গল্প :- প্রিয়জন // পর্ব - ০৭

in hive-129948 •  last year 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ রবিবার। ০২ ই জুলাই, ২০২৩ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

siblings-gc11837ab2_1280.jpg

Source



সাগরের মুখের কথাগুলো সীমা প্রথমে মনোযোগ দিয়ে শুনে নিলো। তারপর সীমা সাগরের কথাগুলো শোনার পর মিটমিট করে হাসতে শুরু করলো। কিন্তু সীমা মুখে কোন কথা বললো না। সীমার মুখের এরকম মিটমিট হাসি দেখে সাগর কিছুটা সন্তুষ্ট হলেও আস্তে আস্তে সে লজ্জা অনুভব করতে লাগলো। তারপর সীমা তার বান্ধবী ঝর্ণাকে কাছে ডেকে নিলো। সীমা ঝর্নাকে বললো যে, সাগরের বিষয়টা আমাকে আগে জানালেও তো পারতে। ঝর্না উত্তর দেওয়ার আগেই সাগর বলে দিল যে, আগে থেকে বলতে আমি ঝর্ণাকে নিষেধ করেছিলাম। সাগরের কথা শুনে সীমা একটু মিষ্টি করে হাসি দিলো।

সীমার মুখে এরকম মিষ্টি হাসি দেখে সাগরের প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। সাগর ভাবতে লাগলো যে, হয়তো সীমা তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে। আসলে প্রেম বা ভালবাসার প্রস্তাব করার পরে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে যখন গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায় তখন মনটা তো এমনিতেই প্রফুল্লে ভরে ওঠে। সীমার মুখের একটু হাসি দেখেই সাগরের চারপাশে যা কিছু আছে সবকিছুই যেন সুন্দর হয়ে উঠলো, সাগর যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধু সুন্দর আর সুন্দর দৃশ্য দেখে। আসলে ভালোবাসার অনুভূতি যখন মানুষের মনে শতভাগ বিরাজ করে তখন তার কাছে অসুন্দর বলতে আর কিছুই থাকে না।

এদিকে সীমা আবারও মিষ্টি হাসি দিয়ে ঝর্ণার সাথে কথা বলতে লাগলো। তারপর সীমার কথামতো ঝর্ণা সাগরকে একটু দূরে যেতে বললো। সাগর ভাবতে লাগলো যে, হয়তো আমাকে সরাসরি ভালোবাসার কথা বলতে সীমা লজ্জা পাচ্ছে। তাই ঝর্নার মাধ্যমে তার ভালোবাসার কথাগুলো আমাকে বলবে। তারপর সীমা ও ঝর্ণা থেকে সাগর অনেকটা দূরে চলে গেল এবং তাদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। এদিকে সীমা ঝর্নাকে বললো যে, কারো সাথে ভালোবাসার রিলেশন করতে হলে অবশ্যই তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। একথা শুনে ঝর্না বললো, তুমি বিশ্বাস করো, সাগর সত্যিই অনেক অনেক ভালো ছেলে।

সীমা উত্তরে বললো, সাগর ভালো ছেলে আমি বুঝলাম। কিন্তু সাগর কি আমার সম্পর্কে কিছু জানে? উত্তরে ঝর্ণা বললো সেটা আমি জানি না, এই বিষয়টি সাগরই ভালো জানে। আসলে ভালোবাসার ক্ষেত্রে ভালোলাগাটাকেই সকলে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সকলের উচিত যার সাথে পবিত্র ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করবো তার সম্পর্কে পূর্ব থেকে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত, সীমার মুখে এরকম কথা শুনে ঝর্না বেশ হতবাক হয়ে গেল। এরপর সীমা একটু উচ্চস্বরে সাগরকে 'হ্যালো লাভার বয়' বলে ডাক দিলো। সীমার ডাকে সাড়া দিয়ে সাগর দ্রুত কাছে আসলো।

সাগর ও ঝর্ণাকে সামনে রেখে সীমা বলতে লাগলো যে, প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করা নিঃসন্দেহে ভালো একটি কাজ। ভালোবাসার মধ্যে আমরা স্বর্গীয় সুখ অনুভব করি। আর ভালোবাসা তো ঈশ্বর কর্তৃক আমাদের জন্য বিশেষ একটি উপহার। যাহোক, প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করা পূর্বে প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেকের পছন্দের মানুষের সম্পর্কে প্রথমে ভালোভাবে জেনে নেওয়া। তারপর সীমা সাগরকে উদ্দেশ্য করে বললো, একটি মেয়েকে একটি ছেলের ভালো লাগতেই পারে, এটা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু আমি তোমার ভালোবাসার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারবো না।


গল্পটি চলমান থাকবে। গল্পটির অষ্টম পর্ব আগামী সপ্তাহে শেয়ার করা হবে।


গল্পের ষষ্ঠ পর্বটি পড়ার লিংক



১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সাগরের প্রস্তাব সীমা না মেনে নিয়ে ঝর্ণার জন্য ভালোই হলো।আসলে সাগর একটু বুঝতে পারবে ভালোবাসার কি? দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।