হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার। ৩০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
কম্পোস্ট সার মিশ্রিত দোআঁশ মাটি গুলো কিছুক্ষণ রোদে শুকানোর পরে মাটিগুলো বেশ ঝরঝরে হয়েছিল। তারপর সমস্ত মাটিগুলো এক জায়গায় গুছিয়ে রাখা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে আমরা সকলেই ফুলের গাছ রাখার জন্য টব গুলো মিশ্রিত দোআঁশ মাটির সামনে রেখেছিলাম। তারপর আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি ফুলের চারা হাতে নিয়ে একটি টবের মধ্যে রেখে কিছু মাটি দিয়ে টবটি ভর্তি করে দিয়েছিল এবং ফুলের চারাটি লাগিয়ে দিয়েছিল।। ফুলের চারা সহ টবটি মাটি দিয়ে ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত আমরা সকলেই করতালি দিয়ে আমাদের প্রধান প্রধান শিক্ষককে অভিবাদন জানিয়েছিলাম। কারণ প্রধান শিক্ষকের এই কাজের মধ্য দিয়েই আমাদের ফুল গাছ টবের মধ্যে লাগানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
তবে ফুল গাছ লাগানোর পরে আমাদের প্রধান শিক্ষক টবের মধ্যে পানি দিয়েছিল না। এই দৃশ্যটি দেখে আমাদের বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বলেছিল স্যার টবের মধ্যে পানি দিয়ে দেন। এই কথা শুনে আমাদের প্রধান শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে টবের মধ্যে পানিও দিয়েছিল। আসলে এই মুহূর্তটি আমাদের সকলের জন্য অনেক বেশি আনন্দের ছিল। বিশেষ করে আমাদের বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এই দৃশ্যটি দেখে অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করেছিল। তারপর প্রধান শিক্ষকের পরে আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একইভাবে একটি টবের মধ্যে ফুলের গাছ লাগিয়ে দিয়েছিল। আমাদের সকলের পক্ষ থেকে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক বিশেষ সম্মান পেয়ে তারা দু'জন অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল এবং হাসিমুখে সকলের সাথে কথা বলেছিল।
আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের পরে আমাদের বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষকরা এভাবে একটি করে ফুলের টব মাটি দিয়ে ভর্তি করে ফুলের গাছ লাগিয়েছিল। আর এভাবে আমরা সকলেই টবের মধ্যে ফুলের গাছ লাগিয়েছিলাম। মাটির টবের মধ্যে ফুটে থাকা বেশ কয়েকটি প্রজাতির ফুলের গাছগুলো লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে ফুল গাছ সহ টবটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লেগেছিল। তারপর সবগুলো টবের মধ্যে সবগুলো ফুলের গাছ লাগানো দ্রুত শেষ করেছিলাম। এরপর প্রত্যেকটি টব আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের অফিসের সামনে নিয়ে এসেছিল। আমাদের অফিস দ্বিতীয় তলায়, তাই ফুল গাছের টবগুলো নিয়ে আসতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য নিয়েছিলাম। যদিও আমাদের বিদ্যালয়ের কর্মচারীরা খুব সহজে এগুলো নিয়ে আসতে পারতো, কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তারা শখ করেই আমাদের অফিসের সামনে ফুল গাছের টবগুলো নিয়ে এসেছিল।
আমাদের অফিসের বারান্দার সামনে সঠিক গুরুত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকটি ফুলগাছের টব রাখা হয়েছিল। আমাদের অফিসের সামনে ফুল গাছের টব গুলো সাজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যাডামদের সিদ্ধান্তটি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যাডামরা যেখানে যেখানে ফুল গাছের টবগুলো রাখতে বলেছিল ঠিক সেখানেই রাখা হয়েছিল। তারপরে প্রত্যেকটি ফুল গাছের টবের মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের অফিসের সামনে সুন্দর সুন্দর ফুল গাছের টবগুলো সাজিয়ে রাখার পরে আমাদের অফিসের বারান্দার সৌন্দর্য অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে গেল। সাথে আমিও ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আমাদের অফিসের বারান্দায় এরকম ফুল গাছ দিয়ে সাজাতে পেরে সত্যি আমরা সকলেই অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন শীতের সময়। এ সময় আমরা চাইলে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ টবে লাগিয়ে বাড়ি অথবা অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারি। ঠিক তেমনি আপনারা আপনাদের বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য স্কুলের বারান্দায় ফুল গাছ লাগিয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের স্কুলে খুবই সুন্দর একটা ফুলের বাগান রয়েছে আমরা সেখানেই অনেক ধরনের ফুলের গাছ প্রত্যেক বছরই লাগিয়ে থাকি। আপনাদের স্কুলের ফুল গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই সময় বিভিন্ন রকম ফুল পাওয়া যায়, সেই ফুলগুলো যদি এভাবে টবে দেখে সারিসারি ভাবে অফিসে সাজানো যায় তাহলে অনেক অনেক সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠে আর ফুল ফুটে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। যতগুলো ফুলের গাছ সাজানো হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে ফুল ফুটলে অনেক সুন্দর দেখাবে অফিসের ফ্লোর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit