ঢাকা টু নীলফামারী ট্রেন জার্নি ||

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন গত ১৯ শে মে আমার সেমিস্টার শেষ হয়েছে। সেমিস্টার শেষে আমাদের ছুটি মাত্র ১০ দিনের। এই ১০ দিনের ছুটিতে আমি বাসায় এসেছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা থেকে নীলফামারী ট্রেনে আসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

আমার সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হয় ১৯ তারিখ এবং আমার ট্রেনের টিকিট ছিলো ২০ তারিখ। ২০ তারিখ বিকেল ৫'৩০ মিনিটে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে আমার ট্রেন ছিলো। আমি চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। এই ট্রেনটি বিকেল ৫ টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে এবং বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ছাড়ে। আমি নতুনবাজারে থাকি এখান থেকে কমলাপুর স্টেশন এর থেকে এয়ারপোর্ট স্টেশন কাছে। তাই আমি বিকেল ৪ টায় এয়ারপোর্ট স্টেশন এর উদ্দেশ্য এ নতুনবাজার থেকে রওনা দেই। নতুনবাজার থেকে রাইদা বাস এয়ারপোর্ট স্টেশন হয়ে যায়। এইদিন রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিলো বিশেষ করে যমুনার সামনে অনেক জ্যাম ছিলো। নতুনবাজার থেকে এয়ারপোর্ট স্টেশন যেতে প্রায় ১ ঘন্টা লেগে যায়। বিকেল ৫ টায় আমি এয়ারপোর্টে স্টেশনে পৌঁছাই।

---

স্টেশনে গিয়ে জানতে পারি ট্রেন লেট। আমি এয়ারপোর্ট স্টেশনেই বসে থাকি। যেই ট্রেন এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে বিকেল ৫'৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা সেই ট্রেন এয়ারপোর্টে থেকে কমলাপুর যায় এই ৫'৫০ মিনিটে। কমলাপুর স্টেশন যে ট্রেনটি সার্ভিসিং হয়ে আবার এয়ারপোর্ট স্টেশনে আসে সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে। এতোক্ষণ সময় আমি এয়ারপোর্ট স্টেশনই বসে ছিলাম।

এরপর সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি এয়ারপোর্টে স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করে। ট্রেনটি ৩০ মিনিটের মাথায় জয়দেবপুর স্টেশনে পৌঁছায়। এইদিন ট্রেনটি বেশ কয়েকটি ক্রসিং এ দাঁড়িয়ে থাকে। যমুনা সেতুতে ২ টি ক্রসিং এই অনেক সময় লেগে যায়। নাটোর যেতে যেতেই রাত ১২ টা ৩০ মিনিট পার হয়ে গিয়েছিলো। আমি ট্রেনের মধ্যেই খিচুড়ি খেয়ে নেই।

---

ট্রেনটি নাটোর পার হাওয়ার পরে আর সেরকম ক্রসিং পায়নি। ট্রেনটি নীলফামারী স্টেশনে এসে পৌঁছায় ভোর পাচটায়। আমি ভোর ৫ টায় নীলফামারী স্টেশনে নেমে একটি রিক্সা নিয়ে বাসায় ফিরে আসি। ঢাকা থেকে যখনি বাসা আসি তখনি আমার অনেক ভালো লাগে। আমরা যারা বাসার বাইরে থাকি তাদের বাসায় ফেরার সময় অনুভূতিটি হয় চমৎকার। কারণ ঢাকার যান্ত্রিকতা, অপরিচিত মানুষের ভীড়ে ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক।

আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

---