লাইফস্টাইল-: অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না।

in hive-129948 •  5 days ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

20250215_104012.jpg

আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এমন একটা বিষয় যেটা রীতিমত আমার পিছনে লেগে আছে।পিছু ছাড়ার নাম নিচ্ছে না।আর এটা হলো হসপিটাল নামক রাক্ষস।আসলে রাক্ষস বলছি একারণেই যতবার যাচ্ছি ততবারই কিছু না কিছু টেস্ট দিয়ে দিচ্ছে।আর মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচ্ছে।যেই পরিমাণ টাকা এই কয়েকমাসে খরচ হলো শুধু টেস্টের পেছনে সেই টাকা দিয়ে বড় কোনো কাজ করে ফেলা যেত।রীতিমত বন্যার পর থেকে হসপিটাল, টেস্ট আর ওষুধ আমার সাথে লেগেই আছে। এইতো সকাল বেলা খালি পেটে বসে বসে পোস্ট লিখছি।কেন জানেন?ব্লাড টেস্ট দিতে হবে এখন।ডায়াবেটিকস এর জন্য খালি পেট আবার গ্লুকোজ খাওয়ার ২ঘন্টা পর আবার ব্লাড নিবে।

20250214_184432.jpg

20250214_184503.jpg

আজকে লাইফস্টাইল বিষয়ক পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, গতকাল ডাক্তার দেখানো এবং সেই সংক্রান্ত বাকি মুহূর্তগুলো। আসলে থাইরয়েড বা হরমোনের সমস্যার অক্টোবর মাস থেকেই দেখা দিয়েছে। তখন থেকে প্রতিনিয়ত ওষুধ, ডাক্তার আর বিভিন্ন রকম টেস্ট দিয়ে যাচ্ছি। একেকবার একেক রকম ফলাফল আসে এই জন্য ওষুধ চেঞ্জ হয়ে যায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। গতকাল ডাক্তার বসেছিল সন্ধ্যা ৭:০০ টায়। কিন্তু আমরা ৭টার আগে গিয়ে সেখানে পৌঁছে যাই। অনেকক্ষণ ধরে সেখানে বসে ছিলাম ডাক্তার আসার জন্য। এদিকে আমাদের সিরিয়াল ছিল ৫ নাম্বারে।

20250113_153216.jpg

20250113_143609.jpg

যাইহোক আমরা বেশ অনেকক্ষণ যাবত বসেছিলাম ডাক্তার আসছিল না। এদিকে নিভৃত কিছুক্ষণ বসে বেশ দুষ্টুমি করছিল। তাই তার কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম খুব বেশি লোকজন হবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে যত সময় গড়িয়ে যাচ্ছে রোগীর মাত্রা তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যখন ৮টা বেজে গিয়েছিল তখন ডাক্তার এসেছিল। সবাই বেশ বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। কারণ এতক্ষন পরে ডাক্তার এসেছে। তাছাড়া যাদের সিরিয়াল দেরিতে তারাও বেশ বিরক্ত হচ্ছিল। আর আমাদের প্রথম দিকে হলেও আমরা অনেক পরে গিয়েছিলাম। কারণ হসপিটাল ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমে সেখানকার পরিচিতজনদেরকে আগে দিয়ে দেয়।

20250113_153204.jpg

20250113_153239.jpg

তারপর ডাক্তার রুমে ঢোকার পর পর ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যান সবগুলো রোগীর আগেই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সেখানে ছিল প্রায় ১৫জন। যেহেতু উনি একজন বড় ডাক্তার সেজন্য এক সপ্তাহ পরপরই লাইন লেগেই থাকে। সেলসম্যান বের হওয়ার পর গেল রিপোর্টের রোগী। যারা গত সপ্তাহে ডাক্তার দেখিয়েছিল তারা এই সপ্তাহে রিপোর্ট দেখাতে এসেছে। আর এজন্যই রিপোর্ট এর রোগীদেরকে আগে দেখিয়ে দিল। যাইহোক এভাবে যেতে যেতে প্রায় সাড়ে আটটার দিকে আমাদের সিরিয়াল আসলো। সিরিয়াল ডাকলেও বেশ কিছুক্ষণ বসেই ছিলাম। কারণ ভেতরে তখনও রোগী বিদ্যমান ছিল।

20250113_153155.jpg

20250214_210342.jpg

যাইহোক অবশেষে আমি গেলাম। যাওয়ার পর আমার সমস্যাগুলোর কথা বললাম। আগে রিপোর্টগুলো দেখালাম। এখন আবার নতুন করে অনেকগুলো টেস্ট দিয়ে দিল। কেননা হরমোন যেহেতু প্রতিনিয়ত বদলে যায় এজন্য ওষুধ বদলাতে হয়। যাইহোক ওষুধ কিছু লিখে দিয়েছিল তার পাশাপাশি টেস্ট দিয়েছিল। এরপর আমরা বেরিয়ে গেলাম। তখন প্রায় নয়টা বেজে গিয়েছে। ফেরার সময় কিছু ওষুধ নিয়েছিলাম এরপর বাড়ি ফিরে এলাম। এখন সকাল সকাল বসে পোস্ট লিখছি। কারণ গত কাল রাতে সেখান থেকে আসার পর তেমন কোন কাজ করা হয়ে ওঠেনি।

20250214_210333.jpg

একটু আগে ব্লাড দিলাম খালি পেটে। তারপর গ্লুকোজ খেলাম। এখন আবার ব্লাড দিতে যেতে হবে হসপিটালে। এজন্য বাসায় চলে আসলাম কিছুক্ষণের জন্য। যেহেতু নিভৃতকে নিয়ে যাইনি তাই চলে এলাম। যাই হোক পরবর্তীতে আবারও যাব আর এই ফাঁকে আপনাদের মাঝে পোস্টটা করে গেলাম। আশা করি আমার পোস্টটা আপনাদের ভালো লাগবে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণলাইফস্টাইল
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_20250215-105157_Chrome.jpg

Screenshot_20250215-105028_Chrome.jpg

অসুস্থ হলেই বুঝতে পারা যায় সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। যাইহোক, প্রতিটা মানুষের জীবনে হয়তো কম বেশি অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয়। আর বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা এতটাই খারাপ তারা যেন কসাই। কিভাবে বিজনেস করা যায় সেই চিন্তা নিয়েই তারা হসপিটালে বসে থাকে। যেটা থেকে সাধারণ মানুষ কোনভাবে মুক্তি পাচ্ছে না। দোয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

জ্বী ভাইয়া যতবারই যাই ততবারই কোন না কোন টেস্ট ধরিয়ে দেয়। যেগুলো হয়তো অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনও হয় না।

হরমোন জনিত সমস্যাগুলোর ট্রিটমেন্ট এর ক্ষেত্রে একটু ব্যয়বহুল। ব্যয়বহুল হলেও সমস্যাটা যেন দ্রুত সেরে যায় সেই কামনা করি। তবে এখন মাঝে মাঝে মনে হয় ডাক্তাররা অনেকগুলো বাড়তি টেস্টও দিয়ে থাকে। আর এর কারনে খরচটাও বেড়ে যায়। যাইহোক দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠোন এই কামনা করি।

সারবে তো না আপু। এটার জন্য ওষুধ খেয়ে যেতে হবে নিয়মিত। এটা কন্ট্রোল করতে হবে। ডায়াবেটিসের মতোই একটা সমস্যা।

আমাদের দেশে রোগীরা ডাক্তার দেখাতে গেলে আরো বেশী রোগী হয়ে যায় ডাক্তারের দেখা পেতে গেলে।আপনি ছেলেকে নিয়ে যে এতো সময় বসে ছিলেন এজন্য ছেলেকে ধন্যবাদ দিতে হয়।এই বয়সী একজন বাচ্চা এতো সময় সুস্থ ভাবে বসে ছিল এই প্রথম শুনলাম।যাক আপনি অনেক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মেডিসিন বার বার চেঞ্জ করে দিতে হচ্ছে।দোয়া করি আপু আপনার রিপোর্ট ভালো আসুক আর একই আসুক।চিন্তা করবেন না।আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।

সেদিন অনেক সময় বসে থাকার পরও নিভৃত খুব বেশি জ্বালাতন করেনি। শুধুমাত্র শেষের দিকে একটু বিরক্ত করেছিল। তার আব্বু তাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে হয়েছিল।

আমি তো গত দেড় মাস যাবত সুস্থই হতে পারছি না। এলার্জি একটু কমেছে এখন জ্বর ঠান্ডা বাড়ছে। তবে ডায়বেটিস কম। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ।

এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় পর্যন্ত থেকে যায়। যেমন আমরা ৮-৯ মাসের মতই ভুগেছি এই সমস্যায়।

আসলে কিছু করার নাই এটা জীবনের একটা অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। কারণ যতই বলি যে অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না কিন্তু অসুস্থতা তো এই দুঃখটা বুঝতেছে না, হাহাহা।যাই হোক নিজের অনুভূতি সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

প্রতিনিয়ত ডাক্তারের কাছে গেলে এভাবেই বসে থাকতে হয় আরও অসুস্থতা ফিল হয়।

বেশ কিছুদিন ধরে আমার পরিবারের সাথেও এটা হচ্ছে আপু। একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি এবং এখনো অসুস্থ। আপনার পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সুস্থতা কামনা করছি সবার।

অসুস্থতা কোনোমতেই ছাড়ছে না আপু। প্রত্যেক মাসে কোন না কোন কারণে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।