গল্প: মামা ও ভাগ্নে। পর্ব: ১৩ || তাং: ১৪/০৪/২০২৩ ইং।

in hive-129948 •  last year 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ শুক্রবার। ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ ইং।




আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট আমার লেখা একটি গল্প শেয়ার করছি। আমার গল্পের নাম- 'মামা ও ভাগ্নে', পর্ব-১৩। আমি আশা করি আমার লেখা গল্পের পর্ব-১৩ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।


sunset-g5f78888ca_1280.jpg

Source



গল্পের দ্বাদশতম পর্বটি পড়ার লিঙ্ক



সুজন পুলিশ সুপারকে খুবই সতর্কতার সাথে ইঙ্গিত করল। তারপর পুলিশ সুপার এবং কনস্টেবলরা এসে সুজনের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলো এবং মুখে টেপ লাগিয়ে দিল। এদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সর্দার অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে তার সহকর্মীদেরকে গালিগালাজ শুরু করল। তারপর সুজন এবং হৃদয় ভুট্টা ক্ষেতের পাশে গোপন স্থানে নিরবে বসে বসে সবকিছু দেখতে লাগলো। এমন সময় পুলিশ সুপার তার সহকর্মীদের সাথে করে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল। প্রথমদিকে পুলিশ সুপারসহ সকলেই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরলো। তারপর একে একে সবাইকে পালিয়ে যাওয়ার আগেই হাত-পা বেঁধে ফেলতে সক্ষম হলো। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীদের সর্দারকে খুঁজে পেল না পুলিশ সুপার। যখন সকল মাদক ব্যবসায়ীগণ একে একে গ্রেফতার হতে থাকে তখন ভুট্টা ক্ষেত থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সর্দার খুবই সাবধানতার সাথে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে।


মাদক ব্যবসায়ী সর্দার যখন পালিয়ে যাচ্ছিল তখন তার প্যান্টের পকেটে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ছিল। সর্দার ভেবেছিল যে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালাতে পারলে সে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করতে পারবে। কিন্তু সুজন এবং হৃদয় যেখানে নিরবে বসেছিল ঠিক সেই স্থানে সর্দার গিয়ে হুবড়ি খেয়ে পড়ে গেল। সর্দারের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি সুজন এবং হৃদয় নিরবের সাথে দেখতে ছিল। সুজন সর্দারকে চেপে ধরে বলল, সর্দার আমি তোমাদের দলের লোক। আমি এখানে পালিয়ে আছি। কিন্তু সর্দার একটু মোটা কন্ঠেই বলল, তোদের নাম কি? সর্দারের কথায় কোন উত্তর না দিয়ে সুজন সর্দারের নাক-মুখ বরাবর ৭-৮ টা ঘুসি মেরে দিল। তারপর সুজন সর্দারের গলা টিপে ধরে বুকের উপর বসে পড়ল। এবং হৃদয় কে বলল, হৃদয় দেখতো এর পকেটের মধ্যে কোন মাদকদ্রব্য আছে কি-না। হৃদয় সর্দারের পকেটে হাত দিয়েই বান্ডিল বান্ডিল টাকা পেল। টাকাগুলো সবই ছিল ১০০০ টাকার নোট। এতগুলো টাকা দেখে হৃদয় এবং সুজনের চোখ আকাশে উঠে গেল।


সুজন হৃদয়কে বলল, তুমি টাকাগুলো তোমার চাদরের মধ্যে রেখে দাও, যাতে কেউ না দেখতে পারে। সুজন আরো বললো, এই টাকাগুলো পরে আমাদের কাজে লাগবে। সুজনের ইচ্ছে এই টাকাগুলো সে কাউকে দিবে না। এদিকে পুলিশ সুপার তার ফোর্স নিয়ে সর্দারকে ধরার জন্য এদিক সেদিকে ছুটাছুটি করতে লাগলো। পুলিশ সুপারের ছোটাছুটি দেখে সুজন একটু জোরেই পুলিশ সুপারকে ডাক দিল। পুলিশ সুপার এসে দেখল যে, সুজন সর্দারকে চেপে ধরে রেখেছে। তারপর পুলিশ সুপার সর্দারকে গ্রেফতার করল। তারপরে সর্দারকে ইচ্ছে মতো ঠেঙ্গানি দিল। তারপর সুজন হৃদয়ের কাছ থেকে টাকার বান্ডিল গুলো নিয়ে নিজের কাছে রাখলো। এদিকে পুলিশ সুপার মাদক ব্যবসায়ীদের সকল মাদক গুলো জব্দ করল। তারপর পুলিশ সুপার সকল মাদক ব্যবসায়ীদেরকে দড়ি দিয়ে বাধার নির্দেশ দিল। যখন সকল মাদক ব্যবসায়ীদেরকে পুলিশবাহিনী মাজায় দড়ি বেঁধে মারতে মারতে ভুট্টা ক্ষেতের বাইরে বের করে আনলো তখন সুজনের মাথা ও কপাল দিয়ে ঘাম পড়তে লাগলো। সুজন অনুভব করতে পারল যে, তার দেহের ভিতরে অতিরিক্ত গরম অনুভব হচ্ছে।


সুজন বোঝার চেষ্টা করল যে, এটা কিসের গরম সে অনুভব করতেছে। সে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করল, এখন তো শীতকাল, বইছে শীতের উত্তরের হাওয়া, সাথে প্রচন্ড কুয়াশা, বৃষ্টির মত করে টিপ টিপ কুয়াশা পড়ছে, এক কথায় হাড় কাঁপানো শীত, কিন্তু তার শরীর এত ঘেমে যাচ্ছে কেন? সুজন ভাবলো, তাহলে আমার চাদরের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বান্ডিল বান্ডিল টাকার গরমে কি আমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে? সুজনের মনের ভেতর থেকে উত্তর বেরিয়ে এলো, হ্যাঁ, টাকার গরমে তোমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে। সুজন নিজেই নিজেকে বলতে লাগলো, যে অবৈধ টাকার মধ্যে কোন শারীরিক শান্তি নেই, কোন মানসিক প্রশান্তি নেই, তাহলে মানুষ কিসের জন্য অবৈধ পথে টাকা উপার্জন করে? সুজন আরো বলতে লাগলো, তাহলে মানুষ কি এক ধরনের বোকা হয়ে গেছে? তারপর সুজন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল যে, এই টাকাগুলো সে পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিবে।


এদিকে পুলিশ সুপার লক্ষ্য করল যে, ভুট্টা ক্ষেতের ওই পাশে কেমন যেন আলো দেখা যাচ্ছে। তাই সে কয়েকজন কনস্টেবল সাথে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের ওই পাশে যেতে লাগলো। যখন ভুট্টা ক্ষেতের ওপর পাশে পুলিশ সুপার চলে গেল তখন সে বুঝতে পারলো যে, বেশ কয়েকজন মানুষ সেখানে আছে। তাই পুলিশ সুপার সাবধানতার সাথে সামনের দিকে এগোতে লাগলো।


[গল্পটি চলমান থাকবে]



১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png