হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শুক্রবার। ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
এদিকে জাফর মিয়ার এরকম অবস্থার কথা মুহুর্তের মধ্যে গ্রামের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো। জাফর মিয়ার এই দুর্গতির কথা শুনে রাম মনে মনে খুবই ভয় পেয়ে গেল। কিন্তু রহিম অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি। কারণ রহিম মনে করে, তার বন্ধু রামকে অপমান করার উপযুক্ত শিক্ষা জাফর মিয়া পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও রামের মনের ভিতর গভীরভাবে ভয় সঞ্চয় হতে লাগলো। কারণ ১৯৪৭ সাল, বেশ ভাগ হওয়ার কথা শুনে ইতিমধ্যেই জাফর মিয়ার মতো উগ্রবাদী মুসলিমরা দেশ থেকে হিন্দুদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার বিভিন্ন রকমের পায়তারা করছে। তবে রহিমের বাবার মতো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কঠোরভাবে হিন্দুদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
এদিকে জাফর মিয়ার শরীর থেকে পেত্নী দূর করার জন্য তান্ত্রিক মশাই প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। এমন অবস্থায় জাফর মিয়ার জ্ঞান বুদ্ধি স্বাভাবিক হতে লাগলো। আশপাশ থেকে মানুষেরা যে কথাগুলোই বলছে, জাফর মিয়া সেই কথাগুলো ঠিকঠাক ভাবে শুনতে ও বুঝতে পারছে। কিন্তু জাফর মিয়া কোন কথা বলছে না। কারণ সে পুরো শরীর চুলকিয়ে চুলকিয়ে তার শরীরের মধ্যে অন্যরকম অস্বস্তি অনুভূতি চলে এসেছে। এমন অবস্থায় তান্ত্রিক মশাই জাফর মিয়ার এক অনুসারীকে ডেকে বললেন যে, খুব দ্রুত হিন্দু বাড়ি থেকে গাভী গরুর ১ লিটার প্রস্রাব এবং তিন কেজি গাভী গরুর গোবর নিয়ে আসতে হবে।
তান্ত্রিক মশায়ের কথা শুনে জাফর মিয়ার অনুসারিরা খুব দ্রুত হিন্দু বাড়িতে চলে গেল। রাত দুপুরে জাফর মিয়ার অনুসারীদের হিন্দু বাড়ির লোকজনেরা দেখে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠলো। বিশেষ করে রাম ও রামের পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত ভয় পেয়ে গেল। জাফর মিয়ার অনুসারীদের দেখে রাম এক দৌড়ে রহিম দের বাড়িতে চলে গেল। তারপর রহিম এবং রহিমের বাবা ও চাচারা খুব দ্রুত রামদের বাড়িতে ছুটে এলো। তবে অন্যান্য হিন্দু পরিবারের লোকজনেরা ভাবতে শুরু করলো, হয়তো জাফর মিয়ার লোকজন আজকে আমাদেরকে ভিটে ছাড়া করবে। এদিকে রহিমের বাপ চাচাদের দেখে সকল হিন্দু পরিবারের সদস্যদের বুকে কিছুটা হলেও সাহস সঞ্চয় হলো। এরপর রহিমের বাবা জাফর মিয়ার অনুসারীদেরকে জিজ্ঞেস করলো, তোমরা এতো রাত্রে হিন্দু বাড়িতে কি করতে এসেছো?
উত্তরে জাফরের এক অনুসারী জাফরের বিষয়টি বললেন এবং জাফরকে সুস্থ করতে তান্ত্রিক মশাই যা যা আনতে বলেছেন সেই সব কথা বললেন। গাভী গরুর প্রস্রাব এবং গাভী গরুর গোবরের কথা শুনে সকল হিন্দু সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন। একই সাথে তারা তাদের গোয়ালঘর থেকে গাভী গরুর প্রস্রাব এবং গোবর সংগ্রহ করার অনুমতি দিলেন। গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে জাফর মিয়ার অনুসারিরা খুব সহজে গাভী গরুর গোবর সংগ্রহ করতে পারলো, কিন্তু গাভী গরুর প্রস্রাব সংগ্রহ করা তাদের কাছে বেশ কঠিন হয়ে গেল। এমন অবস্থায় রাম ও রহিম একত্রিত হয়ে কানে কানে কথা বলে একটি মিনি কনফারেন্স সম্পন্ন করলো। তারপরে রাম ও রহিম সিদ্ধান্ত নিলো যে, আজ জাফর মিয়াকে আরো উপযুক্ত শাস্তি তারা দিবে।
তারপর রাম রহিম খুব দ্রুত তাদের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলো এবং দু'জনে পেট বোঝাই করে বিশুদ্ধ পানি পান করলো। যাতে তারা দুজনে প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব করতে পারে। এদিকে জাফর মিয়ার অনুসারীরা গাভীর প্রস্রাব নেওয়ার জন্য গোয়াল ঘরে অপেক্ষা করতে লাগলো। কিন্তু গাভী গরু তো আর যেকোনো সময় প্রস্রাব করে না, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগানোর জন্য রাম ও রহিম জাফর মিয়ার অনুসারীদের কাছে গেল,,,,,,(গল্পটি চলমান থাকবে)
Twitter link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভালো লাগার মত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো। অনেক অনেক ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। মাঝে মাঝে গল্প করতে ভালো লাগে। গল্পের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit