হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শুক্রবার । ২৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, মাছ বিক্রয়ের দিনে আমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জেলেদেরকে সঠিক ভাবে মাছগুলো ওজন করে দেওয়া। জেলেরা যে মাছগুলো ধরেছে সেই মাছগুলো জেলেরা নিয়ে আসবে আর আমি ওজন করে দিবো---- এরকম স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু নয়। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের সকল জেলেরা কিন্তু সাধু মনের মানুষ নয়। অনেক জেলে আছে সুযোগ বুঝে অসৎ পথ অবলম্বন করে। অর্থাৎ আমি যখন মাছ ওজন দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকবো, তখন অনেক জেলে চেষ্টা করে নিজেদের হাড়ির ভিতরের মাছগুলো অন্য হাড়িতে সরিয়ে রাখতে। অর্থাৎ অনেকগুলো জেলের মধ্যে কয়েকটা জেলে সরাসরি মাছগুলো চুরি করার চেষ্টা করে।
তাই পুকুর থেকে মাছ বিক্রয়ের দিন আমার সাথে আমার আব্বা এবং আমার ছোট ভাই থাকে। যাতে কোন জেলে কোনো প্রকারে অসৎ পথ অবলম্বন না করতে পারে। তাই আমি যখন মাছ গুলো ওজন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম তখন আমার ছোট ভাই সুমন আমার পাশে দাঁড়িয়ে সকল জেলেদের দিকে দৃষ্টি রেখেছিল। তবে আমাদের গ্রামের যে সমস্ত জেলেরা আছে তারা সকলেই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। কিন্তু আমাদের গ্রামের বাইরে থেকে কিছু কিছু জেলে আসে তারা একদিন চুরির কাজ করে ধরা খায় এবং এই চুরির কাজের বদনাম বহন করতে হয় আমাদের গ্রামের জেলেদের। তাই মাছ ওজন দেওয়ার সময় আমাদের গ্রামের জেলেরা আমাদের সাথে বেশ সহযোগিতা মূলক আচরণ করেছিল এবং যেকোনো বাজে কাজ প্রতিরোধে তারাও বেশ সচেতন ছিল।
জেলেরা যখন তাদের হাড়ি ভর্তি মাছগুলো পুকুরপাড়ে মাছের ওজন দেওয়া জায়গায় নিয়ে এসেছিল ঠিক সেই সময় আমার আব্বা ছাতা মাথায় দিয়ে এবং খাতা কলম দিয়ে প্রস্তুত ছিল মাছের ওজন লেখার জন্য। যেহেতু আমি আমার পুকুরে মিশ্রভাবে মাছের চাষাবাদ করি, তাই জেলেরা বিভিন্ন প্রকারে মাছ দিয়ে তাদের হাড়ি ভর্তি করে। যদিও প্রধান মাছ হিসেবে থাকে পাঙ্গাস মাছ কিন্তু পাশাপাশি রুই-মৃগেল, সিলভার কার্প, মিনার কার্প ও সরপুটি সহ অন্যান্য মাছও ছিল। তাই ভিন্ন ভিন্ন প্রভৃতির মাছ হওয়ার কারণে প্রত্যেকটি ভিন্ন প্রজাতির মাছের দামও ছিল আলাদা আলাদা। যেমন পাঙ্গাস মাছের নাম ছিল কেজিপ্রতি দেড়শ টাকা, আবার রুই মাছের দাম ছিল কেজিপ্রতি দুইশো দশ টাকা।
আমার আব্বা মাছের হিসেবের খাতায় প্রত্যেকটি জেলের নাম সিরিয়াল আকারে প্রথমেই লিখে নিয়েছিল। তারপর যে সমস্ত মাছগুলো বিক্রয় করা হবে সেই সমস্ত মাছগুলোর নাম খাতার ঠিক উপরের আলাদা অংশে পর্যায়ক্রমে লিখে দিয়েছিল। যাতে হিসেবের খাতায় নির্ভুলভাবে প্রত্যেকটি মাছের নামের নিচে মাছের ওজন লেখা যায়। যদিও মাছের ওজন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা নিজ দায়িত্বে জেনে নেয় যে, তার হাঁড়িতে কোন মাছের কি পরিমাণ ওজন হলো।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুকুরে মাছ ধরার স্মৃতি দেখে ভালো লাগলো। এই মাছ ধরা দিন আমিও পুকুরপাড়ে উপস্থিত ছিলাম। অনেক ভালো লাগে মাছ ধরা দেখতে। বেশ ভালো লাগলো পুরা সেই দিনের মাছ ধরা আজকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে নিজের পুকুরের মাছ ধরতে এবং মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতে খুব ভালো লাগে। পাঙ্গাস মাছ বিক্রয়ের মুহূর্ত অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো ভাই। বেশ ভালো হলো পাঙ্গাস মাছ বিক্রয় করে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমারও মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে ভাই। সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit