হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে আমি ভর্তি পরীক্ষার জন্য গত ৫ তারিখ ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। ইতিপূর্বে ময়মনসিংহের অনেকগুলো পোস্ট আমি করেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ময়মনসিংহের আরেকটি পোস্ট। আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে ময়মনসিংহের বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে গিয়েছিলাম। ময়মনসিংহের বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে। চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
ময়মনসিংহে পরীক্ষা দিতে যেয়ে আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে যাই।আমি আগে কখনো বোটানিক্যাল গার্ডেন আসি নাই কিন্তু বোটানিক্যাল গার্ডেনের অনেকগুলো ভিডিও দেখেছিলাম। ময়মনসিংহের একটি নাম করা জায়গা হল এটি। কেউ যদি ময়মনসিংহে ঘুরতে আসে তাহলে সে অবশ্যই বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে যাবে। তাই আমরা ময়মনসিংহ এসে বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে যাবো না তা হয় না। আমরা যারা পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম সবাই বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে যাই।
বোটানিকাল গার্ডেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত। বোটানিক্যাল গার্ডেন এ প্রবেশ টিকিটের মূল্য হল মাত্র ১০ টাকা। আমরা সবাই টিকিট কেটে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করি। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরটি খুবই সুন্দর। চারিদিকে গাছপালা দিয়ে ভরপুর। এখানে অনেকগুলো ফুলের বাগান ও রয়েছে। আমরা ভেতরে ঢুকে একদিক দিয়ে ঘুরতে শুরু করি।
বোটানিক্যাল গার্ডেন এর ভেতরটা বেশ বড়। তাই আমরা এক পাশ কভার করে ঘুরতে থাকি। বোটানিক্যাল গার্ডেনটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। চারিদিকে শুধু সবুজ গাছ দিয়ে ঘেরা। আমরা বোটানিকাল গার্ডেন আসার পূর্বে একটু বৃষ্টি হয়েছিল। তাই রাস্তা গুলো ভেজা ছিল। ওই পাশে সুন্দর সুন্দর গাছ ও মাঝখান দিয়ে হাঁটার রাস্তা। প্রকৃতির শীতল বাতাস যেন মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল। বন্ধুরা মিলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে চারদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল দেখার মত।
বোটানিকাল গার্ডেনের চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে আমরা বোটানিকাল গার্ডেনের অপর সাইডে আসি। আমার কাছেই একটি সবথেকে ভালো লেগেছে কারণ এই দিকের এক পাশে ছিল প্রবাহমান নদী ও আরেকদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছপালাগুলো। নদীর ধারের এ পাশে রয়েছে বসার বেঞ্চ, আর নদীর ধারে শীতল বাতাস কার না ভালো লাগে। এই রাস্তা দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন প্রকৃতির শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তোলে। আমার কাছে এই জায়গাটি বেস্ট লেগেছে।
আজকের মত এখানেই। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আমি আজও বোটানিক্যাল গার্ডেনে যায়নি। তবে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি থেকে অনেক কিছুই দেখে ফেললাম। মনে হচ্ছে জায়গাটা অনেক বড়। আর প্রচুর গাছপালা রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit