লাইফ স্টাইল :- মিয়াজীর ঘাট রেস্টুরেন্টের পাশে মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাই আমিও নিজের মতো করে ভালো মানের পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আশাকরি আজকেও এই মেলায় ঘুরাঘুরি করার পোস্টটি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।

IMG_20240701_180809.jpg

আমাদের এদিকে মিয়াজীর ঘাট নামে একটি জায়গা আছে। সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে। আমরা প্রায় কয়েকবার সবাই মিলে সেই রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলাম। হয়তো সেই পোস্টগুলো আপনাদের মাঝেও আগে শেয়ার করেছি। আর কিছুদিন যাবত সেই রেস্টুরেন্টের পাশেই ছোট একটি মেলা বসেছে। আসলে বাড়ির পাশে হবার কারণে কম সময়ের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারলাম রেস্টুরেন্টের পাশেই একটি মেলা বসলো। আর তাছাড়া আমার বড় ভাই আগের দিন বাইক নিয়ে দেখে এসেছে ওখানে মেলা বসেছে। আর আমিও তখন আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম।

IMG-20240701-WA0015.jpg

IMG-20240701-WA0016.jpg

IMG_20240627_184748.jpg

কিছুদিন আগে আমি আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন সবাই মিলে ভাবলাম ওই মেলায় ঘুরতে যাব। আসলে ফেনীর বাণিজ্য মেলাতেও আমরা কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম যেহেতু বাড়ির পাশের মেলা যখন আমরা কম সময়ের মধ্যে মেলায় পৌঁছাতে পারবো তাই সবাই মিলে মেলায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আমরা সবাই মিলে মেলায় গিয়েছিলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে। আমার সাথে আমার ভাই ভাবি সনিয়া আপু আমার ভাগিনা ভাগিনা সবাই ছিল। সত্যি বলতে মেলায় যাওয়ার পরে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

IMG_20240627_184818.jpg

IMG_20240627_184900.jpg

IMG_20240627_184912.jpg

সবচাইতে ছোটরা খেলনা দেখে অনেক খুশি হয়েছিল। আমার মেয়ে মাইসুন ছোট হবার কারণে তেমন কিছু চিনতে পারলো না। কিন্তু আমার বড় ভাগ্নি এবং নাশিয়া দুজনেই খেলনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো। আসলে তাদের কিছুটা হলেও বয়স হয়েছে তাই তারা খেলনা সম্পর্কে অনেক ধারণা নিয়ে রেখেছে। তাই তাদেরকে নিয়ে এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করলাম সবাই। কারণ তারা একবার এই খেলনা নিবে না হয় এই খেলনা নিবে বলে। আমি কিন্তু ছোট হবার কারণে অনেকটাই বেচে দিয়েছি। না হলে তো তাদের মতোই মাইসুন ও অনেক বিরক্ত করতো আমাকে।

IMG_20240627_184914.jpg

IMG_20240627_184921.jpg

IMG_20240627_184917.jpg

যাই হোক পরবর্তী থেকে কিন্তু মাইসুনকে নিয়েও এই ধরনের মেলায় যেতে অনেক অসুবিধা হবে। তারপর সবাই মিলে কিছু ছোটদের জন্য খেলনা কিনে নিলাম। আমিও মাইসুনের জন্য একটি ছোট গিটার এবং ছোট হাঁড়ি পাতিল পাটিল কিনে নিলাম। যাতে মাইসুন ও বাড়িতে গেলে এই খেলনা গুলো দিয়ে খেলতে পারে। তারপর আমরা বড়রা নিজেদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিলাম। আসলে এরকম মেলাতে গেলে অনেক ছোট খাটো জিনিস অনেক প্রয়োজনে লাগে। আমার কিন্তু মাইসুনকে একা রাখতে অনেক অসুবিধা হচ্ছিল। কারণ সব সময় মাইসুনের বাবা আমাদের সাথে যায়।

IMG_20240627_185435.jpg

IMG_20240627_185928.jpg

IMG_20240627_191752.jpg

কিন্তু ঐদিন মাইসুন এর বাবার মাদ্রাসা থাকার কারণে আমাদের সাথে মেলায় যেতে পারল না। তাই আমি মাইসুনকে একা কোলে নিয়ে কেনাকাটা করতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়লাম। কিন্তু তাও সনিয়া আপু মাইসুনকে কিছুক্ষণ কিছুক্ষণ রাখার কারণে অনেকটাই সুবিধা হয়েছিল আমার পক্ষে। আসলে ছোট বাচ্চাদেরকে এভাবে আগলে রাখতে অনেক অসুবিধা হয়। তাছাড়া মেলাতে কেনাকাটার পরে আমরা কিছু ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম। আমার কিন্তু এই মেলাটা ছোট হলেও ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালো লেগেছে। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝেও সুন্দর এই মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়া যাক। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।

IMG_20240627_191836.jpg

IMG_20240627_192053.jpg

IMG_20240627_194351.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাবার বাসায় ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন এবং বাণিজ্য মেলা ঘুরতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য

মেলায় ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার গুলো খেতে।যদিও খাবার গুলো স্বাস্থ্যকর না তারপরও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। সোনিয়া আপু আপনাকে অনেক সাহায্য করেছে তাহলে বাবুকে নিয়ে। মেলায় ঘোরাঘুরির মুহূর্ত পরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মেলায় ঘোরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে

আপনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সবার সাথে বাড়ির পাশের মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে গেলে ভালোই লাগে। তাছাড়া সব কিছুতে একঘেয়েমি লাগে। আপনি মেলাতে গিয়ে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। কেনাকাটা করতে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক বাবার বাড়িতে গিয়ে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করে এলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মিয়াজীর ঘাটের কথা আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে অনেক আগেই জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া কয়েকজন মিলে যদি মেলায় যাওয়া যায়, তাহলে তো আরও বেশি ভালো লাগে। মেলায় ঘুরাঘুরি করে বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনেছেন এবং ভাজাপোড়া খেয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। তবে জামাল ভাই সাথে গেলে হয়তোবা আরও বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।