আমাদের বিদ্যালয়ের ফুল বাগানে ফুলের চারা লাগানোর কার্যক্রম শুরু।

in hive-129948 •  10 months ago 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।





আজ বৃহস্পতিবার। ২৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট "কন্যা রাশি" নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করছি। আশা করি নাটকটির রিভিউ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।


IMG_20240125_103132_419.jpg



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, বাগান তৈরি করা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত শখের একটি কাজ। আমার অনেকদিন থেকে শখ ছিল আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে সুন্দর একটি ফুলের বাগান তৈরি করবো। দীর্ঘ সময়ের পরে আবার সেই শখটি আজকে পূরণ হলো। আপনারা ইতিমধ্যেই আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন যে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গনে ফুলবাগান তৈরি করার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। প্রথমে ফুলবাগান তৈরি করার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রাজি করানো, তারপর ফুলবাগান তৈরির জন্য সুনির্দিষ্ট একটি স্থান নির্বাচন করা, সেই স্থানটি সুন্দরভাবে বেড়া দিয়ে ঘেরাও করা, তারপর মাটি আগলা করে ফুল গাছের চারা লাগানোর জন্য উপযুক্ত করে তোলা- আর এই সকল কাজে আমার একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। যাহোক, ফুলের বাগান সার্বিক দিক থেকে প্রস্তুত করে আজকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে এবং উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে নতুন ফুল বাগানে অনেকগুলো ফুলের গাছ লাগিয়েছি।

IMG_20240125_103048_090.jpg

IMG_20240125_103034_614.jpg

IMG_20240125_103039_777.jpg

IMG_20240125_103031_962.jpg



বাজার থেকে অনেকগুলো ফুলের চারা ক্রয় করে এনেছিলাম। ক্রয় করা ফুলের চারা গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল গোলাপ ফুলের চারা, ডালিয়া, কসমস, অপরাজিতা, গাঁদা ফুলের চারা। একই সাথে ছিল কিছু ঘাসফুল জাতীয় ফুলের চারা এবং কিছু পাতাবাহারের গাছের চারা এবং কয়েকটা ঘৃতকুমারী গাছের চারা। আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণের নতুন ফুলবাগানে ফুলের চারা লাগানোর কাজে অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক। একই সাথে ফুল গাছ লাগানোতে সহযোগিতা করেছিল আমাদের বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র। আমরা প্রথমেই আমাদের ফুলবাগানের চারপাশ দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে গাঁদা ফুলের গাছ লাগিয়ে দিয়েছিলাম। আর প্রত্যেকটি গাঁদা ফুলের গাছে গাঁদা ফুল ফুটেছিল। ফুটে থাকা গাঁদা ফুলের গাছ লাগানোর সাথে সাথে আমাদের ফুল বাগানের সৌন্দর্য প্রকাশিত হতে থাকে।

IMG_20240125_103942_704.jpg

IMG_20240125_104122_383.jpg

IMG_20240125_104147_144.jpg



আপনারা হয়তো সকলেই জানেন বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এখন রেজাল্ট প্রকাশিত করতে হচ্ছে ত্রিভুজ, বৃত্ত এবং চতুর্ভুজ চিহ্ন দিয়ে। তাই ফুলবাগানের ভিতরে ফুলের চারা লাগানোর সময় হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা প্লান আসলো যে আমরা নতুন কারিকুলামের ত্রিভুজ, বৃত্ত এবং চতুর্ভুজ এর মতো করে ফুল গাছ লাগাবো। তারপর আমার প্লান মতো প্রথমে ফুলবাগানে একটি কোদাল দিয়ে ত্রিভুজ অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। তারপর সেই ত্রিভুজের দাগের উপর দিয়ে ডালিয়া ফুল গাছের চারা লাগিয়ে দিয়েছি।

IMG_20240125_104640_221.jpg



তারপর ফুলবাগানের অন্য পাশে একটু বড় করে বৃত্তের চিত্র অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। বৃত্তের চারপাশ দিয়ে অনেকগুলো কসমস ফুলের চারা লাগিয়ে দিয়েছি। এবং বৃত্তের ঠিক মাঝখানে একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর একটি চতুর্ভুজ অঙ্কন করে অনুরূপভাবে ডালিয়া, গোলাপ এবং কসমস ফুলের চারা লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর কয়েক প্রজাতির ঘাসফুলের চারা আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশ দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি অর্থাৎ আমাদের স্কুল বিল্ডিং এর সামনে দিয়ে লাগিয়েছি। আর একটি মাত্র অপরাজিতা ফুল গাছের ঝাড় ছিল। সেটা আমাদের ফুলবাগানের পূর্ব পাশে অর্থাৎ বেড়ার পাশে লাগিয়ে দিয়েছি।

IMG_20240125_132649_966.jpg

IMG_20240125_132633_055.jpg



আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণের ফুল বাগানে ফুলের চারা লাগানোর সাথে সাথে পানি দিয়েছিল আমাদের বিদ্যালয়ের দু'জন ছাত্র এবং দু'জন কর্মচারী। প্রত্যেকটি ফুল গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় আমাদের লাগানো প্রত্যেকটি ফুলের চারা বেঁচে যাবে। কয়েকদিন পরে আমাদের ফুলবাগানে পানি সেচ দিয়ে পুরো বাগান ভিজিয়ে দেওয়া হবে। যাতে বাগানের মাটি অনেকদিন পর্যন্ত রসালো থাকে। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পবিত্র স্থানে ফুলের বাগান নিঃসন্দেহে প্রয়োজন। আর ফুলের বাগান নিঃসন্দেহে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য অনেক গুণ বৃদ্ধি করে। ফুল বাগানে ফুটে থাকা রঙ্গিন ফুলের মতো বিশুদ্ধ হোক, পবিত্র হোক এবং রঙ্গিন হোক আমাদের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন- এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।

IMG_20240125_132422_775.jpg

IMG_20240125_132556_108.jpg

IMG_20240125_132605_521.jpg



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের ফুলবাগানের এখনো অনেকগুলো কার্যক্রম বাকি রয়েছে। সে সমস্ত কার্যক্রম গুলো ধীরে ধীরে করা হবে এবং সে সমস্ত কার্যক্রম গুলো কিভাবে করেছি তার সমস্ত কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন আল্লাহ হাফেজ


আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফুলবাগান তৈরি করার দ্বিতীয় পর্বটি পড়ার লিঙ্ক





১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

বিদ্যালয় ফুলবাগান থাকলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভিন্নরকম লাগে। তবে আপনারা খুব ভালোই উদ্যোগ নিয়েছেন বিদ্যালয় এ ফুলের চারা রোপন করতেছেন। শুনে খুব ভালো লাগলো যে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজি করে নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে ফুলের চারা রোপন করতেছেন। যখন এই ফুল গাছগুলো যখন ফুল ফুটবে তখন সত্যি পরিবেশ মানুষকে বেশি মুগ্ধ করবে। আপনাদের স্কুলের ফুল গাছ রোপন দেখে সত্যি ই আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ফুলের চারা লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আসলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল লাগানোর কোন বিকল্প নেই । বেশ ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ফুলের বাগান দেখে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা সৌন্দর্য উপভোগ করবে। ফুল বাগানের জন্য বিদ্যালয়ের পরিবেশ বেশ সুন্দর থাকবে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।