হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম। আমি কয়েকদিন আগে কক্সবাজার ভ্রমণ পর্ব -০১ এবং পর্ব-০২ পোস্ট করেছিলাম, আজকে তারই পর্ব -০৩ পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
গত দুইটি পর্বে আমি কক্সবাজারে কাটানো ২দিনের আনন্দমুখর অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ২য় দিন শেষে আমরা চট্টগ্রাম এ আসি। কক্সবাজার সকাল সকাল চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্য রওনা দেই। চট্টগ্রাম এ পৌঁছে একটি হোটেলে রুম নিয়ে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করি। আজকে আমরা দেখতে যাবো বিখ্যাত বায়েজিদ বোস্তামি মাজার। চট্টগ্রাম এ এসে আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিলো এই বায়েজিল বোস্তামি মাজার। বিকেলের দিকে আমরা সেখানে প্রবেশ করি।
ভেতরে যাওয়ার রাস্তায় অনেক ভির ছিলো। আমাদের মতো অনেকেই এটি দেখতে এসেছে। ভিতরে ঢুকেই আমরা আশেপাশে ঘুরে দেখতে থাকি। ভেতরেও অনেক মানুষ ছিলো। আমরা ঘুরে দেখতে দেখতে বেশ কিছু ছবি ও তুলে নিই।
এরপর মাজারের একদিকে একটি পুকুর রয়েছে, সেদিকে যাই। সেখানে প্রায় দুইশত বছর আগের কচ্ছপ রয়েছে। আমরা সেখানে কচ্ছপ দেখতে যাই। কচ্ছপকে খাওয়াই। এর আগে কখনো সামনা সামনি এত কাছে থেকে কচ্ছপ দেখিনি। নিজের হাতে কচ্ছপকে খাবার খাওয়াই।এটিই আমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
এরপর আমরা মাজার থেকে বের হয়ে আসি। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। একটি হোটেলে ঢুকে কিছু নাস্তা করে নিই। এরপরেই আমরা পতেঙ্গা যাওয়ার উদ্দেশ্য এ রওনা দেই। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা সেখানে পৌঁছে যাই। সেখানে গিয়ে চারপাশে ঘুরতে থাকি। রাতের পরিবেশ অসাধারণ। শীতল বাতাস, সমুদ্রের ঢেউ এর শব্দ যেন মনকে ছুয়ে যাচ্ছিলো। সেখানেও অনেক মানুষ ছিলো। কিছুক্ষণ ঘুরে দেখার পর আমরা সবাই হোটেলের দিকে রওনা দেই কারণ রাত হয়ে গিয়েছিলো।
এরপর হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাই সারাদিন ঘুরে সবার ক্লান্তি ভাব চলে এসেছিলো। এই ছিলো আমার পর্ব-০৩। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কক্সবাজার ভ্রমণ এর আরেকটি পর্ব অর্থাৎ অন্তিমপর্ব নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে হাজির হবো। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে। দেখা হচ্ছে আরেকটি নতুন ব্লগে। ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
এর আগেও কক্সবাজার ভ্রমণের পোস্ট পড়েছিলাম। আজকের পর্বটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো। কক্সবাজার ভ্রমণ করার সুযোগ কখনো হয়নি। তবে যদি সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই যাবো। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়ার সেই অনুভূতিগুলো সত্যি অনেক মনোরম ও মুখরিত ছিল। আমি সবাই বেশ মজা করেছিলাম সেই সময়।স্মৃতিচারণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit