আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি।আমি @biplob89 প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমন।। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন (পর্ব- ০৭) ।। আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়। এরপরে পড়ার টেবিলে বসে যায়। এরপরে পড়ার টেবিল থেকে উঠে হালকা করে নাস্তা করে নিই। নাস্তা শেষ করেই প্রাইভেটে যাওয়ার জন্য রেডি হই। আজকে আমার প্রাইভেট ছিল ৯ টায়। তাই বাসা থেকে। সাড়ে আটটার সময় বেরিয়ে পড়ি। এর পরে ৯ টার সময় প্রাইভেটে পৌঁছে যায়। তারপর প্রাইভেট শেষ করতে ৯:১৫ বেজে যায়। আজকে প্রাইভেট শেষ করে বাজারে একটু দরকার ছিল। তাই বাজারে কিছু কেনাকাটা শেষ করি। কেনাকাটা শেষ করে আবার বাসার দিকে রওনা দি । এভাবে সাড়ে এগারোটার সময় বাসায় এসে পৌঁছায়। আজকে তুলনামূলক ঘটনাটা মনে হচ্ছে অনেক বেশি তাই বাসায় এসে আর কিছু না করে একটু রেস্ট নিলাম। বিশ্রাম ভাইয়ের সাথে সাথে ঘুম পায়ে ছিল তাই ঘুমিয়ে গেলাম ঘুম থেকে উঠে খাবার শেষ করে আছরের নামাজ আদায় করি। তারপরেই পোস্ট লিখতে বসলাম। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

ইতিপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি। তাই আজকে আবারো নতুন একটি পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি‌। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সেখানে আমরা একটি রাত পার করেছিলাম। কারণ রাতের দৃশ্যটা নিজ চোখে দেখাবো এবং উপভোগ করবো এর জন্যই মূলত সেখানে আমরা এক রাত ছিলাম। রাতের খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য হচ্ছে বীচে হেঁটে বেড়ানো। রাত শুরু হতেই আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে বীচে চলে গেলাম। সেখানে যে সাগরের গর্জন রাতে আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ঢেউয়ের শব্দ শুনে বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। রাতের সময় তাই সেটির ক্যাপচার করা হয়নি। তবে রাতে বীচে সময় কাটানোর পাশাপাশি কিছু খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। সেখানে বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ দেখতে পেলাম এবং খাওয়ার আগ্রহী জাগলো। উপর আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে বড় চিংড়ি। এটা হচ্ছে বাগদা চিংড়ি। সামুদ্রিক চিংড়ি এটি দেখতে অন্যরকম এবং এই চিংড়িগুলো অনেক বড় আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন। এছাড়া উপরের ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন তার পাশে রয়েছে গলদা চিংড়ি। আসলে এই চিংড়িগুলো সাধারণত আমাদের এদিকেই পাওয়া যায়। তাই আমরা চেয়েছিলাম যে কিছু আনকমন মাছ এখান থেকে খাবো।

আসলে কি আর বলবো রাতে বীচে গিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের বেশ মজার একটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। বিশেষ করে আপনারা যদি কখনো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে চান তাহলে দিনের মুহূর্তে যতটা উপভোগ করবেন রাতের মূহূর্তটা উপভোগ করলে সেটা পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ দিনের বেলায় এই সাগরকন্যা যতটা সুন্দর লাগে রাতের আঁধারে বীচে গিয়ে তার চেয়েও ভালো একটা মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। এভাবে আমরা যেহেতু বীচে গিয়েছিলাম ঘুরতে আর সামুদ্রিক এমন বিভিন্ন মাছ দেখে খাওয়ার বড় ইচ্ছে জাগলো। উপরে আপনারা যে মাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন এখানে রয়েছে রূপচাঁদা এগুলো আমাদের এদিকে কম বেশি পাওয়া যায়। তাই এই মাছটি আমার ফোনে ভিডিও করা ছিল তাই সেখান থেকেই এই মাছের ছবিটি আমি স্ক্রিনশট নিয়েছি। এরপরে আমরা সত্যিই সমুদ্রের অনেক মাছ রয়েছে এগুলো নিজ চোখে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো আপনাদের মাঝে ভিডিও গ্রাফি পোস্ট করার সময় আপনারা অবশ্যই দেখে নিবেন।

এভাবে আমরা বীচের পাশেই যখন এই মাছগুলো তারা বিক্রি করছিল দেখে আমাদের মাঝে একটি আনকমন মাছ দেখেই খাওয়ার খুব ইচ্ছে জাগলো। সমুদ্রের বিভিন্ন মাছ দেখেই খাওয়ার ইচ্ছে জাগছিল কিন্তু তার চেয়েও আরও বেশি খাওয়ার ইচ্ছে করেছিল এই টুনা ফিস খাওয়ার। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন টুনা ফিশ। এ মাছ আমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রথম দেখেছিলাম। এ মাছের আমি ভিডিও করেছিলাম তাই সেই ভিডিও থেকেই এই ছবিটি স্ক্রিনশট করে নেয়া হয়েছে। এই টুনা ফিশ গুলো দেখেই প্রথমে আমাদের খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে গিয়েছি আর সেখানকার আনকমন মাছ খাবো না তা কি আর হয়? না না তা কখনোই সম্ভব না। কারণ ভ্রমন করতে গিয়েছি তার মধ্যে সেখান থেকে আনকমন মাছ খাব এটাই তো অনেক বড়। তাই আমরা একটি মাছ সেখানে একটি টুনা ফিশ অর্ডার দিলাম তারা সে মাছ কেটে খুব সুন্দর করে পুড়িয়ে আমাদের দিলো। কি আর বলবো এই টুনা ফিশ যখন খাচ্ছিলাম তখন যে মজাটা পাচ্ছিলাম আজ এই পোস্ট লিখতে বসে জিভে জল চলে আসছে। সত্যিই এই টুনা ফিস খেতে খুবই মজার। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো। আপনারা যদি কেউ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন করতে যান তাহলে এই টুনা ফিশ খেতে কখনোই ভুলবেন না। এই টুনা ফিশ খেতে এতোই মজা লেগেছিল এবং খুবই সুস্বাদু ছিল যে বাসায় নিয়ে আসার জন্য প্ল্যান করেছিলাম। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম যেহেতু অনেক জার্নি করতে হবে তাই মনে হচ্ছিল এই মাছ বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সাহস করে আর নিয়ে আসা হলো না। তবে আবার যদি কখনো কথা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করে তাহলে অবশ্যই টুনা ফিশ বাসায় নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। তবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করে যতটা আনন্দ লেগেছিল তার মধ্যে টুনা ফিশ খাওয়ার মুহূর্তটা ছিল তার মধ্যে একটি । আজও যেন মনে হচ্ছে সেই স্বাদটুকু আমার জিভে লেগে আছে।

টেবিল.১	টেবিল.২
পোস্ট তৈরি	@biplob89
ডিভাইস	OPPO A15

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।