গল্প :- ভালোবাসার মানুষকে ভুলে যাওয়াটা এত সহজ না (প্রথম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমার হাজবেন্ডের বড় ভাইয়ের বন্ধুর ফ্যামিলি নিয়ে। আমার হাজবেন্ডের বড় ভাইয়ের বন্ধুর নাম হচ্ছে সিদ্দিক। আমার হাজবেন্ডের বাড়ির একদম পাশে তাদের বাড়ি। তাদের বাড়ির এবং তাদের পরিবারের লোক গুলোকে আমি চিনি। সিদ্দিক ভাইয়ের একটি ছেলে এবং দুটো মেয়ে। ছেলে বড় মেয়ে দুটি ছোট। মেয়ে দুটির নাম হচ্ছে অহনা এবং অরিন। অহনা ক্লাস টেনে পড়ালেখা করে আর অরিন লেখাপড়া করে অষ্টম শ্রেণীতে। এবং সিদ্দিক ভাইয়ের বড় ছেলেটি লেখাপড়া করে না। সিদ্দিক ভাই আমি শুনেছি অনেক বছর পর্যন্ত বিদেশ থাকে।

তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তার সুখী পরিবার। তবে কিছু কিছু সুখী পরিবারের মধ্যে হঠাৎ করে দুঃখ এসে বসবাস করে। সিদ্দিক ভাইয়ের ছেলের নাম হচ্ছে আকাশ। আকাশ লেখাপড়া করে না এবং সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। তারপরও সিদ্দিক ভাই তার আদরের ছেলেকে কিছুই বলে না। ছেলের চলাফেরার টাকা সিদ্দিক ভাইয়ের ওয়াইফ দিয়ে থাকে। সিদ্দিক ভাইয়ের ছেলে আকাশ পাশের বাড়ির একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছে। যদিও মেয়েটি লেখাপড়া করে ছেলেটি লেখাপড়া করে না। তবে এই নিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝগড়া। আকাশের মা ছেলেকে দোষ না দিয়ে মেয়ের মাকে দোষ দিয়ে থাকে।

বলে মেয়েরা ভালো না এই কারণে তার ছেলের পিছনে ঘুরে। যদি ও মেয়ের ফ্যামিলি একটু দুর্বল এই কারণে অনেক সময় অনেক কথাই বলে না। এদিকে সিদ্দিক ভাইয়ের ছোট মেয়ে এলাকার একটি ছেলের সাথে প্রেম করতেছে। যদিও মেয়েটি এখনো ছোট এই কারণে তার কথাগুলো কেউ তেমন শুনতেছে না। মেয়েটির মা বিশ্বাসই করে না তার মেয়ে প্রেম করতেছে। আসলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সেই কিভাবে প্রেম করবে বা কি করবে। তবে এই নিয়ে অনেক জনে অনেক কথা বলে এলাকায়। তবে ব্যক্তিগতভাবে অরিন খুব ভদ্র একটি মেয়ে। অনেক সময় প্রেমের কারণে অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে অনেকে।

বিগত কিছু মাস আগে সিদ্দিক ভাইয়ের ছেলে বাড়ির পাশে ওই মেয়েকে চুরি করে বিয়ে করে ফেলেছেন। যদিও এই নিয়ে সিদ্দিক ভাই অনেক ঝগড়া করেছে তার ওয়াইফের সাথে। কারণ ছেলেটিকে ঠিকমতো সেই মানুষ করতে পারে নাই। আমি বিদেশ থাকি তুমি ছেলের দেখাশোনা ঠিকমতো করো নাই এই কথা সিদ্দিক ভাই তার ওয়াইফকে বলে। এদিকে মেয়ের মা বলতেছে তার মেয়েকে যদি গহন না করে তাহলে সেই নারীর নির্যাতনের মামলা করবে। তবে আকাশের মা অনেক ভয় পেয়ে গেলেন। লাস্ট পর্যন্ত ছেলের ওয়াইফকে মেনে নিয়েছে।

এদিকে সিদ্দিক ভাইয়ের বড় মেয়ে অহনা খুব ভালো একটি মানুষ। সেই নামাজে এবং কি মানুষের সাথে আচার ব্যবহারে খুব ভালো। যদিও অরিন ঠান্ডা মেজাজি তবে বুদ্ধি অনেক বেশি। বিগত দুই মাস আগে অরিন তার ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলেন। মাদ্রাসা থেকে কখন সেই চলে গেল কেউ বলতে পারে না। যদিও অরিনের মা প্রথমে কল্পনাই করে নাই তার ছোট মেয়ে এরকম সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কিছুদিন পর তার মেয়ের খোঁজ পাওয়া গেল। এলাকার ওই ছেলের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছে। তারপর মেয়েটির মা ওইখানে গিয়ে ছেলেমেয়ে দুজনকে নিয়ে আসলো। এবং অরিনকে বলেছে তাকে এবং তার ভালবাসাকে মেনে নেবে। যাইহোক দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)

ধন্যবাদ সবাইকে