গল্প :- ভাই বড় ধন। (প্রথম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমার শ্বশুরের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র ঘটনা। আমার শ্বশুরের এক খালাতো ভাইয়ের দুটো ছেলে আছে। বলতে গেলে তারা খুবই সুখী পরিবার ছিল। তবে এই গল্পটি আমি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছিলাম। আমার শ্বশুরের খালাতো ভাই তারা আমার শ্বশুর বাড়িতে আসতেন এবং আমার শ্বশুর বাড়ি লোক ও তাদের বাড়িতে যেতেন। লোকটির নাম হচ্ছে মান্নান। মান্নান সাহেবের দুটো ছেলে আছে।

যদিও তারা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে এবং বিয়ে-শাদী করে তাদের নিজেরও পরিবার আছে। তবে মান্নান সাহেবের ছেলে দুইজন দুই বছরের বড় এবং ছোট। বলতে গেলে তারা দুইজন বন্ধুর মত বড় হয়েছে। একজনের নাম হচ্ছে আরিফ অন্যজনের নাম হচ্ছে রাহাদ। তারা দুই ভাই যেইদিকে যেতেন একসাথে যেতেন। ছোট থেকে দুই ভাই একসাথে পড়ালেখা করেছে। তাদের সম্পর্ক দেখলে অনেকে বলতো দুই ভাইয়ের মিল আছে। বড় ভাই রাহাদ যদি কোন জামা কিনতেন তাহলে ছোট ভাই আরিফের জন্য কিনতেন। যখন রাহাদ এবং আরিফ বড় হলো তখন তার বাবা চিন্তা করতে লাগলো তাদেরকে বিদেশ পাঠাবে।

এরপর মান্নান সাহেব রাহাদকে বিদেশ পাঠালেন। রাহাদ বিদেশ যাওয়ার পর মোটামুটি তাদের পরিবারের অবস্থা অনেক ভালো হলো। যদিও মান্নান সাহেবের এমনিতে অবস্থা ভালো ছিল জায়গা সম্পত্তি অনেক ছিল। এরপর আরিফ বলতেছে সেও বিদেশ যাবে। কিন্তু বড় ভাই আরিফকে নিতে চাইতেছেন না বিদেশ । কারণ বিদেশে অনেক কষ্ট এই কারণে। তারপর মান্নান সাহেব বলার পর আরিফকে বিদেশ নিলেন রাহাদ। যদিও টাকা পয়সা সব বাড়ি থেকে মান্নান সাহেব দিয়েছেন।

এরপর বিদেশ যাওয়ার পর দুই ভাইয়ের টাকা পয়সা একসাথে দিয়ে দেশে বাড়িঘর করলেন। এরপর রাহাদ বাড়িতে এসে বিয়ে করেছেন। রাহাদ বিয়ে করার পর থেকে তাদের ফ্যামিলির মোট পরিবর্তন হয়ে গেল। এবং রাহাদ বিয়ের পর যখন বিদেশ গেলেন তখন বাড়িতে আর টাকা পয়সা দিতেন না। আরিফের টাকা দিয়ে তাদের ফ্যামিলির চলতেন। যদিও আরিফ ইনকাম করার টাকা গুলো তার বড় ভাইয়ের হাতে দিতেন। এবং কিছু বছর পর আরিফ বাড়িতে এসে বিয়ে করেছেন। তবে বিয়ে করার পর দুই ভাইয়ের ওয়াইফের মিল একদম নেই।

বলতে গেলে একজনের কথা একদম শুনতে পারে না। এদিকে বিদেশ যাওয়ার পর রাহাদ এবং আরিফ তারা তাদের ওয়াইফের কথা শুনেন। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিদেশে ঝগড়া সৃষ্টি হল। কেউ বলে তোমার ওয়াইফের দোষ আবার কেউ বলে তোমার ওয়াইফের দোষ। এবং বিগত এক বছরের মধ্যে তারা দুই ভাই আলাদা হয়ে গেলেন। এরপর আরিফ একদিন বলতেছে আমার বিদেশের টাকাগুলো আমি তোমার হাতে দিয়েছি ভাই। কিন্তু আমি কখনো হিসাব চাইনি। আজকে তোমার ওয়াইফের কারণে তুমি আমার থেকে আলাদা হইয়া গেলে। এরপর থেকে দুই ভাই তেমন কথা বলে না। তারপর তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে কি হলো জানতে হলে পরের পর্ব দেখতে হবে। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের ভালো লাগবে। (চলবে)

ধন্যবাদ সবাইকে