মা সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় বেড়ানো।।২৯ জানুয়ারি ২০২৩

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি। গত বৃহস্পতিবার ছিলো মা সরস্বতী পুজো।এই পুজো ছাত্র ছাত্রীদের কাছে খুব ভক্তির।কেন না মা সরস্বতী হলো বিদ্যার দেবী।যে কোনো বিদ্যার বিধাতা বলা হয় সরস্বতীকে।এই দিনটা ছোটবেলা থেকে আমাদের কাছে একটা বিশেষ মানে রেখে চলেছে।সময়ের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিকতা অনেক বদলে গেছে কিন্তু এই দিনটা একই রকম রয়ে গেছে।এই দিনটার মহিমা অপার।সকাল সকাল স্নান করে আমরা ঠাকুর মশাইয়ের অপেক্ষায় থাকতাম।সরস্বতী পুজোর দিন ঠাকুরমশাইদের একটা ডিমান্ড বেড়ে যায়।তাদের পাওয়াই বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।তাই যখনই ঠাকুরমশাই এসে পৌঁছাতেন তখন আমাদের সবার মনটা ভরে যেত।আর ছোটবেলায় একটা আলাদা ভক্তি কাজ করতো।

মাঝের কয়েক বছর আমি সরস্বতী পূজায় অঞ্জলী দিতে পারিনি।এই পূজোয় অঞ্জলী দেওয়া অনেক পুণ্যের কাজ।তাই বেশ কয়েক বছর পর অঞ্জলী দেওয়ার সুযোগ হলো।এই বছর টিনটিন বাবুর হাতেখড়ি হলো।টিনটিন বাবাই পড়াশোনার জগতে প্রবেশ করতে চলেছে।এখন থেকে একটা সফরের মধ্য দিয়ে ও যাবে।এখানে আছে উত্থান পতন আর মানুষ হওয়ার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।আমি চাই ও যা হতে পারে তাই হোক।একজন অতি সাধারণ চাকুরীজীবী ও যদি ও নিজের যোগ্যতায় হতে পারে তাতেই আমরা খুশি ও গর্বিত হবো।কিন্তু সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ওকে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে।ভালো কিংবা খারাপ নয়,সত্যিকারের মানুষ হতে হবে। আপনাদের সবার আশীর্বাদ চায় টিনটিন বাবু।

পুজো শেষ হওয়ার পর ঠাকুরের প্রসাদ খেয়ে নিলাম।অর্থাৎ সারাদিনে ভাত খাওয়া হলো না। সাধারণত সরস্বতী পূজায় এটাই হয়ে আসছে।আসলে প্রসাদ খেয়ে পেটটা এতো ভরে যায় আর ভাত খাওয়ার জায়গা থাকে না।আর তাই জন্য এখন আর ভাত রান্না হয়না দিনের দিকে।রাতে অবশ্য ভালো আয়োজন থাকে।

আমি সাধারণত সরস্বতী পুজোয় বেরোই না।আমাদের এই কলকাতায় সরস্বতী পুজোর দিনকে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে বলে।ছেলে মেয়ে খুব সেজে গুজে বেরিয়ে যায় ঘুরতে।চারিদিকে উৎসবের আবহ।এবার সন্ধ্যার দিকে স্বাগতার সাথে বেড়িয়েছিলাম।এই প্রথম সরস্বতী পূজোয় বা কোনো পুজোতে ওর সাথে আমার বেরোনো হলো।আমরা নিউটাউন কফি হাউস এ গিয়েছিলাম।যাওয়ার আগে আমরা অনলাইনে seat book করেছিলাম না হলে আমাদের কমপক্ষে একঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো।খুব ভিড় ছিলো ওই দিন।হওয়াটাই স্বাভাবিক। যাই হোক খুব সুন্দর ছিল পরিবেশটা।এমনি ও এই কফি হাউসের পরিবেশটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।আমরা ফিশ ফিঙ্গার চিকেন পকোড়া ও কফি অর্ডার করেছিলাম।খাবারের স্বাদ খুব ভালো ছিলো।আমরা খেতে খেতে অনেক গল্প করলাম।

সময়টা খুব সুন্দর ভাবে কেটে যেতে লাগলো।এরপর বাইরে একটু শীত শীত করছিলো,তাই স্বাগতা কে নিয়ে আর বাইরে থাকার রিস্ক নিলাম না।কারণ ওর ঠান্ডা লাগার ধাত আছে।এরপর আমরা বাড়ি ফিরে এলাম।অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম আমরা।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

|| Community Page | Discord Group ||

---

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord