প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের দ্বাদশ পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।

আজকে আবারো এই ভ্রমনের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম। গত পর্বে আমি শেয়ার করেছিলাম যে আমরা সকলে মিলে বিচে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং আজকে আমি এর আরো একটি পর্ব ভালোভাবে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ যখন আমরা সকলে মিলে বিচে কিছু সময় অতিবাহিত করি তখন সেখানে অনেক বেশি পরিমাণে মানুষ ছিল যা একেবারে বলার বাইরে। এরপর আমরা সকলে সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম এবং সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। তাই সকলে মিলে সেখান থেকে চলে যাব সিদ্ধান্ত নিলাম। হাঁটতে হাঁটতে সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু জায়গা দেখতে পেলাম। এমন একটি সুন্দর জায়গা দেখতে পেলাম যা আমরা আগে কখনোই দেখি নাই৷ হয়তো আপনারাও এই জায়গায় আগে কখনোই দেখেননি৷ যখন আমি এটি দেখতে পাই তখন একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। তাদের এরকম সুন্দর একটি চিন্তাভাবনা এবং ক্রিয়েটিভিটির জবাব নেই বললেই চলে৷ আসলে আমরা যে সকল জিনিসপত্রগুলো ফেলে দেই সেই জিনিস দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস তৈরি করা যায় তা একেবারে অভাবনীয়৷ তারা যেভাবে ফেলে দেওয়া চায়ের কাপ, কফি কাপ এবং ভিন্ন ভিন্ন কিছু বোতল এবং আরো সুন্দর সুন্দর কিছু পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে যেভাবে সুন্দর একটি স্পট সেখানে তৈরি করে ফেলেছে তা একেবারে অসাধারণ ছিল৷ সেখানে আমরা সকলেই অনেক্ষন সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং সেগুলো দেখছিলাম৷ এরপর আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম৷

এরপর সামনের দিকে শুধু বালি আর বালি৷ বালির উপর দিয়ে যত বেশি সময় হাঁটছিলাম ততই যেন ইচ্ছে করছিল আরো কিছুক্ষণ যেন এই বালির উপরে হাটি৷ আমরা সকলে মিলে যখন এই বালির উপরে হাঁটছিলাম তখন সকলের কাছে একটি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। সকলে মিলে যখন একের পর এক ধাপে ধাপে বালির উপর দিয়ে পার হচ্ছিলাম তখন সকলের কাছেই অনেক ভালো লাগলো৷ যখন আমরা সকলে মিলে একসাথে সেখানে সে বালির উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তখন বালির উপর যেরকম ভালো লাগছিল আকাশের দিকে তাকিয়েও দেখি সেই আকাশের মধ্যেও যেন আলাদা ভালোলাগা কাজ করছিল৷ এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি যে একটি বিমান সেখানে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এর আগেও অনেকগুলো বিমান সেখান দিয়ে গিয়েছিল তবে সে বিমানগুলোও তেমন একটা দেখতে পাইনি৷ তবে যখন হাঁটতে হাঁটতে বিমানটি এখানে দেখতে পাই তখন এটি একেবারে যেন নিচে চলে এসেছে। সামনে এর একটি এয়ারপোর্ট রয়েছে যেখানে এই প্লেন নেমে যায় যাবে৷ তবে যখন এই প্লেন এখানে বিচের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল তখন এটি খুব সুন্দরভাবেই সেখান দিয়ে যাচ্ছিল এবং এটি যেন একেবারেই নিচ দিয়ে যাচ্ছিল এরকম মনে হচ্ছিল। একেবারে অন্যরকম একটি ভালোলাগা কাজ করছিল৷

এর পরবর্তী সময় আমরা একটু সামনের দিকে এগিয়ে দেখি যে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু দোকান রয়েছে এবং সেখানে খুব সুন্দর কিছু সামুক রয়েছে। আমাদের অনেক আগে থেকে প্ল্যান ছিল যে আমরা শামুকের মধ্যে কিছু ডিজাইন করব এবং ভিন্ন ভিন্ন কিছু ডিজাইন এখানে করার চেষ্টা করব৷ তবে সেটি আমরা একেবারে আসার আগের দিন করে নিব এরকম একটি চিন্তাভাবনা মাথার মধ্যে ছিল তাই সেদিন শুধুমাত্র দোকানগুলো একটু ঘুরে সেখান থেকে চলে গেলাম৷ সামনের দিকে এগিয়ে দেখি চশমার দোকান রয়েছে। সেখানে অনেকগুলো চশমা দোকান ছিল। যখন সেখানে গিয়ে আমরা সকলে মিলে দাঁড়াই তখন সেখানে আমাদের পরিচিত একজন যে বড় ভাইয়ের কথা আগে বলেছিলাম তিনি সেখানে ছিলেন এবং সেই চশমার দোকানগুলো ওনারই৷ তবে সেখানে তিনি প্রথমে ছিলেন না। তিনি কিছুক্ষণ পরে চলে আসলেন। যেহেতু আমরা পরের দিনে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বিচে নামার প্ল্যান ছিল তাই আমরা আমাদের পছন্দমত কিছু চশমা নিয়ে নিলাম। এর পরবর্তী সময়ে একটু সামনের দিকে এগিয়ে দেখে অনেক ধরনের আচার সেখানে দেখা যাচ্ছে৷ যখন আমরা সেখানে আচারগুলো দেখতে পাই তখন সকলে মিলে ভিন্ন ভিন্ন কিছু আচার টেস্ট করতে থাকি এবং সে আচারগুলো প্যাক করে বাসায় নিয়ে যাই৷ আজকে এই পর্যন্তই।