হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের র্যাগ ডে সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি। স্কুল জীবন কখনো ভুলা যায় না আমি আমার স্কুলকে এখন অনেক মিস করি। স্কুল জীবন যে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় সেটি এখন খুব ভালো করে বুঝতে পারছি। আমি ছিলাম এসএসসি ২০২০ ব্যাচের ছাত্র। আমাদের সময় আমরা খুব ধুমধাম করে র্যাগ ডে পালন করেছিলাম। সেই র্যাগ ডে এর ই পর্ব ১ আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
অক্টোবর ৩, ২০১৯ সালে আমাদের র্যাগ ডে পালন হয়। আমরা এসএসসি ২০২০ ব্যাচ ছিলাম। আমরা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের পারমিশন নিয়ে খুব বড় ভাবে ধুমধাম করে র্যাগ ডে আয়োজন করি । আমাদের বিদ্যালয় এর ইতিহাসে এটি সবথেকে বড় র্যাগ ডে ছিলো। আমরা কয়েকজন বন্ধু এর আয়োজনে ছিলাম।তাই এর আগের দিন থেকেই আমাদের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। র্যাগ ডে এর আয়োজন করেছিলাম আমরা বিদ্যালয়ের পিছনের মাঠে। মাঠটি পরিষ্কার করা, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি আগের দিনেই সব অ্যারেঞ্জ করে নিয়েছিলাম। পরের দিন সকাল-সকাল আমরা যারা আয়োজন ছিলাম সবার আগে বিদ্যালয়ে চলে যাই। কনফেকশনারিতে আমাদের একটি কেক অর্ডার দেওয়া ছিল, কেকটির উপরে আমাদের বিদ্যালয়ের ছবি দিয়ে ডিজাইন করা ছিল।
এরপর সবাই যথা সময় বিদ্যালয় প্রবেশ করতে শুরু করে। র্যাগ ডে উপলক্ষে সবাইকে একটি করে সাদা গেঞ্জি দেওয়া হয়েছিল। সবাই স্কুল ড্রেসের উপর ওই সাদা গেঞ্জিটি পড়ে এসেছিল। বিদ্যালয়ের সবাই প্রবেশ করার পর আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকলের সাথে সকলেই কুশল বিনিময় করতে থাকে, ছবি তুলতে থাকে, আনন্দ করতে থাকে।
এরপর সব শিক্ষকরা আমাদের এখানে আসেন। আমরা শিক্ষকদের সাথে ছবি তুলতে থাকি। শিক্ষকরা বেশ এনজয় করছিলেন আমাদের সাথে। আমার প্রিয় শিক্ষক হলেন সোহেল স্যার। স্যারের সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম ছবি তুললাম। এছাড়াও সকল স্যারের সাথে সবাই মিলে কথা বলছিলাম, স্যাররা সকলে বললেন যে এরকম আয়োজন এর আগে কোন ব্যাচ কখনো করেনি।
এরপর আমরা সবাই একসাথে আড্ডা দিতে থাকি মজা করতে থাকি। বক্সে গান বাজিয়ে সবাই নাচানাচি করতে থাকি। কেউ কেউ আবার ডিজে সেজেছিলাম। সব মিলিয়ে একদম আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। সবাই সবার সাথে ছবি তুলছিল।সেইসব এখন সবই স্মৃতি। এখন রি ইউনিয়ন ছাড়া সবার সাথে দেখাই হয় না। সবাই অন্যান্য কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছে, চাইলেও সবার সাথে আর দেখা করা সম্ভব না। ওই সময় আমারা সবাই সবার সাথে ছবি তুলি নেই, সবাই নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নেই। বক্সে গান বাজিয়ে সবাই মিলে নাচানাচি করতে থাকি। চারিদিকে একটি আনন্দমুখর পরিবেশ হয়ে গিয়েছিল। সকল শিক্ষার্থী এই আনন্দমুখর পরিবেশের অংশ ছিল। ওই সময়টি কখনো ভোলা সম্ভব নয়।
আজকে এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি ভেবেছি দুইটি পর্বে এটি শেষ করব আজকের তারই পর্ব এক ছিল। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।