লাইফ স্টাইল।। জরুরী কাজে ঢাকায় যাওয়ার অনুভূতি।।

in hive-129948 •  2 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৯/০৯/২০২৪) রোজ: রবিবার।

IMG20240929061300.jpg

💞শুভ সন্ধ্যা💞

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমি আজকে আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো লাইফ স্টাইল।। ঢাকায় যাওয়ার অনুভূতি।।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তাই ইতিমধ্যে আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। আসলে গতকালকে রাতে আমি ঢাকায় এসেছি।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

IMG20240928214254.jpg

আসলে গত কয়েকদিন আগে আমি ভেবেছি ঢাকায় যাব। কারণ ঢাকায় আমার একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমি এসেছি। যেটার জন্য না আসলেই নয়। তাই গতকালকে রাতে ১০:১৫ এর গাড়িতে আমি টিকিট ক্রয় করেছিলাম। তাই একদম এশার নামাজ পড়েই মেজ বাবা মোটরস বাইকে করে গাংনীতে পৌঁছে দিয়ে যাই। এরপরে সেখানে এসে প্রথমে আমি শ্যামলী কাউন্টারে গেলাম। শ্যামলী কাউন্টারে আগে থেকেই আমার জন্য সিট বরাদ্দ করে রাখা হয়েছিল। আমার সাথে আমার ফুফাতো ভাই এবং ভাবী এসেছে। ভাবের জন্য ডাক্তার বাড়িতে এসেছে। আর আমি আমার কাজের জন্য এসেছি। আসলে আমি গতকালকে রাতে ঢাকায় রওনা দিয়েছি এক মাস থাকার জন্য। কেননা আমার যে কাজ সেটা ইনশাআল্লাহ এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তো কাউন্টারে এসে বেডিং পত্র গুলো খুব সুন্দর করে জায়গায় রেখে দিলাম। আসলে কোথাও যেতে হলে কিছুদিন থাকার জন্য গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো নিতে হয় তাই আমি নিয়েছি। এবং কাউন্টারের ভেতরে রেখে উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। এরপর ওখানে আমরা পৌঁছেছিলাম নয়টা চল্লিশ মিনিট।

IMG20240928214429.jpg

IMG20240928214452.jpg

শ্যামলী টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করেই আমি আমার টিকিট বুঝে নিলাম। তবে এখানে প্রতিটি টিকিটের মূল্য নিয়েছিল 650 টাকা করে। তাই আমরা যেহেতু তিনটা টিকিট ক্রয় করেছিলাম তাই আমাদের কাছ থেকে ১৯৫০ টাকা নিয়েছি। এরপর টাকা পরিশোধ করার পরে তারা আমাদের টিকিটটা দিয়ে দেয়। আর এমন সময় আমি পরে ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন টিকিটের ছবি খুব সুন্দর করে আমি ধারণ করেছি। তাছাড়া আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে আমাদের সিট নাম্বার রয়েছে B2,C1,C2 ।

IMG20240928215744.jpg

এরপরে দেখলাম আমার হাতে অনেক সময় আছে। তাই ভাবলাম একটা চা খেয়ে নেওয়া যাক। তাই আমি পাশের দোকান থেকে একটা চা খেলাম। এরপরে দেখি 10:30 মিনিটে আমাদের বাসটি চলে আসলো। তারপর আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। তারপর বেডিং পত্র নিয়ে আমরা রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। আসলে এবার ঢাটায় আসতে আমার অনেক কষ্ট লাগছে। কেননা মধ্যে মধ্যে রাস্তার কন্ডিশন তেমন ভালো না। আবার যেই গাড়িতে টিকিট কেটেছিলাম গাড়িটা ও ছিল ভালো না। তাছাড়া ঢাকয় আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৯ ঘন্টা। বুঝতেই পারছেন কতটা জার্নি করেছি। আসলে এতোটা পথ জার্নি করেছি আবার গাড়ির কন্ডিশন ও তেমন ভালো না। এরপরে গাড়ি এসে থামলো হাকালুকি হাওরে । ঐখানে খাবারের জন্য আমাদের ২০ মিনিট সময় দিয়েছিল। তারপর আমি ঐ খানে একটা কফি ক্রয় করলাম কফিটার দাম নিয়েছিল ৩০ টাকা। তবে আমি জার্নি করলে কফি চা এইগুলো ছাড়া খায়না। কেননা এগুলো বাদে কিছু খেলে আমার ভালো লাগে না। তো ২০ মিনিট হয়ে যেতেই আমাদের সতর্ক দিয়ে দিল।তারপরে সকল যাত্রী আবার গাড়িতে উঠে বসলাম। তো এরপরে আবার গাড়ি ছাড়লো। তারপরে ঠিক সকাল ৬:০০ টার সময় আমরা টেকনিক্যালে পৌছালাম। তারপরে আমরা টেকনিক্যাল থেকে একটা সি এন জি ভাড়া করলাম। এরপরে আমরা মিরপুর ১১ যে আসলাম। মিরপুর ১১ তে ফুফু মনিরা থাকে। তাই আমরা ফুফু মনির বাসায় আসলাম।

