আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৩/০৯/২০২৪) রোজ: সোমবার।
💞শুভ সন্ধ্যা💞
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেলাম। নাস্তা শেষ করেই একটু বাহিরে গেলাম। তবে আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে ভালো না। আসলে গরম যে হারে বেড়েই চলেছে এতে করে ভালো লাগছে না। তবে এই গরমের মধ্যে থাকা কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাইরে একটু বাতাসও নেই। তারপরেও বাইরে গিয়ে বাগানে বসলাম। বাগানে বসতে একটু ভালো লেগেছে। তো বারোটা অব্দি আবার বাসায় এসে গোসল শেষ করলাম। গোসল শেষ করতে আজান হলো এরপরে অজু বানিয়ে জামা কাপড় পড়ে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজে দাঁড়িয়ে হঠাৎ কারেন্ট চলে যায়। খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়েই নামাজ আদায় করলাম। নামাজ আদায় করে বাসায় আসলাম। এবার দুপুরের খাবার খাব তাই মনে করলাম ফ্যানের নিচে বসে খাবার খাওয়া যাক। কিন্তু তা আর হলো না এদিকে কারেন্ট নাই। কি আর করার দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে তাই দেরি না করে ফ্যান ছাড়াই খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খাওয়া শেষ করতেই দেখি আকাশে ভারি মেঘ জমেছে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে কিন্তু না। তবে যাই হোক আবহাওয়াটা একটু ঠান্ডা হলেও কিন্তু গরম ছাড়ছে না। তাই ভাবলাম যেহেতু আবহাওয়া টা একটু নরম হয়েছে তাই একটু ঘুমানো যাক। তবে বিছানায় শুতেই ঘুম চলে আসলো। কিছুক্ষণের পরেই একটা ফোন আসে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারপর আর ঘুম হলো না। আসরের আযান দিতেই ওজুবা নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে স্কুল মাঠে গেলাম খেলা দেখতে। বিকেলের কিছু মুহূর্ত খেলা দেখার মধ্য দিয়ে কাটে। খেলা দেখে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়িতে আসলাম। তারপর ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি ইতিমধ্যে আপনার আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হয়েছি।
আজকে আমি আবারও খুলনায় যাওয়ার অনুভূতির আরো নতুন একটি পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। তাছাড়া ইতিপূর্বে আপনারা যারা আমার এই পর্বগুলো একে একে দেখেছেন। আশা করি আজকের পর্বটি ভালো লাগবে। তো এদিকে আমরা যে হোটেল ভাড়া করেছিলাম সেখানে আমার যে রুমমেট ছিল দুজনাই খুব সকাল ভরে ঘুম থেকে উঠে। এমনকি ফজরের আজান দিতে আমরা ঘুম থেকে উঠে পড়ি। তবে শহরে একটা বিষয় হচ্ছে ফজরের সময় প্রত্যেকটা বিল্ডিং এ লাইট জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। তাই জানালা খুলতেই চারিপাশের সুন্দর দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন প্রতিটা বিল্ডিং এই লাইট জ্বলছে। এতে করে কিন্তু খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। জানালা খুলতেই এটা আমার চোখে পড়তেই আমি ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
আমরা ছিলাম চারজন তাই আমরা দুইটা রুম ভাড়া করে ছিলাম। তবে আমাদের পাশের রুমে আমার যে আরো দুইটা সহপাঠী ছিল আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠাই ওদের দরজায় গিয়ে নক দেই। নক দেয়া মাত্রই ওদের মধ্যে একজন এসে ঘর খুলে। তারপর আমি রুমের মধ্যে প্রবেশ করে দেখি আরেকজন এখনো শুয়ে রয়েছে। এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আসলে টিম মেটের মধ্যে এমন থাকেই। ঘুম ভাঙাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায়। উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন এখনো শুয়ে রয়েছে। আসলে আমরা গিয়ে তাকে বলি উঠে পড়ো আমাদের বের হতে হবে। কে শুনে কার কথা সে তো ঘুমে পাগল। যাইহোক থাকলে অনেকবার ডাকাডাকি করার পরে সে ঘুম থেকে উঠল এবং ফ্রেশ হলো। আমরা যেহেতু তাদের থেকেও সকালে উঠে ছিলাম আমরা দুজন রুমমেট। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে একদম ফ্রেশ হয়ে আমরা রেডি হলাম। এরপর তাদের ঘুম থেকে তুলে তাদের রেডি করে আমরা খুব সকালেই সেখান থেকে বের হলাম।
এদিকে আমরা আগেভাগেই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। আপনার উপরে ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি সহ আমার রুমমেট। আমরা দুইজন একটি রুমে ছিলাম। যাই হোক ভালই ঘুম হয়েছিল। তাছাড়া আমরা যদি চারজন একটা রুম নিতাম তাহলে হয়তো ঘুমোতে একটু কষ্ট হতো। আর সেজন্য আমরা দুইটা রুম ভাড়া করেছিলাম। যাক আলহামদুলিল্লাহ ভালো ঘুম হয়েছিল। আমরা দুইজন ওদের আগেই রেডি হয়ে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিলাম। কেননা আমাদের খুব সকালে বের হতে হবে। রুম থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমি উপরের ছবি আমার ফোনে ধারণ করি।
এবার আমরা হোটেল থেকে বাইরে এসে রোডে দাঁড়িয়ে থাকলাম। ঐদিন ছিল আমাদের নৌবাহিনীর মাঠ। তাছাড়া আমার খুব ডিফেন্সে জব করার শখ। তবে আমাদের মাঠ ছিল সকাল ৮:০০ টায় । তাই আমরা খুব সকালেই রেডি হয়ে বের হয়েছিলাম। কেননা মাঠে দেরি হলে সমস্যা আছে। তাই আমরা খুব সকালে রেডি হয়ে বাইরে এসে অটোর জন্য ওয়েট করেছিলাম। আমরা মাঠের থেকে অনেকটা কাছে ছিলাম যে কারণে আমার একটা অটো গাড়ি ভাড়া করলাম। আমাদের বলল চারজন আছো তোমাদের 120 টাকা দিলে আমি তোমাদের মাঠে পৌঁছে দিব। এদিকে মাঠ আটটায় আমরা অলরেডি সাতটার সময় বের হয়ে পড়েছি। তাছাড়া মাঠে আগে উপস্থিত হওয়া খুবই ভালো। তো আমরা ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে একদম আমাদের গেটের সামনে নামিয়ে দিল। সেখানে নেমে আমরা যেহেতু আগে থেকে নাস্তা করেছে ছিলাম না। তাই আমরা সেখানে নেমে পাশে দোকান থেকে কলা পাউরুটি খেলাম। এরপরে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। উপরের ছবিটি তোলা হয়েছে যখন অটো থেকে নামি তার কিছুক্ষণ আগে।
এবার আমরা আস্তে আস্তে গেটের সামনে আসি। সত্যিই যখন এখানে পৌঁছায় তখন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম ভালো লাগে কাজ করেছিল। ভালোলাগা কাজ করে ছেলের জন্যই যে আমরা নির্দিষ্ট টাইম এর আগেই পৌঁছেছি। তাছাড়া আমার লাইফে এটা ছিল প্রথম মাঠ নৌবাহিনীর। যাই হোক গেটের সামনে এসে উপরের ছবি দুটি আমি খুব চুরি করে আমার ফোনে ধারণ করি। কেননা সেখানে ছবি তোলা বারণ আছে। উপরে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন গেটে লেখা আছে বানৌজা তিতুমীর। তবে আমরা গিয়ে দেখতে পেলাম আমাদের আগেই অনেকেই এখানে এসে উপস্থিত হয়েছে। এরপরে আমাদের সকলকে লাইনে দাঁড়ানো নির্দেশ দিল। আমরা সবাই লাইনে দাঁড়ালাম এরপরে একে একে মাঠে প্রবেশ করলাম। মাঠে প্রবেশ করার পূর্বেই আমাদের বলা হয়েছিল ফোনগুলো অফ করে ব্যাগের মধ্যে রেখে দিতে। কেন নাই ফোন যদি কারোর হাতে থাকে তাহলে আমাদের এক্সফেল করে দিবে। এভাবে আমাদের সকলকে সতর্ক করে দিলো। তবে বাকিগুলো আমার অভিজ্ঞতা আমি আর বলছি না।
যদি কোনদিন সফল হয় ইনশাআল্লাহ আমার এই অভিজ্ঞতার গল্পগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আপনারা সবাই আমার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করবেন। যাতে আমি আমার লক্ষ্য ঠিক রেখে স্বপ্ন জয় করতে পারি।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
স্থান | খুলনা বানৌজা তিতুমীর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন। আপনার এই অনুভূতির মাধ্যমে আমি কিন্তু অনেক কিছু জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে। বেশ কিছু পোস্ট এর আগে যেমন উপস্থাপন করেছেন আজকেও শেয়ার করেছেন। এ পোষ্টের মধ্য দিয়ে বেশ জানার সুযোগ মিললো। সুন্দর এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit