আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমন।। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)।। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

লোকেশন

এইতো গত বছরে যখন কলেজে প্রথম উঠলাম তখন আমাদের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্যার বললো চলো আমরা কোথাও ভ্রমন করে আসি। আমরা সবাই রাজি হলাম এবার সবাই রাজি হওয়াতে বলল এবার স্থান ঠিক করা যাক। আমরা যেবার হাই স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম সে বছরে আমাদের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শিক্ষাসফর হওয়ার কথা ছিল। কোন এক কারণ সে শিক্ষাসফর স্থগিত হয়। কিন্তু কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছা আমার মন থেকে যায়নি। আর নতুন নতুন কলেজে উঠেই শিক্ষা সফরে যাওয়ার কথা শুনেই প্রথমে আমি বললাম শিক্ষা সফর যদি হয় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হবে। আমার কথা কেউ ফেললো না তাই সবাই রাজি হয়ে গেল। প্রথমে এই শিক্ষা সফরে যাওয়ার মূল দায়িত্ব টাকা কালেকশন করার দায়িত্ব আমার উপরে স্যার ছেড়ে দেয়। আসলে নতুন নতুন কলেজে উঠেছি তাই সব টাকি আমার পক্ষে একা কালেকশন করা সম্ভব হয়েছিল না তাই সাথে আমি আরো দুই একটি বন্ধু অ্যাড করে নিলাম রাতে করে খুব দ্রুত টাকা কালেকশন করে আমরা শিক্ষাসফরে মেতে পারি। আমরা যেহেতু বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যাব তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একটা বাচ হলেই হবে। তাই একটা বাসের প্রতি সিট প্রতি চাঁদা ভাঙ্গা হয়েছিল ১২০০ টাকা করে। এতে করে খাওয়ার জন্য কোন বাজেট ছিল না অর্থাৎ নিজ নিজ টাকা দিয়ে সবাই সবার খাবার খেয়ে নেবে। এভাবে সম্পূর্ণ টাকা তুলতে আমার এক সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এরপরে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঐদিন আমাদের বাদ ছিল সন্ধ্যা ছয়টায় কিন্তু স্যার আমাকে বলছিল তুমি বিকেলে কলেজের সামনে চলে আসবা। তাই আমি আছরের আজান দেওয়ার আগেই কলেজে পৌঁছে যায়। গিয়ে দেখলাম এখনো বাস আসে নাই সত্যি খুবই রাগ হলো। তবে ফোনে তবে ঘরেতে যখন ছয়টা বাজবে তখন দেখলাম বাস কলেজের মাঠে চলে আসলো। এরপরে ব্যানার নিয়ে এসে বাসের এক সাইডে মেরে দিয়ে ছবি উঠার জন্য তৈরি হয়ে নিলাম। এরপরে আমরা যে বক্সের বাইনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে বক্স নিয়ে এসে বাসের মধ্যে নিয়ে সাড়ে ছয়টার দিকে বাস রওনা দিল।

এরপরে কুষ্টিয়া গিয়ে বাহ একবার থামলো। এ সময় বাস থেকে নেমে, একটু চা খেয়ে নিলাম এবং স্যারের সাথে সেলফি ছবি তুলে নিলাম। সত্যিই জার্নিটা ছিল খুবই মজার। এরপর একদম চাটা খেয়ে চাঙ্গা হয়ে গাছে উঠে বক্সে গান্ধী সেই ডান্স করতে করতে রওনা দিলাম।

এরপরে রাত যখন সাড়ে তিনটা বাজে তখন একটু বড় রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামিয়ে দিল যে স্থানে গাড়িটি থামিয়েছিল ওই স্থানটির নাম আমার মনে নাই। আমরা যেহেতু সাড়ে ছয়টার দিকে রওনা দিয়েছি তাই মধ্যরাতে আমাদের অনেক খিদে লেগে গিয়েছিল। তাই স্যার বলল আমার এক সাইডে অর্থাৎ আমরা এক রেস্টুরেন্টের পাশে গাড়ি থামিয়ে সেখান থেকে কিছু খেয়ে নি। এরপর আমাদের সবার মতামতে স্যার ড্রাইভার কে বলল সামনের রেস্টুরেন্টে গাড়ি থামাবেন। উপরে আপনারা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই রেস্টুরেন্টে আমরা সেই দিন মধ্য রাতে খাবার খেয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টটি ছিল খুবই সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তাই খাবার খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। এই মধ্যরাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার আবারো রওনা দিলাম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

সম্পূর্ণ পর্ব গুলো দেখার জন্য আমার সাথেই থাকুন।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।