সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি।অতিমারী করোনার ছোবলে ভেসে গেছে কত পরিবার।কত শিশু হয়েছে অনাথ।তার খবর আমরা জেনে ও বুঝতে পারছি না কারণ একটা অন্ধকার আমাদের প্রত্যেককে গ্রাস করার জন্য তাড়া করছে প্রতিনিয়ত।এ যেন এক অসম লড়াই।এক অতিসূক্ষ অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে আজ আমরা এক প্রকার অসহায়।বিজ্ঞানের এই দারুণ বিপ্লবের যুগেও আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি।প্রকৃতির এ এক নিদারুণ প্রতিশোধ।বছরের পর বছর প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলাফল আজকের এই মহামারী।
এই মহামারীর দরুন প্রত্যেক দেশ কম বেশি lockdown করে দিচ্ছে দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে।শুধু জরুরী পরিষেবা ছাড়া বন্ধ করে রাখা হচ্চে অন্যান্য ক্ষেত্র গুলি মাসের পর মাস।এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে নেমে আসছে ভয়াবহ দুর্দিন।দেখা দিয়েছে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট।প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও টালমাটাল।ফলে এইসব অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সরকারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ এক উভয় সংকট।যার থেকে বেরোনোর কোনো পথ কারো জানা নেই।শুধু শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া।
প্রত্যেকটা lockdown উঠে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হাওয়া কে লোকে নাম দিয়েছে নিউ নরমাল।কিন্তু সত্যি কি সব নরমাল হলো?
আমি নিজে গ্রাম্য পরিবেশে একাকী ঘুরতে ও প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসি।তাই সময় পেলেই নিজের বাইক টি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।অধিকাংশ সময় একাকী বেরিয়ে যাই।দল বেঁধে গেলে প্রকৃতি সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায় না।মহামারীর আগে আমার এলাকা থেকে কাছের একটি গ্রাম নাম বেড়াবেড়িয়া।দারুণ সবুজে ঘেরা একটি অপূর্ব গ্রাম।আমি নিজে গ্রামের ছেলে তাই গ্রাম আমার কাছে অন্য রকম মানে রাখে।তো তখন রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে রাস্তার পাশে হাতে গোনা কয়েটি ধাবা শ্রেণীর চায়ের দোকান ছিল।কিন্ত এখন সে গুলো বেড়ে হয়েছে ১০ গুণ।এতো চায়ের দোকান কেন?আর এই সব দোকানের মালিক সব যুবক ছেলেরা।এর কারণ কি?
এর কারণ মহামারীর কারণে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে হাজার হাজার চাকরিজীবীকে।তাদের করে দেওয়া হয়েছে বেকার।এই বিশাল অঙ্কের বেকারের কর্মসংস্থান বেকারদের নিজেদেরই করতে হচ্ছে।তাই এই সব ক্ষুদ্র ব্যবসায় তারা বিনিয়োগ করে বেঁচে থাকার লড়াই করছে।এটা সত্যি একটা অশনি সংকেত।এই মহামারীর শেষে কি আছে ?
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |

হয়তো আমরা নিজেদের শান্তনা দেয়ার জন্য এই নিউ নরমাল নাম দিচ্ছি কিন্তু আসলে ভিতরের ক্ষতগুলো ক্ষতই রয়ে যাচ্ছে। ভালো লিখেছেন ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেই ক্ষত গুলো আরো দৃশ্যমান হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে।চারদিকে অভাব দেখা দেবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনো কোনো কিছু স্বাভাবিক হয়নি । আমাদেরকে একদম নিজের নিরাপত্তা নিজেই নিশ্চিত করতে হবে। দিন শেষে সবার এই মন মানসিকতা জাগ্রত করতে হবে ।তাহলেই সব কিছু সম্ভব হবে। ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্যক্তিগতভাবে সবাই সচেতন না হলে কিছুই করে লাভ নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই খারাপ পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে আমাদের দেশে। চলমান লকডাইনেই পরিস্থিতি ভাল নাই। ছেলেমেয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারার কষ্টে বাবা আত্মহত্যা করেছে। একটা খবর আমাদের পর্যন্ত পৌচেছে। না জানি আরো কত বাবারা এরকম কষ্ট বুকে নিয়ে চলছে।
অবস্থাবান রা যদি অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে না আসেন, তাহলে কোন আশার আলোই দেখা যাচ্ছে না।
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি এ এক কঠিন সংকট।সকলের একত্রিত সহযোগিতা দরকার এখন।না হলে আমাদের চোখের জল থামবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকেই ছিল যারা চাকরিজীবী তারা চাকরি হারিয়েছে আবার অনেকে যারা ব্যবসায়ী রয়েছে তারা ব্যবসাতে লোকসানের কারণে তাদের পুঁজি আস্তে আস্তে খরচ করতে করতে একেবারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে এসেছে। কবে যে শেষ হবে এবং আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়ে সবাই তাদের অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কে জানে। আমার মনে হয় এই অবস্থা আরো ৫/৭ বছর থেকে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম সঠিক বকেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit