হৃদয়ে আমার "নৌকা"।

in hive-129948 •  2 months ago 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ বৃহস্পতিবার। ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

IMG_20241212_155549_332.jpg



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, যেদিন থেকে আমি ভালো-মন্দ বুঝতে শিখেছি, ভালো-মন্দ চিনতে শিখেছি, ঠিক সেই দিন থেকেই নৌকা আমার অত্যন্ত প্রিয়। আর যেদিন থেকে আমি পরিণত বয়সে পদার্পণ করেছি ঠিক সেইদিন থেকে নৌকাকে আমার হৃদয়ে লালন-পালন করতে শুরু করেছি। আসলে এই নৌকা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের একটি পুরনো নিদর্শন। আমাদের বাঙালি সমাজের বহু সংস্কৃতির সাথে নৌকা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই নৌকাকে আমি খুবই ভালোবাসি। আর নৌকাকে ভালবেসে আমার হৃদয়ে নৌকাকে স্থায়ীভাবে ঠাঁই দিয়ে রেখেছি।



প্রাচীন যুগ থেকেই আমাদের বাংলাদেশের অর্থাৎ বঙ্গভূমি অধিকাংশ মানুষের জলপথ পাড়ি দেওয়ার প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা। বর্তমান সময়ে এসেও জলপথ পাড়ি দেওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো নৌকা। এই নৌকা ব্যবহার করে আমাদের বাংলাদেশের হাজারো মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করেছে। আবার হাজারো বাঙালি নৌকাকে ব্যবহার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলার হাজারো মানুষ জেলে পেশা গ্রহণ করে নৌকা নিয়ে বাংলার নদ-নদীর বুক থেকে মাছ শিকার পূর্বেও করেছে, এখনো করছে। তাইতো এই নৌকাকে আমার হৃদয়ে ঠিক মাঝখানেই রেখেছি।



বড় হয়ে যখন বাংলার ইতিহাস পড়তে লাগলাম, তখন বাংলার ইতিহাস থেকে জানতে পারলাম যে, আমাদের পূর্ব বাংলার ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা, সেই নির্বাচনে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ এই নৌকা প্রতীকের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ১৯৭০ সালের পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এই নৌকা প্রতীকের কাছে শোচনীয় ভাবে হেরে মাথা নিচু করে বাড়িতে গিয়েছিল। তাই এখানেই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, বাংলাদেশ সৃষ্টিতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এই নৌকা সরাসরি জড়িত। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের সমস্ত প্রকৃত বাঙালিদের জীবনে নৌকা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই কারণেই আমি উচ্চ স্বরে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি হৃদয়ে আমার "নৌকা"।



IMG_20241212_155209_365.jpg

IMG_20241212_155211_801.jpg

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, রকি ভাইয়া এবং তার ওয়াইফ আমাদের সকলের পরিচিত সোনিয়া আপু সুদূর ফেনী থেকে আমাদের গাংনিতে বেড়াতে এসেছেন। রকি ভাইয়া এবং তার ওয়াইফ আমাদের জন্য অনেকগুলো গিফট নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে আমরা যারা "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে লেখালেখি করি শুধুমাত্র তাদের জন্য এই গিফট। আর গিফটগুলো ছিল--সোনিয়া আপুর নিজের হাতে অঙ্কন করা বিভিন্ন প্রকারের সুন্দর সুন্দর ছবি। আর প্রত্যেকটা ছবি খুবই সুন্দর ভাবে রেপিং পেপার দিয়ে মোড়ানো ছিল। এবার সোনিয়া আপু প্রথমে আমাকে আমন্ত্রণ করলেন একটা গিফট নেওয়ার জন্য।



IMG_20241212_155458_561.jpg



আমার পছন্দমতো একটি গিফট ব্যাগের ভিতর থেকে তুলে নিয়েছিলাম। তারপর উপহারটি ভালোভাবে দেখার জন্য উপরের রেপিং পেপার টা খুলে ফেলেছিলাম। তারপরই দেখতে পেলাম যে, আমার অত্যন্ত পছন্দের চিত্র অঙ্কন। এই চিত্র অংকনে নৌকার দৃশ্যটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আর নৌকার উপর বিশেষ একটি টান রয়েছে বিধায় মনের অজান্তেই ব্যাগের ভিতর থেকে এই নৌকার চিত্র অংকনের গিফটটা তুলে নিয়েছিলাম। আসলে গিফট পাওয়ার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ। আর সেটা যদি হয় সরাসরি পছন্দের গিফট-- তাহলে তো আর কথাই নেই। তাইতো অধিক পছন্দের চিত্র অঙ্কনের উপহার পেয়ে এক্কেবারে হৃদয়ের কথাটি টাইটেলে দিয়ে দিয়েছি, হৃদয়ে আমার "নৌকা"।





আমার পরিচয়।

IMG_20220709_132030_108.jpg



আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।

১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের কাজ সম্পন্ন।

Screenshot_20241212-223332.jpg

Screenshot_20241212-223058.jpg

Screenshot_20241212-222908.jpg

সোনিয়া আপু অনেক সুন্দর আর্ট করতে পারেন এটার কোন সন্দেহ নেই। উনার এমন আর্ট দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আর যা বুঝতে পারলাম বেশ সুন্দর সময়টা পার করা হয়েছে। তবে আপুর কর্মকাণ্ড দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যেন বাংলা ব্লগের প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা আস্থা এবং সক্রিয়তা তৈরি করে দিয়ে গেলেন আমাদের মাঝে।

রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর সাথে দেখা করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সোনিয়া আপু সবার জন্য খুব সুন্দর গিফট এনেছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। আপু সব সময় খুব সুন্দর পেইন্টিং করে। সেই পেইন্টিং থেকে আপনাদের উপহার দিয়েছে। সত্যি দারুন এগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

রকি ভাই এবং তার ওয়াইফ সোনিয়া আপু ফেনী থেকে আপনাদের ওইখানে গেলেন। আর আমাদের এই প্লাটফর্ম থেকে একজনের সাথে একজনের পরিচয় এবং রক্তের সম্পর্ক চেয়ে সম্পর্ক আরো গভীর হলো। এবং আপুর হাতে পেইন্টিং করা নৌকার পেইন্টিং টি আপনি গিফট পেলেন। আর আপুর পেইন্টিং গুলো অসাধারণ হয়। নিশ্চয়ই গিফট পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন ভাই। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।

রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপু আপনাদের বাসায় গিয়েছিল এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে উপহারটি দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। চমৎকার একটি উপহার পেয়েছেন আপনি। খুবই আকর্ষণীয় লাগছে দেখতে।