শখের কবুতর নিয়ে কিছু কথা।।

in hive-129948 •  10 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ০৫/০৪/২০২৪) রোজ: শুক্রবার

IMG20231028083741.jpg

💞 রামাদান মোবারক 🌸

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শখের কবুতর নিয়ে কিছু কথা।। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

IMG20231028083714.jpg

আমি যখন ৮ম শ্রেনীতে পড়ি তখন আমি প্রথম এই কবঙতর পশুা শুরু করি। এটা আমি আমার শখের বশে কবুতর পুশুি। কবুতর আমার অনেক শখের একটা জিনিস। আমি শখ করেই কবিতর পুশুি। আমি প্রথম এক জুড়া কবুতর ক্রয় করি ৩৫০ টাকা দিয়ে এই থেকেই আমার কবুতর পোশুার যাত্রা শুরু করি। আমি প্রতিনিয়তই কবুতরের খাবার দিয়ে থাকি। তবে আমি যখন প্রথম এঅজুড়া কবুতর ক্রয় করি । সেই একজুড়া কবুতর কবিতর ঘরে রাখি‌। পরের দিন সকালে দেখলাম কবুতর ডিম পেড়েছে। তখন তো আমি সেই খুশি। কারন কবুতর ক্রয় করে ঘরে রেখেছি। আর সকালে দেখলাম সেই গতকালকে ক্রয় করা কবুতর ডিম পেড়েছে। এটা সত্যিই অনেক ভাগ্যোর ব্যাপার । সত্যিই আমি অবাক হয়েছিলাম যে মাত্র কালকে কবিতর ক্রয় করলাম আর সেই কবিতর দেখি পরের দিন ডিম পেড়েছে। সত্যিই খুবই আনন্দের একটা বিষয়। এই আনন্দের বিষয়টা আমাকে এই কবুতর পোশুার প্রতি আরো আগ্ৰহী বাড়িয়ে দেয়। এই আগ্ৰহ থেকেই আমি প্রতিদিন কবুতর খেতে দিই। আসলেই খুবই আনন্দের একটা বিষয় যে কবুতর কিনার সাথে সাথেই আমার নতুন ঘরে এসে প্রেম পেড়েছে। এরপরে আমার আগ্রহে আরো বেড়ে যায় কবুতার পোষার প্রতি। তারপর থেকে আমি প্রতিদিন নিজ হাতে কবুতরের খাবার দেই। আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন কবুতরগুলো নিচে নেমেছে। এভাবে কবুতরের সাথে আমার খুব সম্পর্ক বেড়ে গেল। এভাবে আমি বাড়িতে আসলে কবুতর দেখতাম ছুটে চলে আসছে আমার কাছে। আমি ঘর থেকে দুপুরে খাবার নিয়ে উঠা নে ফেলতাম তাহলে সব কবুতর ছুটে চলে আসতো। এভাবে কবুতরের সাথে আরো সম্পর্ক বেড়ে গেল। তারপর থেকে আমি যখন শিস দিতাম তখন সব কবু চোর আমার শীষ এর শব্দ শুনে ছুটে চলে আসছে আমার কাছে। কারণ আমার শখের জিনিস হচ্ছে কবুতর তাই আমার এই কবুতরের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে গেল।

