হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শুক্রবার। ২০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
তারপরেও আমরা কাঁঠাল চুরি করা থেকে পিছপা হয়ে ছিলাম না। আসলে আমাদের টার্গেট ছিল পাকা কাঁঠাল গুলো চুরি করবোই করবো। এরপর যখন দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল ঠিক সেই সময় পুকুরের মালিক মাছ ধরা শেষ করে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলো। ঠিক এই সুযোগে আমি আর আমার বন্ধু রাজু খুব দ্রুত কাঁঠাল গাছের কাছাকাছি চলে গেলাম। এরপর রাজু যখন কাঁঠাল গাছে উঠার প্রস্তুতি নিল ঠিক সেই সময় একজন আধা বয়স্ক মহিলা পুকুরে গোসল করতে এলো। ওই মহিলাকে দেখে বেশ বিরক্ত নিয়েই আমি আর আমার বন্ধু রাজু কাঁঠাল গাছ তলা থেকে পুনরায় ঝোড়ের মধ্যে চলে গেলাম।
মহিলাটির গোসল করতে করতে প্রায় কুঁড়ি মিনিট সময় লেগে গেল। তারপর মহিলাটি যখন গোসল শেষ করে পুকুর থেকে উঠে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় আমরা দেখলাম যে, কাঁঠাল গাছের মালিক একটি সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পরিধান করে এবং মোটরসাইকেল চালিয়ে সেজেগুজে কোথাও যেন বের হলো। ওই সময় আমরা চার বন্ধুই বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই অনেকটা সময়ের জন্য কাঁঠাল গাছের মালিক হয়তো কোথাও চলে গেল। সেই সুযোগে আমরা চার বন্ধু খুব দ্রুত কাঁঠাল গাছের কাছে চলে গেলাম। তারপর আমার বন্ধু রাজু খুব দ্রুত কাঁঠাল গাছের উঠে পড়লো। তারপর রাজু কাঁঠালগুলো ছুড়িয়ে আমাদের তিনজনার হাতে তিনটা কাঁঠাল দিয়ে দিলো।
আমরা তিনজন পাকা কাঁঠাল তিনটে নিয়ে খুব দ্রুত ঝোড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। একই সাথে আমার বন্ধু রাজু খুব তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নেমে সেও আমাদের সঙ্গে ঝোড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লো। আমরা চার জনেই প্রচন্ড হাপিয়ে গিয়েছিলাম। একই সাথে আমাদের শরীর দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম ঝরছিল। বিশেষ করে আমার তো বুকের মধ্যে পুরো ধব-ধব শব্দ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সফলভাবে কাঁঠাল চুরি করার পরেও কেমন যেন অদৃশ্য ভয়ে আমাদের চারজনকে চেপে ধরেছিল। আমাদের সকলের চোখে-মুখে একরকম ভয় চলে এসেছিল। শুধু তাই নয়, এতটাই ভয় অনুভব হচ্ছিল যে, আমাদের মুখের ঠোঁট দুটি শুকিয়ে দাঁতের সাথে পর্যন্ত লেগে গিয়েছিল।
তারপর আমরা কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। এরপর আমাদের চারজনের মধ্যেই স্বাভাবিক অনুভূতি চলে এসেছিল। কিন্তু আমরা যে ঝোড়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম সেখানে কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার পরিবেশ ছিল না। কারণ সেখানে বেশ মশার অত্যাচার এবং বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত পিঁপড়ার অত্যাচার ছিল। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পাকা কাঁঠাল গুলো পাট ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে খাব। কিন্তু পাট ক্ষেত আমাদের ঝোড় থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ গজ দূরে। তাই আমরা কাঁঠালগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন একটি বুদ্ধি বের করেছিলাম, আমাদের খাতার পৃষ্ঠাগুলো চার বন্ধু মিলে খুব দ্রুত ছিড়ে ফেললাম। তারপর খাতার পৃষ্ঠাগুলো কাঁঠালের শরীরের উপর লাগাতে লাগলাম।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই গল্প পড়ে। ছোটবেলায় সবার জীবনে কমবেশি বিভিন্ন রকমের ঘটনা থেকে থাকে। তবে তার মধ্যে অনেকে ফল চুরির বিষয়ে বেশি লিপ্ত থাকতো এবং এই বিষয়টা বেশি দেখা যায়। অনেক ভালো লাগলো স্মৃতি স্মরণ করতে দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit