গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ দেখা।১৩ অক্টোবর ২০২২

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG-20221013-WA0002.jpg

One plus ফোনের মাধ্যমে তোলা

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বিগত সপ্তাহ দুয়েক আমি বলতে গেলে সেই অর্থে কমিউনিটিতে এক্টিভ থাকতে পারিনি।তার একটা মূল কারণ আমি বাড়িতে ছিলাম না।দুর্গাপুজো উপলক্ষে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম।আসলে সেখানে দুর্গা পুজোর করা হচ্ছিলো এই বছর।তাই আমি আন্তরিক ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য গ্রামে গিয়েছিলাম।দুর্গা পুজো মানেই একটা বড় ব্যাপার, সারাক্ষণ সেখানেই ব্যস্ত থাকতে হয়।

IMG-20221013-WA0002.jpg

IMG-20221013-WA0001.jpg

প্রত্যেকেরই কিছু দায়িত্ব থাকে পুজো টা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার জন্য।আমরা এই পুজোটা বেশ বড় করেই আয়োজন করেছিলাম।বড় বলতে গ্রামের পুজোর সাপেক্ষে।কারণ কলকাতার পুজো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় পুজো।সাম্প্রতিক কালে ইউনেস্কো দুর্গা পুজোকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।ভালোবাসার শহরে বাঙালির সেরা উৎসব মানেই একটা আলাদা আবেগ একটা অন্য রকমের ভালোলাগা।

IMG_20221005_170219.jpg

IMG_20221004_175158.jpg

IMG_20221004_175149.jpg

IMG_20221004_175251.jpg

IMG_20221004_175218.jpg

যেহেতু পুজোর মূল আয়োজক আমরাই তাই মূল দায়িত্ব গুলো আমাদের থাকবে।আমি বিশেষ করে ভোরবেলা ফুল আনতে যেতাম পুজোর চারটা দিন।মায়ের পুজোর প্রচুর ফুলের প্রয়োজন।গ্রামে গাছ থেকে এতো ফুল সংগ্রহ করা এক প্রকার অসম্ভব।তার উপর পাশাপাশি অনেক গুলো দুর্গাপুজো।আমি শহরে ফুল মার্কেট এ চলে যেতাম ফুল সংগ্রহ করতে।

এতো সকালে সবগুলো দোকান খুলে পারতো না,দুই একটা খুলতো।তাই ফুলের দাম ও সঠিক থাকতো না।এখন অধিকাংশ মানুষ সুযোগ এর অপব্যবহার করে।jযাই হোক প্রতিদিন আমি গাঁদা, জবা আর যেকোনো একটা সাদা ফুল সংগ্রহ করতাম।তারপর সোজা পুজো মণ্ডপে চলে যেতাম।এই ভাবেই আমার পুজোর দিনগুলি শুরু হতো।আমি সকালে একদমই উঠতে পারিনা।তবে পুজোর একটা আলাদা মহিমা আছে।

আমি পুজোর অভিজ্ঞতা ও ফোটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেবো তবে আজকে আমি গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ আপনাদের দেখাবো।শরতের আকাশ মানেই চমক,আর ভীষণ ভীষণ ভালোলাগা।নদীর জলের উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে আকাশ দেখেছেন আপনারা?তাহলে নিশ্চয়ই জানবেন কি অপূর্ব সেই দৃশ্য।আমি তেমনই কিছু ফোটোগ্রাফি আপনাদের দেখাতে চলেছি, আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||



image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা দূর্গা পূজা এবার গ্রামে করলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে গ্রামের পূজাতেও বেশ মজা হয় ৷ নিজের পূজা মন্ডপ থাকলে আসলে একটু বেশিই চাপ থাকে ৷ মায়ের পূজার জন্য প্রচুর ফুল বেলপাতা প্রয়োজন হয় ৷ যেগুলো সংগ্রহ করা একটু কঠিন ৷ পূজার জন্য প্রচুর ব্যস্ততার মাঝে দিন গুলো কেটেছে আপনার , তো দাদা পূজার ফটোগ্রাফি ও পূজার দিনের ব্যস্ততার গল্প আর অনুভূতি কেমন ছিলো আপনার আশা করি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে শেযার করবেন ৷ আর গ্রামের অপরুপ সৌন্দর্য সত্যি চমৎকার মনোমুগ্ধকর যা দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য ৷

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ দেখার মুহূর্ত গুলো অসাধারন ছিলো দাদা। শরতকাল মানেই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য নতুন ভাবে অনুভব করা যায়। আপনি পুজার জন্য গ্রামে গিয়ে সবার সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। জি দাদা নদীর জলের উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে আকাশ দেখেছি। এমন মুহূর্ত গুলো ভীষণ ভালো লাগে। আপনার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।

আমি দেখেছি প্রকৃতির মিলন মেলা
আমি দেখেছি প্রকৃতির শুভ্র আভা
আমি দেখেছি শরতের মিষ্টি আকাশ
আমি দেখেছি প্রকৃতির ভালোবাসার আকার।

হ্যা, সকলে মিলে কোন একটা দায়িত্ব পালন করলে সেখানে সফলতা বেশী থাকে আর ফুল আনার দায়িত্বটা আপনার জন্য নিশ্চয় সুখকর ছিলো। তবে হ্যা, বাঙালিদের উৎসব মানেই ভিন্ন অনুভূতির আনন্দ।ফটোগুলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর ছিলো। ধন্যবাদ

আমি সকালে একদমই উঠতে পারিনা।তবে পুজোর একটা আলাদা মহিমা আছে।

আসলে সত্যি কথা বলতে কি মনের মধ্যে যদি ভক্তি আর ভালবাসা থাকে তাহলে মনের মধ্যে আলাদা একটা মহিমা সৃষ্টি হয়।যে মানুষ সকাল বেলা উঠতে পারেনা সে মানুষ সকালবেলা উঠে পুজোর জন্য ফুল নিয়ে আসত এটা সত্যি একটা মহিমা।আর পূজা মানেই অনেক আনন্দের যেমন আপনাদের ধর্মের তেমনি আমাদের জন্য। আমরাও পূজার মধ্যে অনেক আনন্দ করে থাকি তবে এবার তেমন আনন্দও করতে পারেনি। দাদা, আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে শরতের সকালবেলার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ দেখতে খুবই ভালো লাগে। সত্যি শরতের এই সৌন্দর্যময় আকাশ সকলের প্রিয়। সাদা মেঘ গুলো যেন ভেসে বেড়াচ্ছে এবং সাদা মেঘ গুলো যেন নিচের দিকে নেমে আসছে। শরতের আকাশ অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা।পূজার কারণে গ্রামে সকলের সাথে গিয়ে দেখা করলেন এবং খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে দাদা।

গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় শরতের আকাশ উপভোগ করেছেন। আসলে শরতের আশ্চর্যময় আকাশ দেখতে খুবই ভালো লাগে। সাদা মেঘ গুলো যেন ভেসে বেড়াচ্ছে দৃশ্যগুলো অসাধারণ।

আমি না এই শীত,গ্রীষ্ম আর বর্ষা বাদে আর কোনো ঋতুকে তেমন তফাৎ করতে পারিনা।তবে আপনার ছবিগুলো দেখে আকাশটা বেশ একটু শান্ত শান্ত লাগছে,অনেকটা যাকে বলে চোখের শান্তি।অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম মনে হচ্ছে ভাইয়া।

এক এক ঋতুর এক এক বৈশিষ্ট্য। ঠিক তেমনি শরতের সবচাইতে যে জিনিসটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগে তা হচ্ছে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই আকাশ দেখেই একটি জীবন পার করে দেয়া সম্ভব। অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপনি। ধন্যবাদ দাদা

যদিও আপনি বলেছিলেন যে, আপনি দুই সপ্তাহের জন্য থাকবেন না । তবে গ্রামে যে গিয়েছিলেন , এটা জানতাম না । তবে গ্রামীণ পরিবেশের ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আর তাছাড়া এবার গ্রামে পূজোর সময়টা কাটিয়েছেন এবং তা বেশ ব্যস্ততার সঙ্গে ,সেটা আসলে আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পেরেছি । আরও ভাল লাগছে যে , নিজের থেকে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন । এটাই বেশ অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছে ।

দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম, সত্যি বলতে আনন্দের দিনগুলো সকলের সাথে ভাগ করে নিলে আনন্দের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তবে ফুল কিনে আনার থেকে গাছ থেকে পেড়ে আনার মজাই কিন্তু আলাদা। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া।

দাদা আপনি গ্রামের বাড়িতে পুজো করেছেন শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো৷ আসলে কি দাদা গ্রামের নিজ পাড়ার পুজোর মত অন্য কোন পুজোতে আনন্দ হয়তোবা তেমন হয় না ৷ পুজোর চারটি দিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন৷ তা আপনার লেখা গুলো পড়ে বুঝতে পারতেছি ৷ যাও গ্রামের প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল ৷ যাই বলুক না কেন শহরের চেয়ে গ্রামের প্রকৃতি জীবন অনেক মধুরময়৷

এই জন্যই বলি কিছুদিন হল ছোটদাকে দেখছি না কেন ! তবে যাই হোক না কেন দাদা পূজার আয়োজন এর ভেতরে থাকলে ভেতরে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে আর সেজন্যই হয়তো আপনিও ভোরবেলায় উঠে ফুল তুলতে যেতে পেরেছেন। পুজোর সেই মুহূর্তগুলোর পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আর শুরুতে যে ছবিটা শেয়ার করেছেন মনে হচ্ছে হাত দিয়ে সাদা মেঘটাকে ধরে ঘরে নিয়ে আসা যাবে,, এতটাই চমৎকার লাগছে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



কবিগুরু কি আর এমনিই লিখে গেছিলেন

এসেছে শরৎ হিমের পরশ
লেগেছে হাওয়ার পরে
সকাল বেলা ঘাসের আগায়
শিশিরের রেখা ধরে।

ছবি গুলো সব সময়ের মত ভালো হয়েছে দাদাভাই।তবে একটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি দাদা, কোলকাতায় পুজো বড় হয়, কোটি কোটি টাকাও হয়তো খরচ হয়। কিন্তু গ্রামের পুজোগুলো তে আচার বিচার, নিয়ম নিষ্ঠা অনেক বেশীই থাকে।আন্তরিক ভাবএ সহযোগিতা থাকে। কে কার চেয়ে কত বেশী ভালো থিম করল এই প্রতিযোগিতা থাকে না। আমার মামাবাড়ি আসামের গ্রামে।সেখানে আমি এটা দেখেছি।

শরতের আকাশের সুন্দর সাদা সাদা মেঘ গুলো দেখতে আমারও বেশ ভালো লাগে এবং আমিও ফটোগ্রাফি করে থাকি। আর কলিকাতাতে সবচেয়ে বড় পুজোর উৎসব হয়ে থাকে এটা জেনে খুব খুশি হলাম। আপনাদের এই পোস্টের মধ্য দিয়ে আপনাদের ধর্মের বিশেষ কিছু ধারণা অর্জন করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগে।

তাহলে তো দাদা এইবার আপনাকে মা-বাবা ভাইদের ছাড়াই পুজো পালন করতে হয়েছে। আপনি গ্রামের বাড়িতে পুজো করেছেন। আসলে পুজোর সময় ফুলের অনেক চাহিদা থাকার কারণে দোকানদাররা একটু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। তারা খুব ভালো করেই জানে যে দাম যত বেশিই হোক ফুল তো নিতেই হবে। আজকের ছবিগুলো দেখেই একটা আইডিয়া হয়ে গিয়েছে দাদা কিছু চমৎকার ছবি শেয়ার করতে যাচ্ছেন। আজকের গুলো কিন্তু অসম্ভব সুন্দর প্রতিটি ছবি।

ইউনেস্কো দুর্গাপূজাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো। সত্যি দাদা গ্রামের বাড়ি থেকে শরতের নীল আকাশের সাদা মেঘ ভেসে বেড়ানোর দৃশ্যটা দেখার আনন্দই অন্যরকম। শরতের নীল আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ সুন্দর দেখাচ্ছে।

বাঙালি মানেই এমন দাদা,সুযোগের অপব্যবহার করে। গ্রামের এই দৃশ্যগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।বাকি ছবিগুলো দেখার অপেক্ষায়। ধন্যবাদ

দাদা, আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টা সত্যিই অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে দাদা শরতের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তবে একটি কথা ঠিক বলেছেন দাদা। এরকম ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশি অর্থ লুটে নেয়। আমাদের এদিকের গ্রামের পূজোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেলা বসে, সেগুলো দেখতে সত্যিই অসাধারণ হয় এবং সময় গুলো অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

জি দাদা এই পুজোর ফুল সংগ্রহ করার যে কঠোর কঠিন কাজ সেটা এবার আমি হারে হারে টের পেয়েছি। কারণ আমাদের বাড়িতে এবার পুজো ছিল। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই দায়িত্বটা পালন করার জন্য। সেই সাথে শরতের স্নিগ্ধ আকাশ এর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আপনার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

দাদা একদম ঠিক বলেছেন নদীর জলের উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে শরতের আকাশ দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। অপূর্ব সুন্দর সেই দৃশ্য দেখে মন যেন হারিয়ে যায়। ঠিক সেরকমই সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আমি যখন গ্রামে যাই গ্রাম বাংলার এই দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকি। যাইহোক দাদা বুঝতে পারছি এবার পুজোয় গ্রামে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন। আবার কর্তব্যে অবহেলা না করে সকাল সকাল শহর থেকে পূজোর ফুল নিয়ে এসেছেন। আমার মনে হচ্ছে এবারের পূজোর সময়টা আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

শরতের আকাশের পারফেক্ট ছবি হয়েছে আপনার প্রথম ছবিটা দাদা। সাদা তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে নীল আকাশে। অসাধারণ লাগে দেখতে এই দৃশ্য গুলি। পুজোর সময়টা তাহলে আপনি বেশ ব্যস্ততায় কাটিয়েছেন। এজন্যই চিন্তা করছিলাম যে আপনি পোস্ট কেন রেগুলার করছেন না? এখন বুঝতে পারলাম কেন আপনার পোস্টগুলি দেখতে পাইনি।

ছয়টি ঋতুর মধ্যে একেক ঋতু একেক ভাবে তার রুপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।শরতের স্নিগ্ধতা এক কথায় অসাধারণ। জলহারা শুভ্র মেঘের দল যখন নীল, নির্জন, নির্মল আকাশে পদসঞ্চার করে।তখন আমরা বুঝতে পারি শরৎ এসেছে এবং বুঝতে পারি শরতের আগমন কতটা মধুর।এই মেঘ, এই বৃষ্টি, তো কিছুক্ষণ পরই রোদের হাতছানি।যদিও প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কারনে ঋতুর প্রকৃত সৌন্দর্য আগের মত নেই। যাইহোক,গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ দেখার দৃশ্যগুলো খুবই চমৎকার ছিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি মাধ্যমে শরতের রুপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, যদিও পুজোর দ্বায়িত্ব পালন করার জন্য ব্যস্ত ছিলেন তারপরও এত সুন্দর ও চমৎকার শরতের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

শরতে গ্রামের আকাশ যেমন সুন্দর তেমনি আবহাওয়ায় বেশ মনোরম হয়। অল্প রোদের তেজ আর উমার ঘরে আসবার আবহ দুইয়ে মিলিয়ে যেন স্বর্গ তৈরী করে।

গ্রামের পুজো গুলোতে পরিবারিক ছোঁয়া অনেকটাই বেশি লাগে। আর সবাই মিলে কাজ করলে ভালোও লাগে।

গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের সুন্দর আকাশ দেখার অনুভূতিটাই অন্যরকম যা হয়তো লিখে প্রকাশ করা যাবে না। অনেকদিন হয়ে গেল গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শরতের আকাশ দেখার সুযোগ হয়নি আর। তোমার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে সেই সুযোগ হলো দাদা সেই জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এটা ঠিক বলেছ দাদা শরতের আকাশ মানেই চমক। নিজেরা আয়োজন করে পুজো করতে হলে অনেক দায়িত্বই পালন করতে হয় । তোমাদের আয়োজন করা পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

গ্রামের দুর্গাপূজা মানেই সকলের উপর কোনো না কোনো দায়িত্ব ঠিক এসে পড়ে।শরতের শিউলি ফুল ও কাশফুলের দোলাচল দেখতে দেখতে নদীর জলে এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে সত্যিই বেশ আনন্দের।দারুণ সময় পার করেছো দাদা।প্রত্যেকটি ছবি দেখার মতো ছিল।