জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি (পর্ব-০২)।।

in hive-129948 •  7 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬/০৬/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার ।

IMG20240531142830.jpg

💞 শুভ রাত্রি 💞

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি (পর্ব-০২)।। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। তবে এখন মনে হচ্ছে তুলনামূলক গরম আবার ফিরে এসেছে। আজকে সকাল থেকেই সারাটা দিন প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে রুমের মধ্যে তেমন একটা শান্তি পাচ্ছে না। আবার বাহিরে থাকবো বাতাসের কোনো দেখা নেই । সব মিলিয়ে আজকের দিনটা খুবই। অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে কেটে গেল। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

IMG20240531151325.jpg

ইতিপূর্বে আমি এই বিষয়ে প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তাই আজকে আবার ও দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি যেদিন খুলনা রওনা দিয়েছিলাম ওই দিনটি ছিল শুক্রবার। এদিকে তাড়াহুড়ার কারণে নামাজ হয়েছে তাই আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। তবে আমি আগে থেকেই আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। তারপর ওইখান থেকে স্টেশনে গিয়ে আমার হাতে আরো এক ঘন্টা সময় ছিল। এ সময়টুকুতে আমি যেহেতু আগে থেকে টিকিট ক্রয় করেছিলাম না তাই টিকিট ক্রয় করার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। তবে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছে ই আমি উপরের ফটোগ্রাফিটি ধারণ করি। এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আর রেল লাইনের একটি দৃশ্য। আমি জেই টাইমে পৌঁছেছিলাম‌ তখন লাঞ্চ করার সময়। যে কারণে আমার টিকিট ক্রয় করার জন্য টিকিট কাউন্টারে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। এমন সময় রেলওয়ে স্টেশনে আমি একটু ঘুরাঘুরি এবং হাঁটাহাঁটি করলাম তাতেই সময় অতিবাহিত হয়ে গেল।

IMG20240531142448.jpg

আমি টিকিট ক্রয় করার জন্য টিকিট কাউন্টারের পাশেই অপেক্ষা করেছিলাম। ওখানে যে মামা ছিল তিনি বলেছিল যে এখন লাঞ্চের সময় তাই একটু পরে এসে টিকিট ক্রয় কর। তবে আমি ভাবলাম অনেক মানুষের ভিড় হতে পারে তাই আমি ততোক্ষণ ওই কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। ঐদিন আমার ট্রেন ছিল তিনটা চার মিনিটে। এরপরে ২ : ৪৫ এ টিকিট কাউন্টার খুলে দিল এবং টিকিট ছাড়লো। আমি যেহেতু টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করেছিলাম তাই টিকিট কাউন্টারের গেট খুলে দেওয়াই প্রথমে আমি টিকিট ক্রয় করেছিলাম। এতে আমার একটা ভোগান্তি কমেছিল। কোথাও ভ্রমন করতে হলে বিশ্বাস করে ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে যদি ট্রেনের টিকিট কাটা না হয় তার আগে একটা অন্যরকম কাজ করে। তবে আমি ভেবেছিলাম হয়তো সিট পাওয়া যাবে কিন্তু আলমডাঙ্গা টু খুলনা যাওয়ার জন্য আমি সিট পেয়েছিলাম না আসন বিহীন একটা টিকিট ক্রয় করেছিলাম । তবে যেহেতু অনেকটা পথ জার্নি করতে হবে তাই টিকিট খুবই প্রয়োজন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে টিকিট ক্রয় করে বেশ ভালো লেগেছিল।

IMG20240531142830.jpg

অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে টিকিট ক্রয় করা হলো কিন্তু ততক্ষণে আমার আসন বিহীন টিকিট ক্রয় করতে হলো। তবে কি আর করার আমাকে তো খুলনায় যেতেই হবে। তাই আসনবিহীন টিকিট ক্রয় করে নিলাম। টিকিট ক্রয় করার পরে উপরের এই টিকিট আমার কাছে দেয়। এরপরে আমি এই টিকিটের একটি ফটোগ্রাফি করি যেটা আপনারা উপরে দেখতে পাচ্ছেন। আপনারা উপরের টিকিটের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমি যে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেছিলাম সেটা ছিল রুপসা এক্সপ্রেস। এই টিকিটের মূল্য নিয়েছিল আমার কাছ থেকে ১৮৫ টাকা ।এ রুপসা এক্সপ্রেস খুব দ্রুতগামী একটি ট্রেন। এভাবে টিকিটটা ক্রয় করার পরে, এবার অপেক্ষায় রয়েছি ট্রেনের।

IMG20240531142415.jpg

তবে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে আর একটা বিষয় আমার কাছে একদিক থেকে ভালো লাগলো এবং অন্য দিক থেকে খারাপ লাগলো। আপনারা উপরের ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে স্টেশনের যে ছাউনি দেওয়া আছে টিনের সেখানে অনেকগুলো পায়রা বাসা বেধেছে। এমনকি সেখানে ডালা দেওয়া আছে সেখানে পায়রা গুলো থাকে। তো স্টেশনে অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে যাত্রা ভ্রমণ করে যে কারণে এই পায়রা গুলো অনেকে দেখে অনেক খুশি হয়। কিন্তু আমার কাছে একটু খারাপ লেগেছিল কারণ পায়রা গুলো মলমূত্র করলে সেগুলো যদি পোশাকে পড়ে তাহলে মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে যায়। কেননা কোথাও বের হলে যদি স্টেশনেই জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায় তাহলে তো যাত্রা করার একটা ফিলিংস নষ্ট হয়ে যায়। যদি একটি থাকাই একটা ভাল দিক রয়েছে কিন্তু একটা খারাপ দিকে রয়েছে তাই আমি মনে করি এই পায়রাগুলো এখানে না থাকলে ভালো হয়। কেননা পায়রা গুলো যে মলমূত্র করছে সেখানে যে সবাই একটু প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবে তা হচ্ছে না। কারণ ট্রেন আসা অব্দি সবাই স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ওয়েট করে থাকেন তবে সেখানে যদি পশু পাখির এরকম বিশৃংখল থাকে তাহলে তো কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না কেননা পশু-পাখি কখন মলমূত্র করে দেয় সেটা যদি গায়ে পড়ে তাহলে তার তো ভালো লাগবে না। তবে বিষয়টা আমার কাছে একটু অন্যরকম ছিল।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

💝 আল্লাহ হাফেজ 💝

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনার প্রথম খুলনা ভ্রমণ করতে যাওয়ার অনুভূতিটা বেশ দারুন ছিল ভাইয়া। অনুভূতিটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রথম খুলনায় যাও অনুভূতিটা বেশ আনন্দের ছিল তাই। এদিকে স্টেশন দেখা মাত্রই চিনে গেছি এটা আলমডাঙ্গা স্টেশন। আর আলমডাঙ্গা হয়ে একবারে খুলনাতে গেছিলেন।

গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আসলে আমাদের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে হয়। যেখানে আমরা সবসময়ই যেতে পারি না৷ তবে যখন প্রথমবার সেখানে যাওয়া হয় তখন তার থেকে সুন্দর মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না৷ আজকে আপনি সেরকম একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন এবং সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।