গল্প :- আত্মহত্যা কোন সমাধান না। (প্রথম পর্ব)

in hive-129948 •  last month 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


funeral-2511124_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি গল্প। আমার শ্বশুর বাড়ির পাশে একটি ফ্যামিলির মেয়ের ঘটনা। মেয়েদের নাম হচ্ছে সেলিনা। তিনি ছিলেন পরিবারের আদরের মেয়ে। মা-বাবা দুইজন তাকে অনেক আদর করতেন। যদিও বাবা আমেরিকা প্রবাসী। আর বাবা যেই জায়গাতে থাকে। এবং মেয়ে ও পরিবারের সবাই ও আমেরিকা যাবে একসময়। তবে মেয়েটি বড় হয়েছে দশম শ্রেণীতে পড়ে। যদিও ঘটনাটি আরও অনেক আগের প্রায় দশ বছর আগের ঘটনা। তবে ঘটনাটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে আমি শুনেছিলাম। যখন গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করতেন সেলিনা। ওই সময় তিনি তার এক স্কুল ক্লাসমেটের সাথে প্রেম হয়েছে। আর গ্রামাঞ্চলে প্রেম গুলো এরকম হালকা কিছু আওয়াজ ফেলে ওটি অনেক বড় হয়ে যায়। যখন সেলিনা দশম শ্রেণীতে পড়ে এবং তার ভালোবাসার মানুষটিও দশম শ্রেণীতে পড়েছেন। এবং সেলিনার বাবা কিছুদিন পর দেশে আসবে ওই সময়। তখন আসলে তার মেয়েকে বিয়ে দেবে।

যদিও ছেলে তাদের পছন্দ আছে মেয়ের জন্য। তার বড় ভাইয়ের ছেলের কাছে সেলিনা নাকে বিয়ে দেবে। যদিও সেলিনার জ্যাঠাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে বসতে রাজি না। কারণ জ্যাঠাতো ভাই বয়সে তার থেকে অনেক বড়। মূলত সেলিনার বাবা চাইলেও মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ভাইয়ের ছেলেকে আমেরিকা নিয়ে যাবে। এতে করে ভাইয়ের ফ্যামিলির উপকার হবে। একদিন দুপুর বেলা সেলিনা মা তাকে বলতেছে জাহাঙ্গীরের কাছে তাকে বিয়ে দিবে। তখন সেলিনা বলতেছে তাকে সে বিয়ে করবে না। প্রয়োজনে সে মারা যাবে। এতে করে সেলিনার মা অনেক ভয় পেয়ে গেল। এর দুই এক দিন পর আবার সেলিনা বাবা মোবাইলে তার মাকে বলতেছে মেয়েকে বোঝানোর জন্য।

তারপর সেলিনার মা তার নানুকে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেলিনা বলতেছে তাকে বিয়ে করবে না জ্যাঠাতো ভাইকে। ওই সময় তার নানু জিজ্ঞেস করেছে তোমার পছন্দের কোন ছেলে আছে কিনা। তখন বলতেছে তার ক্লাসের এক ছেলেকে সে পছন্দ করে। সম্ভবত সেলিনা ঐ ছেলেকে নিজ থেকে পছন্দ করে। আর বাড়ির পাশে ওই ছেলের বাড়িও। ফ্যামিলি গত ভাবে ছেলেটির পরিবার গরিব। মাঝেমধ্যে সেলিনা দের কাজও করে ছেলেটির বাবা। এই কথাগুলো আস্তে আস্তে বাইর হচ্ছে। তবে সেলিনা মা তাকে বললো তোমার বাবা কখনো ওই ছেলের কাছে তোমাকে বিয়ে দেবে না। আর ওই ছেলের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি।

আর এখন ছেলেটি পড়ালেখা করতেছে। তবে সেলিনা নাফর বান্দা। ওই ছেলের কাছে বিয়ে দিতে হবে। হঠাৎ করে একদিন সেলিনা মা বলতেছে তোমার চাচাতো ভাইকে বিয়ে করতে হবে। তখন তার মা মনে করলো সবাই বুঝালেও সেলিনা ঠিক হয়ে যাবে। তখন সেলিনা বলতেছে আমি আত্মহত্যা করব। দুপুর বেলা সবাই গোসল করে ঘরে আসতেছে। তখন সেলিনা কে কেউ দেখতেছে না। তাড়াতাড়ি করে খোঁজার ব্যবস্থা করে। তখন দেখতেছে গাছের উপরে বসে রশি বেঁধে নিয়েছেন সেলিনা। সবাই চিল্লাচিল্লি করে গাছ থেকে নামিয়েছেন। এবং তার মা নানু বলতেছে তোমার বাবা আসার পর আমরা কথা বলব তার সাথে। এই কথা বলার পর তার মন একটু ভালো হলো।

