লাইফ স্টাইল :- ভাগ্নির হলুদের কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত। (দ্বিতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  3 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাই আজকেও আবারো ভাগ্নির হলুদের সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝে আবারও শেয়ার করলাম।

CollageMaker_2024111616405145.jpg

ইতিমধ্যে আপনারা অনেকেই আছেন আমার কেনাকাটার পোস্টটি হয়তো দেখেছেন। কারণ আমি ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে নিজের এবং অন্যান্য সবার জন্য কেনাকাটা করেছিলাম। বিশেষ করে আমার মেয়ের জন্য কিছু জামা কিনেছিলাম। কারণ বড়দের থেকেও ছোট বাচ্চাদের কেনাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা নতুন নতুন জামা দেখলে অনেক খুশি হয়। যাইহোক দেখতে দেখতে নিজের কাছের একটি বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেল। আমার বড় বোনের মেয়ে আমার বড় ভাগ্নি আমার বন্ধুর মত। কারণ আমরা ছোট থেকেই একসাথে বড় হয়েছিলাম।

IMG-20241012-WA0091.jpg

IMG-20241012-WA0105.jpg

IMG_20240906_000215.jpg

আমি ওর থেকে কয়েক বছরের বড় হলেও সব সময় আমাদের খুনসুটি টা সারাক্ষণ লেগে থাকতো। কিন্তু নিজের বিয়ের পরেও তার সাথে সব সময় ঝগড়া হতো। আজকে সেই ছোট্ট ভাগ্নিটা দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেল। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখনই যখন নিজের কাছের মানুষটাকে অনেক বেশি মিস করি। কারণ আপনাদের মাঝে হয়তো শেয়ার না করলে সেটা বুঝতে পারতাম না। আজকে যখন লেখাগুলো লিখতে গেলাম তখন খুব মনে পড়ল ভাগ্নির কথা। ভাগ্নির বিয়েটা কিন্তু কমিটি সেন্টারে হয়েছিল। তাই আমরা হলুদের দিন নিজেদের মতো করে ঘরোয়া ভাবে কিছু আয়োজন করলাম।

IMG-20241012-WA0126.jpg

IMG-20241012-WA0134.jpg

IMG-20241012-WA0140.jpg

ঐদিন আর কমিটি সেন্টারে যাওয়া হয়নি। কারণ ভাগ্নির বিয়ের আগেই শুরু হয়েছিল বন্যা। তাইতো বন্যার কারণে ভাগ্নির বিয়েটা পিছনে নামাতে হয়েছিল। যাইহোক অবশেষে সবাই মিলে বেশ মজা করে ভাগ্নির বিয়ের দাওয়াত খেলাম। হলুদের দিন আমরা সবাই নিজেদের মতো করে ঘরে সাজগোজ করেছিলাম। সবাই প্ল্যান করে শাড়ি পড়েছিলাম। কারণ নিজেদের বড় ভাগ্নির বিয়ে বলে কথা। আর কবে যে ছোট্ট পিচ্চি পিচ্চি ভাগ্নি গুলোর বিয়ে হবে কে জানে। তাই মন ভরে এখন একটু সেজে নিলাম। সাজগোজ বলতেই শাড়ি পড়ে সবাই সুন্দর করে রেডি হয়ে গেলাম।

IMG_20240906_000329.jpg

IMG_20240906_000444.jpg

IMG_20240906_000644.jpg

তারপর সবাই একসাথে বেশ অনেক মজা করলাম। আর আপনারা তো জানেন আমরা সবাই একসাথে হলেই শুধু ছবি আর ছবি। কারণ সবাই কিছু করি বা না করি ছবিতো তুলতেই হবে। আর পরবর্তীতে সবাই বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি। সবাই নিজেদের মতো করে আনন্দ করলাম। পরবর্তীতে কে কে কেটে সবাই কেক খাওয়া দাওয়া করলাম। বড় ভাইয়া তো কমিটি সেন্টার থেকে আমাদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে এসেছিল। সবাই মজা করতে করতে বিরিয়ানিও খেয়েছিলাম। আপনারা হয়তো একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখতে পাবেন সেটা হল নাশিয়ার চুল।

IMG_20240906_001231.jpg

IMG_20240906_001037.jpg

IMG-20241012-WA0152.jpg

ভাগ্নির বিয়ে তো কিন্তু নাশিয়ার চুল গুলো ছিল। কিন্তু এখন আর সেই চুলগুলো নেই। নাশিয়ার মাথার চুল গুলো কেটে ফেলার পরে হঠাৎ করে ছবিটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে চুলগুলো থাকার সময় নাশিয়াকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগলো। যাইহোক ভাগ্নির গায়ে হলুদ সবাই মিলে বেশ ভালোই মজা করলাম। আর চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝেও কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। যাইহোক পরবর্তীতে ভাগ্নি বিয়েতে কি কি করলাম সেটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)

IMG-20241012-WA0144.jpg

IMG-20241012-WA0119.jpg

IMG-20241012-WA0102.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnztsmhqXECFWhnYScssX21XdqSgM3oVAxxx35K4bsUQXRKwwCsw9GRePhwFW6wnPkumnwFzjxJ7cZ8QEN9.gif

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বিয়ে‌ মানেই মজা এবং আনন্দ। আপনি আপনার ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে আপনার মেয়ের বেশ কয়েকটি জামা কিনেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর আপনি আজকে খুবই সুন্দর করে ভাগ্নির হলুদের কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালোই আনন্দ উপভোগ করেছেন।

সবাই মিলে দেখছি সাদিয়ার বিয়েতে বেশ ভালোই এনজয় করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি সাদিয়ার বিয়েটা হয়ে গেল। আর সবাই মিলে তো অনেক আনন্দ করেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগছে। নাশিয়াকে তো দারুন লাগছে শাড়ি পড়ে।

বিয়ে মানেই আনন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবারের অনেকের সাথে দেখা হয় কথা হয় এ ধরনের মুহূর্ত গুলো আসলেই খুব ভালো লাগে। প্রথম পর্বটা সম্ভবত দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব টা দেখেও ভালো লাগলো। সবাইকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা।

সত্যিই বাচ্চাদের চুল কেটে দিলে অন্যরকম দেখায়। তবে আপনি আপনার ভাগ্নির বিয়েতে যে প্রচুর মজা করেছেন তা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝলাম। গায়ে হলুদের কেক দেখে মনে হলো সকলেই আজকাল সব বিষয়ে বিদেশীদের নকল করতে চায়। আমাদের এদিকেও সব কথায় কেক কাটার প্রচলন হয়ে গেছে। আমরাও কাটি। আসলে ঝাঁকের কই ঝাঁকে মিশে গেছি। আপনাকে বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনার ভাগ্নি ও খুব মিষ্টি দেখতে। ভাগ্নির জীবন সুখের হোক এই কামনা করি।

ভাগ্নির হলুদে দারুন আনন্দের সময় কাটিয়েছেন আপু। এমন বিয়েবাড়ি হলে সত্যিই সবাই মিলে ভীষণ আনন্দের সময় কাটে। বিশেষ করে নিজের ঘরের মানুষ হলে তো কথাই নেই। আপনার তোলা ছবিগুলি খুব ভালো লাগলো। আপনার ভাগ্নির জীবন আরো আনন্দময় হয়ে উঠুক এই কামনা করি। সকলে মিলে ভাল থাকুন।

আমরা সবাই মিলে সত্যি খুব মজা করেছিলাম। আমার নিজের কাছেও এই কথাগুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। আসলে নাশিয়ার এই ছবিগুলো দেখলে আমার নিজেরও তার চুলের কথা মনে পড়ে যায়। আজকে তুমি এত সুন্দর করে ভাগ্নির বিয়েতে কাটানো মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছ দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি পরবর্তী পর্বটা তুমি শীঘ্রই সবার মাঝে শেয়ার করে নিবে।

প্রথমে আপনার ভাগ্নির নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। পরিবারের সবাই মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বিয়ে বাড়িতে বেশ মজা করেছেন সবাই।আপনাদের খুব ভালো লাগছে ছবিতে সবাইকে,ধন্যবাদ আপু।

আপু আমি তো শুধু মুগ্ধ হয়ে আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম। কি যে কিউট লাগছিল আপনাকে। আর নাসিয়া মামনিকে তো মাশাল্লাহ আরো বেশি কিউট লাগছিল। আর আপনার মেয়ে তো কম যায় না।আপনার ভাগ্নির আগামী জীবনের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু আপনার ভাগ্নির গায়ে হলুদের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।