হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। ঈদ উপলক্ষে আমি আর আব্বু আজকে আব্বুর বোন অর্থাৎ আমার খালার বাড়িতে দাওয়াতে যাই। তাই ভাবলাম আজকে আমার আজকের দিনে খালার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমাদের বাসা হলো নীলফামারী সদরেই। আজকে দুপুরে আমার খালার বাসায় দাওয়াত ছিলো। আমার খালার বাসা হলো পাটকামুড়িতে, এটি হলো নীলফামারী জেলার একটি গ্রামে। আমাদের বাসা থেকে আমার খালা বাসা যেতে প্রায় ৩০ মিনিট লাগে। তো দুপুরে আমি আর আব্বু খালার বাসা যাওয়ার উদ্দেশ্য এ রওনা দেই। ওইদিকের রাস্তায় শুধু ভ্যান এই যায়, আমি আর আব্বু একটি ভ্যান নিয়ে খালার বাড়ির উদ্দেশ্য এ রওনা দেই।
শহর ছেড়ে গ্রামের রোডে ভ্যানে করে খালার বাড়ি যাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামের দৃশ্য যেন মন ভালো করে দিচ্ছিলো। দুই পাশে সবুজের সমাহার মাঝখান দিয়ে রাস্তা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলছিলো। কিছুক্ষণ পরপর বড় বড় বটগাছ তলা পার হচ্ছিলাম। ভ্যানে শীতল বাতাস, তার সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে ভরিয়ে তুলছিলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা খালার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম।
প্রায় ৩০ মিনিট পর আমরা খালার বাড়ি পৌঁছে যাই। আসলে গ্রামে আসলে গ্রাম্য পরিবেশ আমার মন ভালো করে দেয়। গ্রাম্য পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। খালার বাসায় যেয়ে সবার সাথে দেখা হয় আমার খালা, খালাতো ভাই, ভাবি। সবার সাথে দেখা করে ফ্রেশ হই। যেহেতু দাওয়াত ছিলো তাই তারা দুপুরে আয়োজন করেছিলো। ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া করে নিই, এবং কিছুটা সময় বিশ্রাম করি।
এরপর খালার বাড়ির চারিদিকে একটু হাটাহাটি করি, আগেই বলেছিলাম আমার গ্রাম্য পরিবেশ অনেক ভালো লাগে তাই এটি উপভোগ করার জন্যই হাটাহাটি করছিলাম। খালার বাসায় জাম্বুরা গাছ, আমের গাছ রয়েছে। বাসার পেছনে রয়েছে বাশবাগান এইগুলো হেটে হেটে ঘুরতে থাকি। গ্রামীণ পরিবেশ, বাশবাগানের শীতল বাতাস যেন মনকে ভরিয়ে তুলছিলো।
এরপরই আমার খালাতো ভাই এর সাথে বাইকে একটু ঘুরতে বের হই। গ্রামের রাস্তায় বাইকে ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই খালাতো ভাইকে নিয়ে তাদের এলাকাটা ঘুরে আসি বাইকে। বাইকে গ্রামের রাস্তায় অনেক ভালো লাগছিলো, প্রায় ৩০ মিনিটের মতো আমরা বাইকে ঘুরে বাসায় চলে আসি। বাইকে করে গ্রামের রাস্তায় ঘুরার মজাই আলাদা।
খালার বাসায় আসার পর আমের গাছ থেকে কয়েকটি আম পাড়াই। এরপর সবার কাছে বিদায় নিয়ে বিকেলের দিকে বাসার দিকে রওনা দেই। ওখানে একটি বটতলার মোড় রয়েছে। সেখানে গিয়ে ভ্যানে করে বাসার উদ্দেশ্য আসতে থাকি। আবারও সেই গ্রাম্য পরিবেশ, দুইদিকে সবুজের সমাহার মাঝখানে রাস্তা। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে বাসায় ফিরে আসি।
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই, দেখা হবে আগামী ব্লগে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আব্বুর সাথে খালার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক আনন্দের কথা ভ্যান গাড়িতে করে খালার বাড়িতে যাওয়া। আপনার শেয়ার করা গ্রামীণ দৃশ্য গুলো অনেক ভালো লেগেছে দেখে বুঝা যাচ্ছে গ্রাম টি অনেক সুন্দর ছিল। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি আর আপনার আব্বু মিলে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আব্বুর সাথে খালার বাসায় গিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন তাহলে। আসলে গ্রাম্য পরিবেশ আমারও খুবই পছন্দের। আমি যদি গ্রাম্য পরিবেশের দিকে যাই তাহলে এরকম ঘোরাঘুরি করে থাকে। আর সেই পরিবেশটা উপভোগ করতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে বাইকে করে এরকম পরিবেশ উপভোগ করার মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম হয়। পরিবেশটা বেশ ভালো উপভোগ করেছিলেন বুঝতে পারছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলেছেন পরিবেশটা বেশ ভালো উপভোগ করেছি। আসলে গ্রামীণ পরিবেশ এর সৌন্দর্য আমাদের সবার মনই ভালো করে দেয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit