আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমি আজকে আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো লাইফ স্টাইল।। সন্ধ্যার মুহূর্তে ঝাল মুড়ি খেতে যাওয়ার অনুভূতি।।

আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।

বেশ কয়েকদিন আমরা কাজ করতে পারেনি। দাদা বলেছিল যে ১২ তারিখে সবাই আবার কাজের ধারাবাহিকতা ফিরে পাবে। আজকে ১২ তারিখ সেই ইস্যুতে আমরা আবার আমাদের কাজের ধারাবাহিকতা ফিরে পেয়েছি। এতে দাদাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ। সত্যিই আজকে আবার কাজের ধারাবাহিকতা ফিরে পেয়ে খুবই খুশি এবং বেশ ভালো লাগছে। তাই নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

এইতো বেশ কয়েকদিন আগে। সন্ধ্যার একটু আগ মুহূর্তে ভাইয়া ফোন দিয়েছিল। ভাইয়া ফোন দিয়ে বলে চলো গাংনীতে যাই। আর একটা বিষয় হচ্ছে সন্ধ্যার মুহূর্তে গাংনী বাজারে যদি আমি থাকি বা ওই মুহূর্তে গাংনী বাজারে যায় তাহলে মুড়ি না খেয়ে আমি আর বাড়ি আসি না। আর ভাইয়া ও ফোন দিয়েছে মুড়ি খাওয়ার জন্য। তাই আর বেশিক্ষণ দেরি না করে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে গাংনী বাজারে মুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মিনিট ১৫ অবদি আমরা গাংনী বাজারে পৌছালাম। গাংনী বাজারে মুড়ির জন্য ফেমাস হচ্ছে আলী মামা। আলী মামার মুড়ি বাজারের সেরা মুড়ি। আর আলী মামার মুড়ি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আলী মামা প্রতি সন্ধ্যায় বাজারে মুড়ি বিক্রি করে। আর সন্ধ্যা হতেই মুড়ি খাওয়ার জন্য বেশ ভিড় জমে সেখানে। তবে গাংনী বাজারে পৌঁছে একটা অন্যরকম দৃশ্য দেখতে পেলাম। কেননা আপনারা জানেন বর্তমানে রাস্তাগুলো অনেক বড় করা হচ্ছে। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই রাস্তার কাজ চলছে এবং সেখানে রাস্তাগুলো মাটি কাটা হয়েছে। এতে করে বৃষ্টির পানি জমে গিয়েছে এবং দেখতে যেন একটা নদীর মতো লাগছে। আর এরই পাশে বিভিন্ন দোকানপাট দেখতে একটা অন্যরকম লাগছে। তবে যাই হোক দৃশ্যটা ছিল দেখার মতো।

এরপরে ভাইয়া মুড়ির অর্ডার দিল। সন্ধ্যা হতে আর কিছুক্ষণ বাকি। তবুও যেন ভিড় জমে যাচ্ছে। তাই আমরা আগেভাগেই মুড়ি অর্ডার দিয়ে দিলাম। উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটা মুড়ির দোকান। আর এটাই হচ্ছে আলী মামার সেই মুড়ির দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলী মামাকে গাংনী বাজারে বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া যায়। মুড়ি অর্ডার দিয়ে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। মুড়ি অর্ডার দেওয়ার সময় উপরের এই ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।।

৩ মিনিট অপেক্ষা করার পরেই আমাদের মুড়ি দিল। মুড়ি পেয়ে প্রথমে আমি একটা ছবি তুলে নি। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এক প্লেট মুড়ি। তবে এই মুড়ির উপরে শসা কেটে দেয়া হয়েছে । কেননা মুড়ির সাথে এই শসা খাওয়ার একটা অন্যরকম স্বাদ রয়েছে। এত দ্রুত মুড়ি পেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল। এরপরে দুই ভাই মুড়ি খেতে শুরু করলাম। প্রথমে মুড়ি মুখে দিতেই একটা অন্যরকম স্বাদ পেলাম। কেননা অনেকদিন পরে আলী মামার মুড়ি খাওয়া হয়েছিল। সেই সাথে ঐদিন মুড়ির স্বাদ যেন মনে হচ্ছিল দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। আর মুড়ি বানাতে আলী মামা অনেক এক্সপার্ট। তাই গাংনী গেলে তার বানানো ঝালমুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর ঐদিন কর ওয়েদারটা ছিল হালকা ঠান্ডা যে কারণে এই ঝাল মুড়ি খেতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল । কেননা ঠান্ডা আবহাওয়াতে মুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর ঝাল মুড়ি হলে তো কোন কথাই নয়‌ । আর সেটা যদি হয় আলী মামার বানানো ঝালমুড়ি । তাহলে তো আর কোন কথাই নয়। তাই ঐদিন সন্ধ্যার মুহূর্তে ঝালমুড়ি খাওয়ার এই মুহূর্তটা ছিল খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত। এরপরে মুড়ি খাওয়া শেষ হলে বিল পরিশোধ করে আমরা আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম।

টেবিল ০১	টেবিল ০২
ডিভাইস	OPPO A15
পোস্ট তৈরি	@biplob89

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।