IMG20240929061300.jpg

তো বাসায় এসে ছাদে গেলাম সকালের এই দৃশ্য টা দেখার জন্য। আর ঠিক ঐ সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা এখানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন খুবই সুন্দর করে আমি ছাদ থেকে উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। তারপর রুমে এসে আর দেরি না করে গোসল করলাম। কেননা অনেক টা পথ জার্নি করেছি তাই একদম গোসল শেষ করলাম । গোসল শেষ করে আমি আর দেরি না করে শুয়ে পড়লাম। তাছাড়া অনেক জার্নি করার কারনে অনেক ক্লান্তি ছিলাম। তাই বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম চলে আসলো। এক ঘুমে অনেকক্ষণ পরে উঠলাম। আসলে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটা মনে হয়েছে ছেলে একটু পাতলা হয়েছে বেশ ভালো লেগেছিল। এরপর একটু খাবার খেলাম ‌ খাবার খাওয়া শেষ করে আর একটু বিশ্রাম করলাম।

IMG20240929182944.jpg

এদিকে ফোনে নেট নাই যে কারণে কাজ করা হচ্ছে না। তাই মাগরিবের আযান দিলেই বাইরে বের হয়ে এবং নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষ করে একটু বাইরে হাটাহাটি করলাম। যখন আমি বাহিরে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম ঠিক ঐ মুহূর্তে আমি উপরের ছবিটি আমি আমার কোন ধারণ করি। তাছাড়া সন্ধ্যার মধ্যে সত্যি ঢাকা শহর টা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। তাছাড়া আজকে যতটা গরম পড়েছে তাতে সন্ধ্যায় একটু ফাঁকায় বের হয়ে ভালো লেগেছিল। এবার আমি বিকাশের দোকানে গেলাম। এদিকে ফোনে ব্যালেন্স নেই সাথে এমবি ও নেই। তাই বিকাশের দোকান থেকে ফোনে কিছু টাকা ফ্লাক্সি করলাম এবং সেইসাথে এমবি নিলাম। তাছাড়া আজকে বাজারে তেমন কোন ভিড় নেই বললেই চলে। তারপরেও ঢাকা শহর মানেই গাড়ির কোন শেষ নেই সেই সাথে মানুষজনের ও। তারপরেও আজকে রবিবার যে কারণে ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা দোকানপাট আজকে বন্ধ। আর এ কারণে আজকে সব কিছুটা কম। বাইরে বের হয়ে আমি উপরে ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। এরপরে ফোনে এমবি নিয়ে রুমে চলে আসলাম। এসে ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই এই পোস্টটা লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। তাছাড়া হয়তো কিছুদিনের জন্য আমার এই কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ঢাকা শহরে আমি একটা খুবই বিশেষ প্রয়োজন এসেছি। তাই সে প্রয়োজনের কাজ শেষ না হওয়া অবধি আমার ব্যস্ততা শেষ হবে না। তাছাড়া আজকে কিন্তু খুবই ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করেও আমি একটা পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে খুবই ক্লান্ত পরিসরে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি আমার কেটে গেল। সেই সাথে ঢাকা শহরের সন্ধ্যার মুহূর্ত আমার কাছে ভালো লেগেছে। এবং আমার মনের সব ক্লান্ত দূর করে দিয়েছে।

আজ এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে আরো নতুন কোনো পোস্ট শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