IMG20231028083919.jpg

IMG20231028083741.jpg

এভাবে আমি শিষ দিলেই কবুতর আমার পায়ের কাছে এসে হেঁটে বেড়াতো। এমনকি এখনো যদি আমি শীষ দেই তাহলে সমস্ত কবুতর এসে আমার কাছে ছোটাছুটি করে। এমনকি আমার পায়ের কাছে এসে হাঁটাহাঁটি করে। এমন সময় আমি রুম থেকে চাউল নিয়ে গিয়ে হাতে ধরি আর সমস্ত কবুতর আমার হাতে এসে বসে সে চাউল গুলো খেয়ে যায়। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কবুতর আমার হাতের উপরে এসে চাউল খাচ্ছে। সত্য এটা খুবই আনন্দের একটা বিষয় যে শীষ দিতে না দিতেই কবুতর এসে আমার কাছে হাজির এবং এমনকি আমার হাতের খাবার খাচ্ছে। এভাবে কবুতরের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক বেড়ে যায় আর সেই থেকে কবুতর পোষা আমার আরো বেড়ে গেল। এরপরে মাঝখানে আমি কবুতরের সাথে কেমন সময় দিতে পারতাম তারপরেও কবুতরের প্রতি ভালোবাসা আমায় এখনো কমেনি। তবে সেই এক জোড়া কবুতর থেকে আজ আমার কবুতর হয়েছে দশ জোড়া। এর চেয়ে অনেক বেশি ছিল কারণ মাঝখানে কবিতা দেখাশোনা না করাই অনেক কবুতর আমার হারিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে শখের কবুতর বুঝতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং কবুতর গুলো যে এখনো আছে এতে আমি অনেক খুশি। এমনকি আমার সেই ঘরের প্রথম এক জোড়া কবুতর আজও বেঁচে আছে এমনকি আজও আমার কাছে আছে। আমার ঘরের প্রথম এক জোড়া কবুতর আজও আমার ঘরের রাজা। ওই এক জোড়া কবুতর থেকে আজ আমার এতগুলো কবুতর।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

💝 আল্লাহ হাফেজ 💝

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

আমারও দীর্ঘদিনের শখ রয়েছে এভাবে কবুতর পালন করা। কিন্তু আজ পর্যন্ত শখ অপূরণ রয়ে গেল। আপনার সুন্দর এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছুই জানতে পারলাম তাই অনেক ভালো লাগলো আমার। আশা করব আপনি পরবর্তীতে আবারও আমাদের মাঝে প্রিয় এই শান্ত পাখি নিয়ে উপস্থিত হবেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার কবুতর গুলো শীষ দিতেই আপনার কাছে চলে আসে।আসলে এই ব্যাপার টা কিন্তু মজার কারো কারো কবুতর ডাকদিলেও কাছে আসে না আর আপনার গুলো শীষ দিতেই চলে আসে।তবে ভালো লাগলো এটা যে আপনি ৩৫০ টাকা জোরা করে কিনে এনে পরের দিন সকালে ডিম পারছে সত্যি এটা আমার কাছেও শুনতে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

হ্যা ভাইয়া ভালো লাগারই একটা বিষয় ধন্যবাদ আপনাকে।

কবুতর পালন করা মোটেও খারাপ কিছু নয়। আপনি দীর্ঘ দিন ধরে কবিতর পালন করে আসছেন। আসলে কবিতর একটি শখের প্রাণী। মানুষ শখের বশেই কবুতর পালন করে থাকে। আপনি প্রথম দিন যখন কবুতর কিনে নিয়ে এসে ঘরে রেখেছিলেন, কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পারেন কবুতর ডিম পেরেছিল। এটা আসলেই একটি খুশির খবর।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।

আপনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তেন তখন থেকে কবুতর পোষা আপনার সখ জেনে ভালো লাগলো।শখের বশে প্রথমে এক জোড়া কবুতর কিনেছেন এবং প্রথমদিনই ডিম দিয়েছে দেখে খুশিতে আত্নহারা হয়ে গিয়েছিলেন। কবুতরের সাথে আপনার সম্পর্ক এতোটাই গভীরে চলে গেছে যে আপনাকে দেখলে আপনার কাছে আসে। আপনি শীষ দিলে আপনার কাছে ছুটে আসে।এমনকি আপনার হাতে বসে চাল খায় সব মিলিয়ে অসাধারণ পোস্ট। ভাইয়া হয় তো খেয়াল করেননি যে আপনার ভয়েস টাইপিং এর কারণে বেশ কিছু ছোট ছোট বানান ভুল এসেছে ঠিক করে দিয়েন বানান গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এভাবেই পাশে থাকবেন।

কবুতর পালন করা আপনার শখের কাজ জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে আপনার পোস্টে বানান ভুলের পরিমাণটা অনেক বেশি। আশা করছি এখন থেকে বানান সংশোধন করে নিজের অনুভূতি তুলে ধরবেন। তাহলে আপনার পোষ্টের মান অনেক ভালো হবে।

ধন্যবাদ আপু।