হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কালকে আমি গরজিয়াস উদ্যোক্তা পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম আজ আমি আপনাদের সামনে এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রোগামটি ছিলো বেইলী রোডের জাতীয় মহিলা সংস্থার হল রুমে। যেহেতু আমি নতুনবাজার এ থাকি তাই দুপুর ২ টায় আকাশ বাসে করে শান্তিনগরে নামি। এরপর শান্তিনগর থেকে মহিলা সংস্থায় হেটে যাই। শান্তিনগর থেকে জাতীয় মহিলা সংস্থা কাছেই। হেটে যেতে ৫-৭ মিনিট লাগে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার ৩ য় ফ্লোরে বেগম ফজিলাতুননেছা অডিটোরিয়াম এ এই প্রোগামটি আয়োজন করা হয়৷ প্রোগামটি শুরুর সময় ছিলো বিকেল তিনটেয়। আমি ৩০ মিনিট আগেই হল রুমে পৌঁছে গিয়েছিলাম। হল রুমে তখন ও মাত্র কয়েকজন এই মানুষ এসেছিলো কারণ জুম্মার দিন ছিলো কিন্তু ৩ টার মধ্যে অনেকেই চলে আসে।
এই প্রোগামের অতিথিবৃন্দ ছিলো অনেক সেলিব্রেটি মানুষ। আমরা সবাই মোস্তফা জব্বারকে চিনি, যিনি বিজয় বায়ান্নো এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি এই প্রোগামের চিফ গেস্ট ছিলো। এরপর স্পেশাল গেস্ট থাকে আবদূন নূর দুলাল স্যার। এরপর আরো একজন স্পেশাল গেস্ট থাকে এই স্পেশাল গেস্টটির নাম হল জাকির আহমেদ স্যার। এরপর স্পিকার থাকে গরজিয়াস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহাদুজ্জামান শাহেদ স্যার। এরপর গর্জিয়াস গ্রুপের তিনজন গেস্ট অফ ওনার হিসেবে উপস্থিত থাকে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে আমার মা ও এই কোম্পানির আরো একজন। প্রথমেই কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয়। একে একে গেস্টরা এসে আমাদের মাঝে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করে।
গেস্টদেএ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শেষ হওয়ার পর গর্জিয়াস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহিদুজ্জামান শাহেদ আমাদের একটি ট্রেনিং সেশন করায়। ট্রেনিং সেশনটি বর্তমান প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই ট্রেনিং শেষ হলে তিনি আমাদের উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বলে এটির উপর ট্রেনিং করায়। আসলে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেকার এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি। তিনি আমাদের চাকরির পিছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হওয়ার ট্রেনিং দেয়।
এরপর অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গর্জিয়াস গ্রুপের সম্মানিত ম্যানেজার ও সিনিয়র ম্যানেজারদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় । এখানে আমার মা ও ম্যানেজার পদে ক্রেস্ট পায়।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।