প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেলাম। নাস্তা শেষ করেই একটু বাহিরে গেলাম। তবে আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে ভালো না। আসলে গরম যে হারে বেড়েই চলেছে এতে করে ভালো লাগছে না। তাছাড়া আজকে সকাল থেকে খুবই ব্যস্ত সাথে সময় করেছি।

আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি ইতিমধ্যে আপনার আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হয়েছি।

প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আজকে সারাটা দিন কিভাবে কাটল আমার সে বিষয়ে পোস্ট লিখবো। আজকে সকালে নাস্তা করার পরেই দেখি কারেন্ট নাই। সত্যি খুবই খারাপ লেগেছিল। তাছাড়া গরম যে হারে আছে এতে করে ভালো লাগছে না। তবে আজকে আমার অনেক কাজ ছিল। তাছাড়া আমি সকল কাজ সকালের দিকে কমপ্লিট করার চেষ্টা করি। যেমন প্রতিদিন সকালে আমি পোস্ট শেয়ার করি। কিন্তু আজকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পোস্ট করতে দেরি হয়ে গেল। তবে যাই হোক নাস্তা করার পরপরই তারও কিছুক্ষণ পরেই এগারোটার সময় কম্পিউটারের দোকানে যায়। কে সেখানে একটু কাজ ছিল আমার। তারপর আবার ইউনিয়ন পরিষদে যায়। আসলে সকাল থেকে যেন ছোটাছুটি আমার পিছু ছাড়ছে না। সেই সাথে গরম যে হারে বাড়ছে এটি কিন্তু কিছুই ভালো লাগছে না। তারপরেও আমার কিছু প্রয়োজনীয় কাজ বাকি ছিল সেগুলো আজকে কিছুটা কমপ্লিট করলাম। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাসায় এসে গোসল করলাম। গোসল শেষ করে আবার মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গেলাম গাংনী বাজারে। সেখানে আজকে অনেক কাজ ছিল আমার। যেতে যেতেই আপু ফোন দিয়ে বলল খালামনির জন্য একটা জুতা ক্রয় করতে। তাছাড়া আরও একটা ফিডার কিনতে বলেছিল। এবং একটা পাখা নিয়ে আসতে বলছিল। কেননা এই গরমে লোডশেডিং হচ্ছে যে কারণে পাখার খুবই প্রয়োজন। তাই আমি বাজারে গেলাম। তো আমি যেতে যেতেই বৃষ্টিতে ধরা খেলাম। এরপরে বৃষ্টি দেখে গাড়ি থামিয়ে একটি জায়গায় আমি আশ্রয় নিলাম। যাইহোক খুব অল্প সময়ের মধ্যে আকাশ পরিস্কার হলো আবার রওনা দিলাম। এবার গাংনীতে গিয়ে কম্পিউটারের দোকানে কিছু কাজ বাকি ছিল সেগুলো শেষ করলাম। তারপর কম্পিউটারের ঘর থেকে বের হতেই দেখি আবার বাইরে বৃষ্টি শুরু। সত্যিই আজকে যেমন ব্যস্ততা তেমনি সময় স্বল্পতা। তুই বৃষ্টির জন্য আবার সেই কম্পিউটারের দোকানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে এসে খালামনির জন্য একটা জুতা, পানি খাওয়া ফিডার ও একটা হাতপাখা ক্রয় করলাম। এরপর আবার মোটরসাইকেলে বসে পড়লাম। এরপর সোজা বাসায় রওনা দিলাম। তবে গাংনী বাজারে আজকে কিছুটা সময় জ্যামে আটকে ছিলাম। তাছাড়া আপনার উপরের লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো গাড়ি এখানে জ্যামে পড়ে রয়েছে। কেননা বাজারে রাস্তার কালভার্ট এর কাজ চলছে। তাছাড়া বৃষ্টি হয়েছে এতে করে রাস্তা খুবই পিচ্ছিল। এমনকি মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এমনিতেই ব্যস্ত সময় পার করছি সেই সাথে হাতে সময় নেই। তারপরেও কিন্তু সেখানে বেশ কিছু সময় আমার জ্যামে কাটাতে হলো। আর ওই সময় উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি ।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেলাম। এরপর বিকেল হতেই একটু স্কুল মাঠে গেলাম। তারপর সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগেই বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরলাম। এইতো আজকে আমার আপু এসেছে। তাই আপুর মেয়ে খালামণি আমাকে বলল মামা আমি চা খাব। তাই মাগরিবের নামাজ আদায় করে এসেই খালামণিকে নিয়ে চা খেতে গেলাম। আসলে ছোটদের ছোট ছোট আবদার পূরণ না করলে ভালো লাগে না। তাছাড়া আমি এমনিতেও দোকানে যায় না। কেননা রাত হলেই আমি ফাঁকাই বের হই না। তবে খালামণির যেহেতু বলেছে তাই না যেয়ে থাকতে পারলাম না। তো তাকে নিয়ে দোকানে গিয়ে একটি চা ও পাউরুটি নিলাম। এরপর সেই পাউরুটির চা দিয়ে ভিজে তাকে খাওয়ালাম। সত্যিই খেতে অনেক খুশি হয়েছে। তাছাড়া ছোটদের এই খুশির মুহূর্তটা কিন্তু খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। তারপরে আবার বাসায় এলাম। আসলে আজকে সেই সকালে গিয়েছে কারেন্ট। এই কারেন্টের আর কোনো খোঁজ নেই।

তবে ভাবে একটু বাসার বাইরে কাটিয়ে দিলাম। কেননা কারেন্ট নেই তাতে বাসায় থাকতে ভালো লাগছে না। তো কিছুক্ষণ পরেই এশার আজান হলো। এরপরে ওযু বানিয়ে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে খাবার খেলাম। আসলে একটু শান্তিতে খাবার খাব সেই সুযোগটা হচ্ছে না। কেননা বিদ্যুৎ নেই। তারপরে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে রাতের খাবার শেষ করলাম। খাবার শেষ করে এবার আমি অপেক্ষায় আছি কখন কারেন্ট আসবে। দেখতে দেখতে ঘড়িতে ৯ টা বেজে যায় কিন্তু এই কারেন্ট আসার কোন খোঁজ নেই। যাইহোক কিছুক্ষণ আগেই কারেন্ট আসলে একটু খুশি হলাম।

কেননা ওয়াইফাই আছে এজন্য আমি আর বাড়তি করে এমবি ক্রয় করি না। যাক একটু আগে কারেন্ট এসে খুব ভালো লাগলো। তাই এখনই পোস্ট লিখতে বসে লাভ এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। তবে আজকে সকাল থেকে কিন্তু আমি খুবই ব্যস্ততার একটা মুহূর্ত পার করলাম। এই ব্যস্ততায় একটি কারণে সেটা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় রওনা হতে হবে আমার। ইনশাআল্লাহ আগামী পরশু আমি ঢাকায় রওনা দিব। আর ঢাকায় যাওয়ার জন্যই এত ব্যস্ততার সাথে এই কয়টা দিন পার করছি। তাছাড়া আজকের ব্যস্ত সময় একটু বেশি ছিল।