ঈদ আনন্দ|| ঈদ মোবারক ||

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাইকে ঈদ-উল আজহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। গতকাল পবিত্র ঈদ-উল আজহা বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে পালন হয়েছে। আজ আমি আমাদ ঈদ আনন্দ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।

---

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের আনন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়া, সবার সাথে কোলাকুলির মাধ্যমে তৈরি হয় ভ্রাতৃত্ব। গতকাল আমাদের ঈদের জামায়াত ছিলো সকাল ৮ টায় এবং আমাদের নীলফামারীতে ঈদের আগের রাতেও বৃষ্টি হয়েছিলো। ঈদের দিন সকাল থেকেই আকাশ বেশ মেঘলা ছিলো। আমি ভোরে ভোরে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমি গোসল করে পাঞ্জাবি পায়জামা পরে নামাজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যাই। এরপর আমি, ভাইয়া ও আব্বু মিলে ঈদের নামাজ এর উদ্দেশ্যে নীলফামারী বড় মাঠের দিকে যাই। আমরা একটি ভ্যানে করে নীলফামারী বড় মাঠে যাই এবং কিছুক্ষণ খুতবা শুনি। আমরা জানি খুতবা শোনা ওয়াজিব। কিছুক্ষণ পরেই ঈদের নামাজ শুরু হয়ে যায় আমরা জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করি এরপর দোয়া করার পর বাসায় ফিরে আসি।

বাসায় এসে কুরবানির পর সকালের নাস্তা খাই এরপর বিকেলে সব আত্নীয়-স্বজন এর বাসায় দেখা করে আসি। কালকে সারাদিন আবহাওয়া অনেক মেঘলা ছিলো কিন্ত কালকে দিনে কোনো বৃষ্টি হয়নি। বিকেলে সব সব আত্মীয়-স্বজন এর বাসা থেকে ঘুরে আসার পরে সন্ধ্যার কিছু পরে আমি নীলফামারী বড় মাঠে যাই সেখানে আমার সব বন্ধুরা এসেছিলো। নীলফামারী বড় মাঠে গিয়ে সব বন্ধুদের সাথে দেখা করি।

এরপর সব বন্ধুরা মিলে নীলফামারী বড় মাঠে আড্ডা দেই। ঈদের দিন নীলফামারী বড় মাঠের আমেজ থাকে অন্যরকম। নীলফামারী বড় মাঠে বেশ ভালোই ভির হয় ঈদে। সবাই ঈদের দিন নীলফামারী বড় মাঠে এসে সময় কাটায়। ঈদের সময় মাঠে নানা রকমের দোকান বসে। নীলফামারীর ফুসকা অনেক মজাদার হয়। ঈদের দিনে নীলফামারী বড় মাঠে চটপটি ফুসকার এক্সট্রা দোকান বসে এবং এই দোকানগুলোতে অনেক ভীড় লেগে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া, মাখা, পপকর্ণ ইত্যাদির দোকান ও দেখা যায় ঈদের দিনে। ঈদের দিনে বড় মাঠে না গেলে যেনো ঈদ সম্পুর্ণ হয় না। আমরা সব বন্ধুরা মাঠের এক কোনায় বসে আড্ডা দিতে থাকি।

---

এরপর আমরা সবাই মিলে নীলফামারী কালিতলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে নীলফামারী বড় মাঠ থেকে বের হই। নীলফামারী কালিতলার চা নীলফামারীতে অনেক বিখ্যাত কালিতলায় একটি নামকরা চায়ের দোকান রয়েছে যেটির চা অনেক বিখ্যাত তাই আমরা সকলে সেই চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে নীলফামারী কালিতলার দিকে যাই। কিন্তু কালিতলায় গিয়ে দেখি আমরা যেই দোকানে চা খেতে গিয়েছিলাম সেই দোকান বন্ধ ছিলো তাই তার পাশেই আরেকটি চায়ের দোকান রয়েছে সেখানে গিয়ে সবাই আড্ডা দিতে দিতে চা খাচ্ছিলাম। এখানকার চা ও বেশ ভালো। কালিতলার পাশেউ রয়েছে ক্যানেল চা খেয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে ক্যানেলের পাশে ৫-১০ মিনিট হাটাহাটি করি। আবহাওয়া ভালো থাকার কারনে ক্যানেলের পারের শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তুলছিলো।

এরপর দুইটি অটো নিয়ে আমরা নীলফামারী সুপার মার্কেটে যাই। নীলফামারী সুপার মার্কেটে বন্ধুরা মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই এবং কিছু গ্রুপ ছবি তুলি। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সাথে বের হয়ে কিছু সময় একসাথে কাটানো বেশ ভালোই ইনজয় করেছি। নীলফামারী সুপার মার্কেটে কিছুক্ষণ থাকার পরে সবাই সবার বাসায় চলে আসি।

---

আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

---