টেবিল ০১টেবিল ০২
ডিভাইসOPPO A15
পোস্ট তৈরি@biplob89
স্থানঢাকা, মিরপুর ১১


💞আমার পরিচয়💞

IMG20221217122600.jpg

আমার নাম মো: বিপ্লব হোসেন। আমার স্টিমিট আইডির নাম@biplob89 । আমি এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছি ২৩শে মে ২০২৩। আমার বাসা মেহেরপুর জেলায়,গাংনী থানার,জুগীরগোফা নামে একটি ছোট্ট গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই আমি গ্রামে বড় হয়েছি। বর্তমানে আমি একজন ছাত্র। এর পাশাপাশি আমার আরো একটি পরিচয় সেটা হচ্ছে আমি একজন ইয়ুথ লিডার। এবার আমি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষা বাংলা হওয়ায় আমি এটা নিয়ে অনেক গর্বিত। সেই সাথে বাংলা ভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। ভালো লাগার জায়গা থেকে আমি এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছি। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। পড়ালেখার পাশাপাশি সময় পেলেই আমি ভ্রমণে বেরিয়ে পরি। কেননা ভ্রমণ করলে আমার খুবই ভালো লাগে এবং তা থেকে অনেক জ্ঞান লাভ করা যায়। আমি নতুন নতুন জায়গা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি ও লেখালেখি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। এছাড়া নতুন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারলে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার একটা ভালো দিক রয়েছে । সেটা হচ্ছে অপরিচিত মানুষের সাথে খুব সহজেই পরিচিত হতে পারি। ছাড়াও যে কোনো জায়গায় আমি নিজেকে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারি।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1WagpCyhF1NRwe2sPenjwnzgb...MHv3w7VxjkyjsCq93AGBRKdJvUDckiCn5Bi4X9PoVnE5EWdAdzbeVkhbJeoNBCvJeVxgXn64VKXqDqc5zAtEYcjVCpDPqNwqmJzcR62ny1kmLqJAK3qWzkMesp.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPonNuVn8WXa4T32GXPjBWsKQ5Ehy9ppfdQjmBDY8oCCrHhd6f7cgzwGeDSP4AX5MpuuU26Mc3zYBZwpXJ...pVv8JtYhNCcp4J9uWURkksyKxMHqfN6X8VwXPfRL5146F6CfmHkf5a86LFk5HdefQhDzs5SHRzxrtZJE3RLM24YqXwmZXUtyr7ZdVLTyaGYMQMLHUBhghjwK1G.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81R73dHAE6Ew3WjyveXn6UfQ8ahESLfvvdHjthdnPNKJby2matSBUDur7QMrVroCpwxQmohTSZHpBAXjQT9ZkpEa.png

zxpbJ731YMJdDMoVswW3bFv1nKfnuJWc7waJpaxXojbJpcyGLf4KwgNP7pf8XUJhNd3xsRAGhJHTTLjgwCegyyYLgDdsY4rMJdysexMAZiLoR4bfcx7DsJbgU7wgDW...wxGKsPVMRgPwNKKaZCvdUcrG5FP7yxFCK5ETKyUnhkbekCKEa8cLQBsNUGZ9KcqgfziXsNs71AyvxQAJ441XPonBtyzap6yX3YgQumVMoA14uUXJNE9nuBYiW.webp

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeE6MYhswDKkTVJVbx3V33wNyHhHiFMLT72NjjZK7ft4QF62jEytH5yoQDrUpKhyT5xBaNnUjX.gif

💝 আল্লাহ হাফেজ 💝

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

জরুরী প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়েছেন ভাইয়া। আপনার পোস্ট করে জানতে পারলাম ঢাকায় যেতে আপনার তেমন কোন অসুবিধা হয়নি। আর ওখানে আপনার ফুফুর বাসা থাকার কারণে বেশ সুবিধা হয়েছে। ফুফুর বাসায় সকালে গিয়ে ছাদে উঠে অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। জরুরী কাজে ঢাকায় গিয়েও সুন্দর অনুভূতি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

আপনি বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় আপনার ফুফুর বাসায় উঠেছেন। তবে এইরকম সন্ধ্যার সময় ঢাকা শহর টা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর এটাও জানতে পারলাম যে আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছেন।এত ব্যস্ত থাকার পরেও আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলে যে কোন প্রয়োজনে আমাদেরকে যে কোন জায়গায় যাবার প্রয়োজন হয়। আর আপনি জরুরী প্রয়োজনে ঢাকাতে চলে গিয়েছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি আপনি যে জরুরী কাজটাতে ঢাকাতে গিয়েছেন সেটা খুবই ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাস জার্নি আমার খুব বিরক্ত লাগে। কারণ দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকতে হয়। আর রাস্তার কন্ডিশন খারাপ হলে তো মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক জরুরী কাজে ঢাকা এসেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি জরুরী কাজ ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।