এর কিছুদিন যাওয়ার পর তার মা তার বাবার সাথে কথা বলতেছে মেয়ের পছন্দের ছেলে আছে। তখন মেয়ের বাবা বলতেছে আমার পছন্দের ছেলের কাছে আমি তাকে বিয়ে দেবো। অন্য কারো বা পছন্দের লোকের কাছে আমার মেয়ে বিয়ে দেব না। তখন বলতেছে সেলিনার বাবা আমার ভাইয়ের ছেলের কাছে বিয়ে দেবো। হঠাৎ করে একদিন সেলিনার বাবা বাড়িতে আসার ডেট ফুটলো। এদিকে বাড়ির সবাই জানে সেলিনা কে তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে দিবে। যদিও তার জ্যাঠা ভাই রাজি আছে তাকে বিয়ে করার জন্য। তবে সেলিনা আস্তে আস্তে বলতেছে তার পছন্দের মানুষের কাছে তাকে বিয়ে দিবে না। আজকেই এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। (চলবে)

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_20241213_190847.jpg

এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে থাকে। সত্যি আপু অনেক সময় বাবা মা সন্তানের মন বুঝতে চায় না। অবশেষে সন্তান আত্মহত্যার পথ বেছে নেই। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

ঠিক বলেছেন কোন কিছু চিন্তা করার আগে ভেবে চিন্তে করা উচিত

আপু আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আত্মহত্যা কোনো কিছুর সমাধান নয়। তবে যখন ছেলে মেয়ে বড় হয় তখন মা-বাবার উচিত তাদের পছন্দকেও গুরুত্ব দেওয়া। তাহলে হয়তো এই ধরনের ঘটনা অনেকটা কম হতো। কারণ তখন ছেলেমেয়েরা তখন অবুঝ থাকে আর সেই সময় তাদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। যাই হোক দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।

চেষ্টা করব পরবর্তী পর্ব খুব দ্রুত শেয়ার করার জন্য

আসলে মানুষ কোনো কিছু হলে আত্মহত্যার কথা কেন বলে আমি এটাই বুঝি না। আত্মহত্যা তো কোনো কিছুর সমাধানের মধ্যেই পড়ে না। সেলিনা কে দেখছি তার বাবা তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু সে তার ক্লাসমেটকে পছন্দ করে। আর সে একবার চেষ্টা করেছে আত্মহত্যা করার জন্য। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।

আপনাদের মন্তব্য গুলো পেলে এ ধরনের পোস্ট করতে আরও বেশি আগ্রহ বেড়ে যায়

এরকম হাজারো মানুষের রয়েছে, যারা কোনো কিছুর সমাধানের জন্য আত্মহত্যাকে সবার আগে বেছে নেয়। কিন্তু এরকমটা করা কারোরই উচিত নয়। আত্মহত্যা কোনো কিছুর সমাধান নয় এটাই চিরন্তন সত্য। আত্মহত্যা মানুষের জীবনকে কেড়ে নিতেই পারে শুধু। আত্মহত্যা বড় মহাপাপ। আর এই জন্য আত্মহত্যা সিদ্ধান্তটা না নিলে সব থেকে বেশি ভালো। সেলিনা কে তার বাবা তার পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে দিতে রাজি নয়। এখন কি সত্যি সত্যি নিজের জীবনটা দিয়ে দিবে কিনা এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

অপেক্ষায় থাকুন চেষ্টা করব ভালো করে আবারো পরের পর্ব শেয়ার করার জন্য

হ্যাঁ আত্মহত্যা কোন সমাধান না। আত্মহত্যা করলে কোন কাজের সমাধান হয় না। তবে সেলিনার গল্প মাঝে বুঝতে পারলাম। তার পছন্দের লোক আছে। তবে মা-বাবা কখনো ছেলে মেয়ের খারাপ চায়না। আমার মনে হয় সেলিনা মেয়েটি অনেক জেদি। তবে এই পর্বে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না সেলিনা সম্বন্ধে। আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। আশা করি পরের পর্বে ক্লিয়ার জানতে পারবো সেলিনার কি হয়েছে।

হ্যাঁ আত্মহত্যা কোন সমাধান না। তবে আপনার মন্তব্য শুনে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো