হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ২৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। তবে আমাদের মাধ্যমিক লেভেলের ছাত্র জীবনের স্মৃতিগুলো সব থেকে বেশি মধুর হয়। আজকে আমার হাইস্কুল জীবনের অর্থাৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া অবস্থায় আমার জীবনের মধুর কিছু স্মৃতি আপনাদের নিকট উপস্থাপন করছি। আমি আশা করি আমার হাই স্কুল জীবনের মধুর স্মৃতি গুলো জানতে পেরে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম তখন আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের অনেক ছাত্র-ছাত্রী আমাদের বিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিল। প্রথম কয়েকদিন প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে হালকা কথাবার্তা হয় এবং পরিচিত হয়। তারপর একের পর এক আমরা আপন বন্ধুত্বের চাদরে জড়িয়ে পড়ি। যদিও মাঝে মধ্যে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়তাম। কিন্তু তারপরেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমরা পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বেশি গভীর করে নিতাম। যাহোক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় প্রথমবার শিক্ষা সফরে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। শিক্ষা সফরটি হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। আর প্রায় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী জীবনে হাইস্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়ার মুহূর্তটি সবথেকে বেশি আনন্দের এবং মধুর স্মৃতি হয়ে থাকে।
ঠিক তেমনি আমার ছাত্র জীবনের সবথেকে আনন্দের এবং মধুর স্মৃতির মুহূর্ত হলো ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়ার মুহূর্তটি। শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য আমাদের বিদ্যালয় মোট চারটি বাস ভাড়া করেছিল। ছেলেদের জন্য দুইটা বাস এবং মেয়েদের জন্য দুই বাস। সকাল সাতটার মধ্যেই চারটি বাস আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ চলে এসেছি। আমাদের বিদ্যালয় থেকে বাস ছেড়েছিল সকাল আটটা ১৫ মিনিটে। এবার সকাল আটটা পনেরো মিনিটের পূর্বে আমি এবং আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু ছেলেদের বাসের ঠিক মাঝামাঝি অংশের সিটে বসে ছিলাম। আমরা সকল বন্ধুগণ পাশাপাশি বসার কারণে বেশ আনন্দ অনুভব করেছিলাম। বাসের সিটে বসে তখন আমরা সকলেই হাসি আনন্দ করছি এবং একে অপরের সাথে খুনসুটি করছি। ঠিক এমন মুহূর্তে উল্কার মতো আমাদের বাসে আমাদের গেম স্যারের আগমন ঘটলো।
তারপর কে কোন ক্লাসের ছাত্র গেম স্যার জানতে লাগলো। আমরা সরল বিশ্বাসে বলে দিলাম যে, আমরা সকলেই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তখন আমাদের পরিচয় পেয়ে আমাদের সব বন্ধুকে গেমস স্যার বাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেল। তারপর আমাদের একটি মেয়েদের বাসে ওঠার আদেশ দিলেন। আমরা সকলে প্রথমে একটু আপত্তি করলে গেমস আর এতো জোরে ধমক দিলেন যে, আমরা বিদ্যুৎ গতিতে বাসের মধ্যে উঠে পড়লাম। বাসের ভিতরে উঠে দেখলাম বাসের সামনের সিটে দশম শ্রেণীর বড় আপুরা বসে। আর বাসের পেছনের সিটে কয়েকজন নবম শ্রেণীর আপুরা বসে। আর আমাদের অবস্থান হলো বড় আপুদের বাসের ঠিক পেছনের সিটে। বড় আপুদের বাসে এসে আমাদের সকলের মুখ থেকে আনন্দের হাসি কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেল এবং আমাদের সকলের মুখ মলিন হয়ে গেল। আসলে বড় আপুদের মাঝে বসে আমরা সকলে অত্যন্ত লজ্জা পাচ্ছিলাম। তখন আমাদের সকলেরই মনে হচ্ছিল অযথা অনেকগুলো টাকা দিয়ে শিক্ষা সফরে যাচ্ছি।
এদিকে বড় আপুরা কিন্তু আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলছিল এবং আমাদের সকলের নাম জিজ্ঞেস করছিল। কিন্তু আমরা সত্যিই অনেক লজ্জা পাচ্ছিলাম। আর আমাদের পিকনিক বা শিক্ষা সফরের স্পটটি ছিল খুলনা বাগেরহাট। এবার বাস যখন আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ছেড়ে দিল ঠিক তখনই বড় আপুরা আনন্দে মেতে উঠলো। বড় আপুদের আনন্দ দেখে আমাদের মুখেও হাসি চলে আসলো। এরপর বাস যখন প্রধান সড়কে পৌঁছালো তখন বক্সের গানের তালে তালে বড় আপুরা এতো সুন্দর করে নাচানাচি শুরু করলো, বড় আপুদের নাচ দেখে আমাদের মধ্যেও নাচের ফিলিংস চলে আসলো। প্রত্যেকটি বড় আপুদের বিচিত্র বিচিত্র রকমের নাচ দেখি আমরা মুগ্ধ হয়ে গেলাম, বড় আপুদের নাচ দেখে আমরা সকলেই অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করেছিলাম এবং হাসছিলাম।
এদিকে বড় আপুদের সুন্দর ডান্স দেখে আমার বন্ধু রাশিদুল বলে উঠলো, গেম স্যার আমাদেরকে ভালো জায়গায় পাঠিয়েছে। নয়তো বড় আপুদের এতো সুন্দর নাচ আমরা দেখতে পারতাম না। আমার বন্ধু রাশিদুলের কথাটা শতভাগই সঠিক ছিল। বড় আপুদের নাচ দেখে বাসে বসে থাকা আমাদের বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরাও অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করেছিল এবং তারা হাততালি দিয়েছিল। এমনকি বাসের ড্রাইভার পর্যন্ত হেসেছিল বড় আপুদের নাচ দেখে। শিক্ষা সফরে যাওয়ার শুরুতে বড় আপুদের নাচের তালে তালে আমরাও নাচানাচি শুরু করে দিলাম, বড় আপু এবং বড় আপুদের ছোট ভাইদের নাচের তালে তালে বাস গাড়ি গড়াতে লাগলো।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনার লেখা গুলো পড়ে সত্যি আমি মুগ্ধ হলাম। আর মুগ্ধ হলাম এজন্যই আপনার এই স্মৃতিময় দিনটি কথা আপনার কাছ থেকে কখনো শুনিনি। আজ শুনলাম আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটির পোষ্টের মাধ্যমে। এমন স্মৃতিময় দিন এর কথা। অনেক অনেক ভালো লাগলো তোমার জীবনে এমন স্মৃতিময় দিন বারবার আসুক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্মৃতিময় দিনগুলো আর ফিরে আসবে না, তবে আপনি চেষ্টা করলে কমেন্টের মান আরো উন্নত করতে পারবেন এবং বানানগুলো সঠিকভাবে শুদ্ধ করতে পারবেন। আশা করি আগামী দিনে কমেন্ট করার ক্ষেত্রে বানানের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit