প্রস্তুতিকরণ।
রান্নার নিয়মঃ
প্রথমে চাল,ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিলাম। চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে তেল ঢেলে দিলাম, তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি কালার হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিলাম, তাতে আঁদা বাটা রসুন বাটা এবং বাকি মশলাগুলো দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিলাম, কষানো হলে তাতে ধোয়া চাল এবং ডাল দিয়ে কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলার তাপ বাড়িয়ে জ্বাল দিতে থাকলাম। পানি কিছুটা কমে আসলে চুলার জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। এভাবে বিশ মিনিট ধরে হালকা আগুনের উপর খিচুড়ির কড়াইটা রেখে দিলাম। ২০ মিনিট পর দেখলাম যে, আমার খিচুড়িগুলো পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। খিচুড়ি রান্না শেষ হলে আমি হালকা তেলে একটা ডিম ভেজে নিলাম ।

IMG_20220724_081830_544.jpg
ছবিঃ রান্না শেষের ছবি।
এবার আমি খাবার জন্য প্রস্তুত হলাম। খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য সালাদ হিসেবে একটা শসা এবং একটা পিয়াজ কেটে নিলাম। এবার আমার খাবার পরিবেশনের জন্য ১০০% প্রস্তুত হয়ে গেল এবং আমি খাবারের জন্য প্রস্তুত হলাম।

IMG_20220724_085557_749.jpg
ছবিঃ পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
আসলে আমাদের সবারই উচিত অল্প কিছু রান্না শিখে রাখা, কারণ অনেক সময় আমাদের মা-বোন অথবা স্ত্রীর কাছে নাও থাকতে পারে, তখন আমরা যদি সামান্য কিছু রান্না করতেও পারি সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের নিজেদের খাবারটা অন্তত রান্না করে খেতে পারি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ভুনা খিচুড়ির ছবি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমি খিচুড়ি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার রেসিপি শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি মোটামুটি সব ধরনের রান্নাই করতে পারি, কিন্তু সময় এবং অলসতার কারনে করা হয় না। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে রেসিপি নিয়ে লেখার এখন থেকে নিয়মিত বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে আমার বাংলা ব্লগে উপস্থিত হব। ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য।এবং সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য।

খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয় এবং বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাবার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর ভাবে খিচুড়ি বানিয়ে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ, ভাইয়া আমার লেখাটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য। আসলে আমি আমার বাংলা ব্লগে একেবারেই নতুন, তাই আপনাদের পজেটিভ কমেন্টস আমার লেখায় অনেক সাহস এবং শক্তি যোগায়। ধন্যবাদ ভাই।

সমস্যা নেই এবিবি স্কুলের ক্লাস গুলো করে নিজেকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং আশা করি খুব ভালো কিছু হবে ধন্যবাদ।

খুবই মজাদার একটি খিচুড়ি ভুনা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কমিউনিটিতে আপনি যেহেতু নতুন সেহেতু আমি আপনাকে বলতে চাই কভার ফটোটা সবসময় সুন্দর করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার পোস্ট দেখতে আরো বেশি ভালো লাগবে।

জ্বী ভাইয়া, আমি চেষ্টা করবো আপনাদের পরামর্শ মতো কাজ করার, আশা করি এভাবে প্রতিটা ভুল ধরিয়ে দিবেন। যেহেতু আমি নতুন সেহেতু আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ ছাড়া এতবড় একটা প্লাটফর্ম এ কখনই মানসম্মত কাজ করা সম্ভব না।

ভুনা খিচুড়ি আমার খুব ফেভারিট আর সেটা যদি হয় বৃষ্টির দিনের সাথে যদি থাকে একটা ডিম ভাজি তাহলে তো কোন কথাই নেই।

জ্বী ভাইয়া, আগে যখন গ্রামে থাকতাম দেখতাম বৃষ্টি হলেই মা ভুনাখিচুড়ি রান্না করতো, সেই অভ্যাসটা এখনো আমার রয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাই, পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আবার রান্না করলে দাওয়াত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ভুনা খিচুড়ি পছন্দ করে না এমন খুব কম রয়েছে ভাই। বিশেষ করে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ভুনা খিচুড়ি খেতে। খুব সুন্দর উপস্থাপন ছিল আপনার।

আমার অনেক প্রিয়একটি খাবার হচ্ছে ভুনাখিচুড়ি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেই ভুনাখিচুড়ি রান্না হয়। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। এই রকম রেসিপি আরো পাবেন আশা করি।

সময় আসলে খাবারের মেনু চেঞ্জ করতে হয়,, কেননা বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর সেই সাথে যদি ভর্তা হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।তবে যদি আপনি পরিবেশনের ছবিটা প্রথম দেখে তাহলে এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগে।

এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি পারফেক্ট একটি খাবার। আপনার খিচুড়ির রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।।আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।।
শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার ভুনা খিচুড়ি রেসিপি দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করি শেয়ার করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।